ETV Bharat / entertainment

Rituparno Ghosh যে ঋতুর শেষ নেই... সেই আগুনপাখির উৎসবের আজ শুভ মহরৎ - Rituparno Ghosh Birth Anniversary

আজ ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন (Remembering Director Rituparno Ghosh )৷ 2013 সালের 30 মে তাঁকে হারিয়েছিল বাংলা (Rituparno Ghosh Birth Anniversary) ৷ তারপর ঋতু আসে...ঋতু যায়, কিন্তু এ ঋতুর শূন্যস্থান পূরণ হয় না বাঙালি হৃদয়ে ৷

Rituparno Ghosh
আগুনপাখির উৎসবের শুভ মহরৎ
author img

By

Published : Aug 31, 2022, 1:01 PM IST

কলকাতা: 'খেলা খেলা দিয়ে শুরু...খেলতে খেলতে শেষ/ কেউ বলেছিল ছিঃ ছিঃ, কেউ বলেছিল বেশ'...ছবির নাম 'খেলা', পর্দায় প্রসেনজিৎ, মনীষা কৈরালা আর ক্যামেরার পিছনে বাঙালির আইকন ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh)৷ বাঙালির ছবি দেখার মানসিকতাই বদলে দিয়েছিলেন মানুষটি ৷ বিজ্ঞাপণ জগত থেকে কেরিয়ার শুরু তাই একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর লেখা সবসময় খুব গোছানো ৷ বাড়তি শব্দ লিখতেই পারেন না ৷ বিজ্ঞাপণের লেখায় বাড়তি শব্দ খরচের কোনও জায়গা ছিল না ৷ সেই অভ্যাস থেকে গিয়েছে আজীবন ।

'উলটে দেখুন পালটে যাবে' কিংবা 'সুরোভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন' এমন অনেক লাইনেরই জনক ছিলেন সবার প্রিয় ঋতুপর্ণ ৷ তবে লক্ষ ছিল ছবির জগত ৷ তাই ঠিকই রাস্তা বদল করলেন তিনি ৷ এক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায়কে নিজের আদর্শ মানতেন ঋতু ৷ তাঁকে দেখেই তাঁর ছায়াছবির আঙিনায় পা রাখা ৷ নিজেও মানিকবাবুর মতই ছিলেন বিজ্ঞাপণ দুনিয়ার কারবারি ৷ তারপর পেশা বদলে চলে আসা ছবিতে ৷ আজ এই মানুষটিরই জন্মদিন (Rituparno Ghosh Birth Anniversary)৷ 58 বছর পূর্ণ করতেন পরিচালক ৷ 2013 সালের 30 মে তাঁকে হারিয়েছিল বাংলা ৷ কিন্তু ঋতু আসে...ঋতু যায়, এ ঋতুর শূন্যস্থান পূরণ হয় না বাঙালি হৃদয়ে ৷ তাই ফের ফিরে দেখা সেলুলয়েডের এক সেরা গল্প বলিয়েকে(Remembering Director Rituparno Ghosh) ৷

1992 সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি 'হীরের আংটি' ৷ তাঁর আক্ষেপ ছিল এই ছবি সত্যজিৎ রায়কে দেখাতে পারেননি বলে ৷ কারণ তার আগেই চির ঘুমের দেশে পাড়ি দেন তাঁর প্রিয় মানিকদা ৷ 1994 সালে মুক্তি পেল দ্বিতীয় ছবি 'ঊনিশে এপ্রিল' ৷ এই ছবিই তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রথম জাতীয় পুরস্কার ৷ আর সিনেপ্রেমীরা চিনে নিয়েছিলেন কোঁকড়ানো চুল, চোখে হালকা ফ্রেমের চশমা, শান্ত অথচ দৃপ্ত মুখের পরিচালককে ৷ ঋতুপর্ণ এরপর কেরিয়ারে খুব কমই ফিরে তাকিয়েছেন ৷ বরং যাতেই হাত রেখেছেন তাতেই সোনা ফলেছে বললেও বোধহয় বেশি বলা হয় না ৷

Rituparno Ghosh
আজ জন্মদিন বাঙালির অন্যতম পছন্দের পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের

তৃতীয় ছবি 'অসুখ' । এবারও জাতীয় পুরস্কার নিয়ে বাংলায় ফিরলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ৷ তাঁর ছবি শুধু যে বোদ্ধাদের মন জয় করত তা কিন্তু নয় ব্যবসায়িকভাবেও যথেষ্ট সফল ছিল 'বাড়িওয়ালি', 'দহন', 'খেলা' কিংবা 'উৎসব'-এর ছবিগুলি ৷ আসলে সেলুলয়েডে গল্প বলতেই বেশি ভালবাসতেন ঋতু ৷ প্রিয় মানিকদার মতোই তিনি বলতেন, "এমন ছবি বানাব যা নিজেরও দেখতে ভালো লাগবে ৷"

Rituparno Ghosh
আগুনপাখির উৎসবের শুভ মহরৎ

তাঁর নিজের জীবনের প্রতিটা কথা, প্রতিটি আবেগ, প্রতিটি প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে তিনি বেছে নিয়েছেন ছবিকে ৷ কখনও তিনি পিছপা নিজের কথা খুলে বলতে ৷ 'শুভ মহরৎ', 'তিতলি', 'আবহমান'-কে যেমন ভুলে গেলে চলবে না তেমনই আবার ঋতুর হাত ধরেই বাংলা পেয়েছে 'মেমোরিস ইন মার্চ', 'আরেকটি প্রেমের গল্প', 'চিত্রাঙ্গদা'র মতো ছবি ৷ যেখানে সমকামীতা সংক্রান্ত রক্ষণশীল মানসিকতাকে তীক্ষ্ণভাবে ফুটিয়ে তুলে সমাজের ক্ষতগুলিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: "লীনাদি আর শৈবালদা আমায় জিতিয়ে দিলেন", মহিলার চরিত্র পেয়ে খুশি সুজি

আসলেই ঋতুপর্ণ তাঁর নিজের মতে বেঁচেছেন ৷ তাঁর প্রতিটি অনুভূতিকে আয়নার মত ফুটিয়ে তুলেছে তাঁর ছবি ৷ ক্যামেরাকে কখনও তিনি তিনি ব্যবহার করেছেন মজার এক খেলনার মতো কখনও আবার সেই ক্যামেরাই হয়ে গিয়েছে বন্ধু কিংবা পরম আত্মীয় ৷ তাঁর প্রতিটি ছবি যেন একেকটা নক্সি কাঁথা ৷

কলকাতা: 'খেলা খেলা দিয়ে শুরু...খেলতে খেলতে শেষ/ কেউ বলেছিল ছিঃ ছিঃ, কেউ বলেছিল বেশ'...ছবির নাম 'খেলা', পর্দায় প্রসেনজিৎ, মনীষা কৈরালা আর ক্যামেরার পিছনে বাঙালির আইকন ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh)৷ বাঙালির ছবি দেখার মানসিকতাই বদলে দিয়েছিলেন মানুষটি ৷ বিজ্ঞাপণ জগত থেকে কেরিয়ার শুরু তাই একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর লেখা সবসময় খুব গোছানো ৷ বাড়তি শব্দ লিখতেই পারেন না ৷ বিজ্ঞাপণের লেখায় বাড়তি শব্দ খরচের কোনও জায়গা ছিল না ৷ সেই অভ্যাস থেকে গিয়েছে আজীবন ।

'উলটে দেখুন পালটে যাবে' কিংবা 'সুরোভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন' এমন অনেক লাইনেরই জনক ছিলেন সবার প্রিয় ঋতুপর্ণ ৷ তবে লক্ষ ছিল ছবির জগত ৷ তাই ঠিকই রাস্তা বদল করলেন তিনি ৷ এক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায়কে নিজের আদর্শ মানতেন ঋতু ৷ তাঁকে দেখেই তাঁর ছায়াছবির আঙিনায় পা রাখা ৷ নিজেও মানিকবাবুর মতই ছিলেন বিজ্ঞাপণ দুনিয়ার কারবারি ৷ তারপর পেশা বদলে চলে আসা ছবিতে ৷ আজ এই মানুষটিরই জন্মদিন (Rituparno Ghosh Birth Anniversary)৷ 58 বছর পূর্ণ করতেন পরিচালক ৷ 2013 সালের 30 মে তাঁকে হারিয়েছিল বাংলা ৷ কিন্তু ঋতু আসে...ঋতু যায়, এ ঋতুর শূন্যস্থান পূরণ হয় না বাঙালি হৃদয়ে ৷ তাই ফের ফিরে দেখা সেলুলয়েডের এক সেরা গল্প বলিয়েকে(Remembering Director Rituparno Ghosh) ৷

