হায়দরাবাদ, 28 এপ্রিল: গত বছর মা হয়েছেন গ্লোবাল আইকন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া । সারোগেসির মাধ্য়মে মা-হওয়া প্রিয়াঙ্কার জন্য় এই যাত্রাটা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না । কারণ একদিকে যেমন তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল নানা ধরনের ট্রলিং তেমনই হাসপাতালেই থাকতে হয়েছিল কন্য়া মালতিকেও । এবার সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউতে তাঁর এই 110 দিনের মানসিক ধকলের কথা আদ্যপান্ত তুলে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা। এই সময়টা মালতিকে রাখতে হয়েছিল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। মালতির এই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে কীভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বামী নিক ? সেকথাও তুলে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা।
এক টেলিভিশন শো-য়ে তিনি জানান, নিক অথবা তিনি কেউ না কেউ মালতির সঙ্গে থাকতেন । কোনও সময় তাঁকে চোখের আড়াল হতে দেননি তাঁরা । মা হওয়ার পর তো প্রথম বেশ কিছুদিন তিনি রাতেও ঘুমোতে পারেননি । কারণ সবসময় তাঁর চোখ থাকত মনিটারের দিকে । বারবার শুধু তিনি একটাই জিনিস দেখতেন মালতির হার্টবিট ঠিকঠাক রয়েছে কি না, সেদিকেই । এ প্রসঙ্গে নিকের কথা টেনে এনে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন প্রিয়াঙ্কা ।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, "নিক ঠিক কতটা দৃঢ় মনের মানুষ এটা তার একটা উদাহরণ । এটা শোনার পর আমি মুহূর্তের জন্য একেবারে থমকে গিয়েছিলাম । বুঝতে পারছিলাম না, এই ব্যাপারটা কীভাবে নেব । আমার মনে পড়ে আমি বলেছিলাম, শুধু আমায় বলুন আমায় কী করতে হবে । কারণ আমার কোনও ধারণাই নেই কী করা উচিত । কিন্তু ও গিয়ে শান্তভাবে গাড়িতে উঠল । আমরা হাসপাতালে গেলাম । ওর জন্ম হল। আর ও প্রথম নিশ্বাস নেওয়ার পর থেকে আমরা কেউ না কেউ সবসময় ওর পাশে ছিলাম। আমরা ওকে কখনও একা থাকতে দিইনি।"
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, "ওকে প্রায় 110 দিন হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল । এটা আমাদের পরীক্ষা ছিল না, এটা ওর জন্য় একটা কঠিন পরীক্ষা ছিল । যেহেতু ও আতঙ্কে ছিল, ও তখন মারাত্মক দুর্বল, আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের দুর্বল হলে কিংবা ভয় পেলে চলবে না ।" গত মাসে তাঁর মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার ভারতে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা । সঙ্গে ছিলেন নিক জোনাসও ।
আরও পড়ুন: ফিল্ম ফেয়ারের আসরে চাঁদের হাট নজর কাড়লেন ভূমি, আলিয়ারা