কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: অনন্যা পাল কলকাতার মেয়ে হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কর্মসূত্রে বিদেশেই থাকেন । বর্তমানে তিনি কেনিয়া নিবাসী । বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর অনুরাগের ফসল স্বরূপ আগেই পাঠক পেয়েছে গোয়েন্দা পুষ্পকেতুকে । কয়েকমাস আগেই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে অনন্যা সেই চরিত্রের অবয়বের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি । নাইরোবিতে এবার অনন্যার উদ্যোগে ফিরে এলো সেই দেশের জ্যাজ মিউজিকের অনুষ্ঠান (Ananya Pal And Others Organize Music Festival in Nairobi) ।
সম্প্রতি নাইরোবির জালারাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় 'গেটো ক্লাসিকস্'- এর অনুষ্ঠান । একক কণ্ঠসঙ্গীত, সমবেত সঙ্গীত, হিপ হপ নৃত্য এবং একচল্লিশ জনের অর্কেস্ট্রার মিলিত নিবেদন নিয়ে মঞ্চস্থ হয় এই গেটো ক্লাসিকস । এটি নাইরোবির আর্ট অফ মিউজিক ফাউন্ডেশনের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম । যেখানে প্রায় নাইরোবির আশেপাশে নটি স্যাটেলাইট এলাকায় শহরের তিন লক্ষ দরিদ্র এবং এক হাজারেরও বেশি শিশু, একজন কিয়াম্বুতে এবং চারজন মোম্বাসায়, অর্কেস্ট্রা ফর স্কুল ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে মিউজিক শেখে । ওখানকার স্কুলেই এরা পড়াশোনা করে । এদের পড়াশোনার প্রধান ভাষা অবশ্য় ইংরেজি ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারা সেখানকার তরুণদের নিজেদের ভালো করার সুযোগ দিতে চান । আগামী দিনে তাদের জগৎ যেন সঙ্গীতময় হয়ে ওঠে তার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ ৷ শিক্ষা জীবনকে শৃঙ্খলাপরায়ন করে তোলে, পাশ্চাত্য মিউজিক নিয়ে এখানে সঙ্গীত শেখানো হয় । এহেন কর্মসূচী তাদের আয় সৃষ্টির সুযোগও করে দেয় । ব্রাশ ইন্সট্রুমেন্ট, স্ট্রিং ইনস্ট্রুমেন্ট, তালবাদ্য সব মিলিয়ে একচল্লিশ জনের মিউজিশিয়ান দল তুলে ধরলেন দুই দেশের মেলবন্ধন।
আরও পড়ুন: সিড কিয়ারার পর এবার কি বাগদান সারতে চলেছেন প্রভাস কৃতি?
পাশ্চাত্য সুরের পাশাপাশি স্থানীয় লোকসঙ্গীত পরিবেশিত হয় এদিন । অনন্যা বললেন, "করোনার জন্য এখানে দুবছর ধরে জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল হয়নি । এই যুবক-যুবতীদের একটা মঞ্চ করে দেওয়ার জন্য এই আয়োজন করেছিলাম । এঁদের কাজ আরও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক এটাই আমাদের লক্ষ্য ।"