ETV Bharat / entertainment

Remembering Suchitra-Sumitra: মৃত্যু মিলিয়ে দিল দুই কিংবদন্তিকে, সুচিত্রার পাশের আসনে সুমিত্রাও

মৃত্যুদিন মিলিয়ে দিল দুই কিংবদন্তিকে ৷ মঙ্গলবার সুরের জগতকে বিদায় জানালেন সুমিত্রা সেন ৷ 12 বছর আগে 2011 সালের এই দিনে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রও ৷

Remembering Suchitra-Sumitra
মৃ্ত্যু মিলিয়ে দিল দুই কিংবদন্তিকে, সুচিত্রার পাশের আসনে সুমিত্রাও
author img

By

Published : Jan 3, 2023, 2:11 PM IST

Updated : Jan 3, 2023, 3:12 PM IST

কলকাতা, 3 জানুয়ারি: কথায় বলে মৃত্যুর চেয়ে বড় সত্যি আর কিছুই নেই ৷ আর সত্য কতটা কঠিন আঘাতে বুক বিদীর্ন করতে পারে তা বাঙালি টের পেল আজ সকালেই ৷ মঙ্গলবার সকালে সংগীতের দুনিয়াকে এক প্রকার দেউলিয়া করে চিরবিদায়ের সুর বাজিয়ে সুরের আকাশে পাড়ি দিলেন সুমিত্রা সেন (Eminent Rabindra Sangeet Artist Sumitra Sen)। রবীন্দ্র সংগীতের জগতে আরেক নক্ষত্রপতন ঘটে গেল মঙ্গলবার সকালে ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 89 বছর (Sumitra Sen Dies At The Age of 89) ৷ এই শোকের দিনটাই মিলিয়ে দিল দুই কিংবদন্তিকে ৷ আজ থেকে ঠিক 12 বছর আগে এই দিনে সুরালোকে পাড়ি দিয়েছিলেন কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র (Suchitra Mitra And Sumitra Sen Passed Away in The Same Date)৷

যাঁকে বাঙালি অবশ্য় চেনেন 'কৃষ্ণকলি' বলেই ৷ না শ্য়ামলা নন, গায়ের রঙ গৌরবর্ণই ছিল সুচিত্রার ৷ তবে তাঁর গলায় 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি' শুনে আবেগে ভেসেছিল আপামর সংগীতপ্রেমী জনতা ৷ সুচিত্রার জন্ম সুমিত্রার প্রায় এক দশক আগে ৷ গণনাট্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘকাল ৷ রবীন্দ্র সংগীতকেই করেছিলেন তাঁর প্রতিবাদের ভাষাও ৷ তাইতো 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের আবহে তাঁর গাওয়া 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' আলোড়ন তুলেছিল বাঙালির বুকে ৷ 1945 সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম রেকর্ড ৷ যার একদিকে ছিল 'মরণেরে তুঁ হু মম শ্যাম সমান' আর অন্য পিঠে 'হৃদয়ের একুল ওকুল দু’কুল ভেসে যায়'।

এর ঠিক ছ'বছর বাদে বাংলা সংগীত জগতে পা রাখবেন সুমিত্রাও ৷ 1951 সালে দু'টি নজরুলগীতি 'গোঠের রাখাল বলে দে রে' আর 'বেদনার বেদী তলে' দিয়ে শিল্পী হিসাবে শুরু হবে তাঁর যাত্রা ৷ বোঝাই যায় সুরের জীবনেও প্রায় পাশাপাশি হেঁটেছেন রবীন্দ্রসংগীতের এই দুই সহ-শিল্পী ৷ আরেকটি মিলও রয়েছে সুচিত্রা মিত্র এবং সুমিত্রা সেনের মধ্য়ে ৷ দু'জনেই হয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ৷

আরও পড়ুন: ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে ফিরবেন ! মাতৃসমা শিল্পীর প্রয়াণে স্মৃতিমেদুর অজয় চক্রবর্তী

