কলকাতা, 1 জুন : কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ অর্থাৎ গায়ক কে কে-র মৃত্যুতে শোকাহত কলকাতার শিল্পীমহলও । আসমুদ্র হিমাচল আজ কে কে-র জন্য চোখের জল ফেলছে । এমনই জাদু শিল্পীর তথা শিল্পের । মাত্র 53 বছর বয়সে কে কে'র অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই । শোকপ্রকাশ করলেন সঙ্গীত শিল্পী সিধুও (Sidhu on the Demise of KK)৷
সঙ্গীত শিল্পী সিধু বলেন, "আমি কে কে-র ফ্যান। শুধু আমি না, আমার মতো কোটি কোটি ভারতবাসী কে কে-র ফ্যান । একজন শিল্পী গান গাইতে গাইতে চলে গেলেন । এর থেকে ভাল মৃত্যু হতে পারে না একজন শিল্পীর জন্য । তবে, সময়ের অনেকটা আগে চলে গেলেন কে কে । এটার দরকার ছিল না ।"
সিধু বলেন, "যে মানুষটা কিছুক্ষণ আগেও গান গাইছেন, দর্শকের মন মাতাচ্ছেন সেই মানুষটা হঠাৎ করে এভাবে চলে যাবেন, এটা মেনে নিতে আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে । এটা খুব অবিশ্বাস্য ঘটনা । আমার মনে হয় উনি খুব বেশি উপসর্গ বুঝতে পারেননি । তাহলে হয়ত কিছুক্ষণের জন্য হলেও গান থামাতেন । উনি বিশ্রাম নিতেন বা শো করেই হাসপাতালে যেতেন । হোটেলে যেতেন না । আমি শুনেছি উনি ফিটনেস ফ্রিক ছিলেন । এরকম একজন মানুষ এরকম ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যাটাক-এ চলে গেলেন !"
তাঁর কথায়, "জীবন মৃত্যু নিয়ে আর কোনও ভরসা রইল না । সামনে অগণিত দর্শক । তাদের মনোরঞ্জন করতে করতেই চলে গেলেন তিনি । গানের মধ্যে থাকতে থাকতে চলে গেলেন, এর থেকে ভাল চলে যাওয়া হয় না আর । তবে, বড্ড সময়ের আগে হয়ে গেল ব্যাপারটা ।"
আরও পড়ুন : কে কে-র মৃত্য়ুর তদন্তে ধর্মতলার হোটেলে ফরেন্সিক দল
এই ঘটনায় আহত বাবুল সুপ্রিয়ও ৷ তাঁর কথায়, "গানের জগতে সবচেয়ে ভাল মানুষদের এক জন কে কে । সবচেয়ে সুকণ্ঠী গায়কদেরও এক জন.. কে কে-র এমন আকস্মিক এবং অকালপ্রয়াণ কী অভাবনীয় এবং ভয়ানক বাস্তব! শান্তিতে থেকো বন্ধু ।" সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের কথায়, "জানি না কী বলা উচিত এই নিয়ে । শান্তিতে থেকো কে কে...।"