কলকাতা, 7 মার্চ: 'রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে...'৷ না, যাওয়ার কোনও অবকাশ নেই ৷ তবে রঙের উৎসবে একে অপরকে রাঙালেন ছোটপর্দার চর্চিত জুটি নীল-তৃণা ৷ আবিরেই উড়িয়ে দিলেন বিবাহ-বিচ্ছেদের সব গুঞ্জন ৷ বসন্ত উৎসবে মঙ্গলবার একই রঙে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠলেন নীল এবং তৃণা। এদিন সাদা পোশাকে রং খেলার ছবি পোস্ট করেন টলিউডের দুই হার্টথ্রবের। দীর্ঘদিন পর টলিপাড়ার চর্চিত দম্পতিকে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস অনুরাগীদের (Neel and Trina celebrate Holi together) ৷
তাঁরা তো কেবল টলিউডের হার্টথ্রব নন, দু'জনে একে অপরের পরিপূরকও বটে। একই ছাদের নীচে তাঁদের 'গাঁটছড়া' যে বেশ মজবুতই রয়েছে, বুঝিয়ে দিলেন দু'জনে ৷ এক নিমেষে উড়ে গেল ডিভোর্সের সব গুঞ্জন, ঠিক যেমন ফাগ উড়ল বাতাসে ৷ সবমিলিয়ে নিন্দুকদের চুপ করিয়ে এবারের দোলটা যেন আরও রঙিন হয়ে উঠল নীল-তৃণার জীবনে ৷
দু'জনকে নিয়ে আমজনতার মনে আগ্রহের অন্ত নেই। প্রেম থেকে শুরু করে রূপকথার মতো এনগেজমেন্ট, বিয়ে, বৌভাত-সবনিয়েই জনতার কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। এরপর হানিমুন পর্যন্ত দু'জনকে ধাওয়া করতেও ছাড়েনি কেউ। সবকিছুরই হিসেব রেখেছে নেট দুনিয়ায়। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে দীর্ঘসময় ধরে সোশাল মিডিয়ায় নীল-তৃণাকে একসঙ্গে না-দেখতে পেয়ে মনে খটকা লাগে অনুরাগীদের ৷ সর্বোপরি সোশাল মিডিয়ায় তৃণাকে নীল জন্মদিনের শুভেচ্ছা না-জানানোয় বিচ্ছেদের জল্পনা জোরালো হয়। অনুরাগীরা ভাবতে শুরু করেন নীল আর তৃণার বুঝি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয়টায় অনেকদিন চুপ ছিলেন সেলেব দম্পতির দু'জনেই।
আরও পড়ুন: দোল ঘিরে দারুণ পর্ব বাংলা ধারাবাহিকে, স্টুডিয়োতে রঙের মেলা
পরে তৃণা অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, "একটা ডিভোর্স হতে কমপক্ষে ছ'মাস সময় লাগে। কী করে মানুষ আমাদের ডিভোর্সটা এত তাড়াতাড়ি করিয়ে দিল জানি না। একটু জেনে-বুঝে কথা বললে ভাল হয়। আর নীল আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমরা একসঙ্গে থাকি। আমাকে সোশাল মিডিয়ায় কেন ও আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবে। আমাদের বাবা-মায়েরা জানান একে অপরকে ? তাঁদেরও তো আজকাল ফেসবুক আছে।"
এরপরেও বিশ্বাস করছিল না তাঁদের ভক্তকুল ৷ ওই যে কথায় আছে, না আঁচালে বিশ্বাস নেই ৷ তাই দোল এদিন সেই কাজটাই করল ৷ ফাগুন হাওয়ায় গুঞ্জন উড়তেই আরও কাছে নীল-তৃণা ৷