এবার আরও একবার তাঁদের মিলিয়ে দিল মহান মৃত্য়ু ৷ সংগীতপ্রেমী বাঙালির কাছে 3 জানুয়ারি থেকে যাবে জোড়া আঘাত হয়ে ৷ মৃত্যু তাঁর নিষ্ঠুর বর্শার আঘাতে এই দিনেই যে সুরের আকাশ থেকে খসিয়ে দিল দুই উজ্জ্বল তারাকে ৷ সংগীত অনুরাগীরা হয়ত আজ বলতেই পারেন, 'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না... সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি ৷"

কলকাতা, 3 জানুয়ারি: কথায় বলে মৃত্যুর চেয়ে বড় সত্যি আর কিছুই নেই ৷ আর সত্য কতটা কঠিন আঘাতে বুক বিদীর্ন করতে পারে তা বাঙালি টের পেল আজ সকালেই ৷ মঙ্গলবার সকালে সংগীতের দুনিয়াকে এক প্রকার দেউলিয়া করে চিরবিদায়ের সুর বাজিয়ে সুরের আকাশে পাড়ি দিলেন সুমিত্রা সেন (Eminent Rabindra Sangeet Artist Sumitra Sen)। রবীন্দ্র সংগীতের জগতে আরেক নক্ষত্রপতন ঘটে গেল মঙ্গলবার সকালে ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 89 বছর (Sumitra Sen Dies At The Age of 89) ৷ এই শোকের দিনটাই মিলিয়ে দিল দুই কিংবদন্তিকে ৷ আজ থেকে ঠিক 12 বছর আগে এই দিনে সুরালোকে পাড়ি দিয়েছিলেন কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র (Suchitra Mitra And Sumitra Sen Passed Away in The Same Date)৷

যাঁকে বাঙালি অবশ্য় চেনেন 'কৃষ্ণকলি' বলেই ৷ না শ্য়ামলা নন, গায়ের রঙ গৌরবর্ণই ছিল সুচিত্রার ৷ তবে তাঁর গলায় 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি' শুনে আবেগে ভেসেছিল আপামর সংগীতপ্রেমী জনতা ৷ সুচিত্রার জন্ম সুমিত্রার প্রায় এক দশক আগে ৷ গণনাট্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘকাল ৷ রবীন্দ্র সংগীতকেই করেছিলেন তাঁর প্রতিবাদের ভাষাও ৷ তাইতো 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের আবহে তাঁর গাওয়া 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' আলোড়ন তুলেছিল বাঙালির বুকে ৷ 1945 সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম রেকর্ড ৷ যার একদিকে ছিল 'মরণেরে তুঁ হু মম শ্যাম সমান' আর অন্য পিঠে 'হৃদয়ের একুল ওকুল দু’কুল ভেসে যায়'।

এর ঠিক ছ'বছর বাদে বাংলা সংগীত জগতে পা রাখবেন সুমিত্রাও ৷ 1951 সালে দু'টি নজরুলগীতি 'গোঠের রাখাল বলে দে রে' আর 'বেদনার বেদী তলে' দিয়ে শিল্পী হিসাবে শুরু হবে তাঁর যাত্রা ৷ বোঝাই যায় সুরের জীবনেও প্রায় পাশাপাশি হেঁটেছেন রবীন্দ্রসংগীতের এই দুই সহ-শিল্পী ৷ আরেকটি মিলও রয়েছে সুচিত্রা মিত্র এবং সুমিত্রা সেনের মধ্য়ে ৷ দু'জনেই হয়েছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ৷

আরও পড়ুন: ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে ফিরবেন ! মাতৃসমা শিল্পীর প্রয়াণে স্মৃতিমেদুর অজয় চক্রবর্তী

এবার আরও একবার তাঁদের মিলিয়ে দিল মহান মৃত্য়ু ৷ সংগীতপ্রেমী বাঙালির কাছে 3 জানুয়ারি থেকে যাবে জোড়া আঘাত হয়ে ৷ মৃত্যু তাঁর নিষ্ঠুর বর্শার আঘাতে এই দিনেই যে সুরের আকাশ থেকে খসিয়ে দিল দুই উজ্জ্বল তারাকে ৷ সংগীত অনুরাগীরা হয়ত আজ বলতেই পারেন, 'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না... সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি ৷"

Last Updated : Jan 3, 2023, 3:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.