1992 সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম ছবি 'হীরের আংটি' ৷ তাঁর আক্ষেপ ছিল এই ছবি সত্যজিৎ রায়কে দেখাতে পারেননি বলে ৷ কারণ তার আগেই চির ঘুমের দেশে পাড়ি দেন তাঁর প্রিয় মানিকদা ৷ 1994 সালে মুক্তি পেল দ্বিতীয় ছবি 'ঊনিশে এপ্রিল' ৷ এই ছবিই তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রথম জাতীয় পুরস্কার ৷ আর সিনেপ্রেমীরা চিনে নিয়েছিলেন কোঁকড়ানো চুল, চোখে হালকা ফ্রেমের চশমা, শান্ত অথচ দৃপ্ত মুখের পরিচালককে ৷ ঋতুপর্ণ এরপর কেরিয়ারে খুব কমই ফিরে তাকিয়েছেন ৷ বরং যাতেই হাত রেখেছেন তাতেই সোনা ফলেছে বললেও বোধহয় বেশি বলা হয় না ৷

Rituparno Ghosh
আজ জন্মদিন বাঙালির অন্যতম পছন্দের পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের

তৃতীয় ছবি 'অসুখ' । এবারও জাতীয় পুরস্কার নিয়ে বাংলায় ফিরলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ৷ তাঁর ছবি শুধু যে বোদ্ধাদের মন জয় করত তা কিন্তু নয় ব্যবসায়িকভাবেও যথেষ্ট সফল ছিল 'বাড়িওয়ালি', 'দহন', 'খেলা' কিংবা 'উৎসব'-এর ছবিগুলি ৷ আসলে সেলুলয়েডে গল্প বলতেই বেশি ভালবাসতেন ঋতু ৷ প্রিয় মানিকদার মতোই তিনি বলতেন, "এমন ছবি বানাব যা নিজেরও দেখতে ভালো লাগবে ৷"

Rituparno Ghosh
আগুনপাখির উৎসবের শুভ মহরৎ

তাঁর নিজের জীবনের প্রতিটা কথা, প্রতিটি আবেগ, প্রতিটি প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে তিনি বেছে নিয়েছেন ছবিকে ৷ কখনও তিনি পিছপা নিজের কথা খুলে বলতে ৷ 'শুভ মহরৎ', 'তিতলি', 'আবহমান'-কে যেমন ভুলে গেলে চলবে না তেমনই আবার ঋতুর হাত ধরেই বাংলা পেয়েছে 'মেমোরিস ইন মার্চ', 'আরেকটি প্রেমের গল্প', 'চিত্রাঙ্গদা'র মতো ছবি ৷ যেখানে সমকামীতা সংক্রান্ত রক্ষণশীল মানসিকতাকে তীক্ষ্ণভাবে ফুটিয়ে তুলে সমাজের ক্ষতগুলিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: "লীনাদি আর শৈবালদা আমায় জিতিয়ে দিলেন", মহিলার চরিত্র পেয়ে খুশি সুজি

আসলেই ঋতুপর্ণ তাঁর নিজের মতে বেঁচেছেন ৷ তাঁর প্রতিটি অনুভূতিকে আয়নার মত ফুটিয়ে তুলেছে তাঁর ছবি ৷ ক্যামেরাকে কখনও তিনি তিনি ব্যবহার করেছেন মজার এক খেলনার মতো কখনও আবার সেই ক্যামেরাই হয়ে গিয়েছে বন্ধু কিংবা পরম আত্মীয় ৷ তাঁর প্রতিটি ছবি যেন একেকটা নক্সি কাঁথা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.