কলকাতা, 5 জুলাই: ছোটবেলা থেকেই আমাদের বোঝানো হয় আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ । আজ অনেক লড়াইয়ের পর নারীরা স্বাধীন। কিন্তু সবক্ষেত্রেই কী নারীরা স্বাধীন? এক আদিবাসী মহিলার দৈনন্দিন জীবনে রুখে দাঁড়ানোর গল্প তুলে ধরতে আসছে 'দো আঁশ' । সম্প্রতি সামনে এল ছবির পোস্টার এবং চরিত্রেদের ফার্স্ট লুক ৷
বর্তমানে বহু ধরনের ভাবনা নিয়ে কাজ হচ্ছে বাংলা ছবিতে । তেমনই একটি হতে চলেছে 'দো আঁশ' । সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় আসবে এই ছবি । মুখ্য চরিত্রে থাকছেন অনুভব কাঞ্জিলাল, শ্রীতমা দে, সঞ্জিতা মুখোপাধ্যায়, কিংশুক গাঙ্গোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে । সমাজের পিছিয়ে পড়া দুই প্রজন্মের নারীর লড়াইয়ের গল্প বলবে এই ছবি এমনই খবর । ছবিটি মুক্তি পাবে 'মোজোটেল এন্টারটেইনমেন্টস এন্ড ডিস্ট্রিবিউট'- এর ব্যানারে ৷
ছবির গল্পের দিকে তাকালে দেখা যায়, 55 বছরের সারথী তার সর্দার স্বামী আর সন্তানকে হারিয়ে জীবনযাপনের জন্য সুন্দরবনের খাঁড়ির জলে ভিঙি ভাসায় ৷ তার একমাত্র নাতনি ঝুমরিকে সে বাঁচাতে চায় সমাজের কুদৃষ্টি থেকে । ঝুমরির মনের মানুষ দিবাকর, বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করে । সে তার বাবার বন্ধু নিমাইয়ে কাছে মধু সংগ্রহের কাজ শিখে প্রথম দিন মৌচাক নিয়ে ফিরে আসে ৷ কিন্তু পরের দিন আর ফেরে না সে।
সর্দার বয়ান দেয় দিবাকরকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে । সবাই হাল ছেড়ে দিলেও ঝুমরি হার মানে না । সার্চ পাটির কাছে বারবার আবেদন করতে থাকে সে ৷ এরই মাঝে ঠিকাদার তাকে কুপ্রস্তাব দেয় । সারথীর বারণ উপেক্ষা করে ঝুমরি নিজেকে ঠিকাদারের কাছে সঁপে দেয় শুধুমাত্র দিবাকরকে বাঁচাবার জন্য । সার্চ পার্টি দিবাকরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনলে ঝুমরি সবকিছু তাঁকে জানায় । সব শুনে দিবাকর ঝুমরিকে আরও কাছে টেনে নেয় । শেষে একসময় ঠিকাদারকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায় ৷ দেখা যায় 5 জন মিলে ঠিকাদারের মৃতদেহ জঙ্গলে ফেলে আসে । তাদের মধ্যে একজন সারথী ।
আরও পড়ুুন: আদিবাসীর তরুণের গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব উরফি
ছবিতে দিবাকরের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলালকে । অন্যদিকে ঝুমরির চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী শ্রীতমা দেকে । ছবির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন শুভজিৎ রায় ও সম্পাদনা করছেন অনির্বাণ মাইতি । ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুমিত দে । চলতি বছরেই বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ছবির ।