ETV Bharat / entertainment

Vipul Shah: 'সংখ্যায় কী আসে যায়?' বিতর্কের জবাবে জানালেন 'দ্য কেরালা স্টোরি'র প্রযোজক

'সংখ্য়ায় কি আসে যায়?' এভাবেই '32 হাজার থেকে 3' বিতর্কের জবাব দিলেন 'দ্য় কেরালা স্টোরি' ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ ৷ এর আগে নির্মাতারা দাবি করেছিলেন কেরলে 32 হাজার মহিলাকে আইএসআইএসে যেতে বাধ্য় করা হয়েছে ৷ পরে বিতর্ক শুরু হতেই সেই সংখ্য়া বদলে '3' করে দেন তাঁরা ৷

Vipul Shah
সংখ্য়ায় কি আসে যায় বললেন বিপুল
author img

By

Published : May 10, 2023, 6:50 PM IST

Updated : May 10, 2023, 7:10 PM IST

হায়দরাবাদ, 10 মে: 'দ্য় কাশ্মীর ফাইলস'-এর মতোই 'দ্য় কেরালা স্টোরি' নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন সমালোচকেরা ৷ কারও কাছে খারাপ, কারও কাছে ভালো এই ছবিটিও বক্স অফিসে 'দ্য় কাশ্মীর ফাইলস'-এর মতোই শোরগোল ফেলেছে ৷ পাঁচ দিনে 50 কোটির ক্লাবেও ঢুকে পড়েছে এই ছবি ৷ নির্মাতারা দাবি করেছেন সত্য় ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে 'দ্য় কেরালা স্টোরি' ৷ তাঁদের দাবি কেরলের প্রায় 32 হাজার মহিলাকে আইএসআইএসে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের ধর্মান্তকরণে ৷ 32 হাজার সংখ্য়াটি সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক ৷ পরে নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন 32 হাজার সংখ্য়াটিকে মাত্র তিনে নামিয়ে এনেছেন ৷ এবার তাই নিয়েই মুখ খুললেন ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ ৷

কেন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল? বিপুল শাহকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সংখ্যায় কি এসে যায়?" এসব দেখে অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে শেক্সপিয়ারের সেই বিখ্য়াত উক্তি 'নামে কি এসে যায়?' বাক্য়বন্ধটি ৷ যাইহোক, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিপুল বলেন, "আমরা সেই গল্পটাই বলেছি যা বলা একান্ত দরকার ৷... এটা কখনও সংখ্যার বিষয় ছিলই না ৷ 32 হোক বা 32000 কিছু যায় আসে না ৷ যারা এই অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য সংখ্য়া কোনও পার্থক্য তৈরি করে না ৷ গুরুত্বপূর্ণ হল এটা(ধর্ম পরিবর্তন) ঘটেছে ৷ আর এটা এমন একটা ঘটনা যা জনতার সামনে আনা দরকার ছিল ৷"

অনেকের মতে, ছবিতে যে তথ্য় সামনে এসেছে তার অভিঘাতের ক্ষেত্রে অনেকখানি পার্থক্য় তৈরি হতে পারে বিপুলের এই মন্তব্যের পরে ৷ এই ছবিতে কেরলকে দেখানো হয়েছে ধর্মান্তকরণের অন্য়তম প্রধান ক্ষেত্র হিসাবে ৷ বেশকিছু মুসলিম মানুষ সেখানে নাকি কলেজে পড়তে আসা মেয়েদের ড্রাগ দিয়ে মগজধোলাই করে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করছে ৷ কাউকে কাউকে ফাঁসানো হচ্ছে মিথ্য়া প্রেমের ফাঁদে ৷ আর একসময় তারা আইএসআইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে ৷ ছবিতে এক ভয়াবহ সত্যিকে তুলে ধরার দাবি করেছেন নির্মাতারা ৷ আর এখন সেই ঘটনার অভিঘাত নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷

বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবিকে বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায় ৷ তাঁর মতে, এই ছবির জেরে হিংসা বাড়বে ৷ বাড়বে ঘৃণার আবহ ৷ সেই কারণেই এই ছবিকে তিনি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷ সেই ব্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অনেকেই ৷ কিন্তু বিপুল শাহের এই মন্তব্য সামনে আসার পর মিথ্যাচার নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে ৷

আরও পড়ুন: আসছে টলিক্যুইন ঋতুপর্ণার ডাবল ধামাকা, অপেক্ষায় অনুরাগীরা

হায়দরাবাদ, 10 মে: 'দ্য় কাশ্মীর ফাইলস'-এর মতোই 'দ্য় কেরালা স্টোরি' নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন সমালোচকেরা ৷ কারও কাছে খারাপ, কারও কাছে ভালো এই ছবিটিও বক্স অফিসে 'দ্য় কাশ্মীর ফাইলস'-এর মতোই শোরগোল ফেলেছে ৷ পাঁচ দিনে 50 কোটির ক্লাবেও ঢুকে পড়েছে এই ছবি ৷ নির্মাতারা দাবি করেছেন সত্য় ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে 'দ্য় কেরালা স্টোরি' ৷ তাঁদের দাবি কেরলের প্রায় 32 হাজার মহিলাকে আইএসআইএসে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়েছে ৷ বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের ধর্মান্তকরণে ৷ 32 হাজার সংখ্য়াটি সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক ৷ পরে নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন 32 হাজার সংখ্য়াটিকে মাত্র তিনে নামিয়ে এনেছেন ৷ এবার তাই নিয়েই মুখ খুললেন ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ ৷

কেন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল? বিপুল শাহকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সংখ্যায় কি এসে যায়?" এসব দেখে অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে শেক্সপিয়ারের সেই বিখ্য়াত উক্তি 'নামে কি এসে যায়?' বাক্য়বন্ধটি ৷ যাইহোক, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিপুল বলেন, "আমরা সেই গল্পটাই বলেছি যা বলা একান্ত দরকার ৷... এটা কখনও সংখ্যার বিষয় ছিলই না ৷ 32 হোক বা 32000 কিছু যায় আসে না ৷ যারা এই অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য সংখ্য়া কোনও পার্থক্য তৈরি করে না ৷ গুরুত্বপূর্ণ হল এটা(ধর্ম পরিবর্তন) ঘটেছে ৷ আর এটা এমন একটা ঘটনা যা জনতার সামনে আনা দরকার ছিল ৷"

অনেকের মতে, ছবিতে যে তথ্য় সামনে এসেছে তার অভিঘাতের ক্ষেত্রে অনেকখানি পার্থক্য় তৈরি হতে পারে বিপুলের এই মন্তব্যের পরে ৷ এই ছবিতে কেরলকে দেখানো হয়েছে ধর্মান্তকরণের অন্য়তম প্রধান ক্ষেত্র হিসাবে ৷ বেশকিছু মুসলিম মানুষ সেখানে নাকি কলেজে পড়তে আসা মেয়েদের ড্রাগ দিয়ে মগজধোলাই করে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করছে ৷ কাউকে কাউকে ফাঁসানো হচ্ছে মিথ্য়া প্রেমের ফাঁদে ৷ আর একসময় তারা আইএসআইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে ৷ ছবিতে এক ভয়াবহ সত্যিকে তুলে ধরার দাবি করেছেন নির্মাতারা ৷ আর এখন সেই ঘটনার অভিঘাত নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ৷

বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবিকে বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায় ৷ তাঁর মতে, এই ছবির জেরে হিংসা বাড়বে ৷ বাড়বে ঘৃণার আবহ ৷ সেই কারণেই এই ছবিকে তিনি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷ সেই ব্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অনেকেই ৷ কিন্তু বিপুল শাহের এই মন্তব্য সামনে আসার পর মিথ্যাচার নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে ৷

আরও পড়ুন: আসছে টলিক্যুইন ঋতুপর্ণার ডাবল ধামাকা, অপেক্ষায় অনুরাগীরা

Last Updated : May 10, 2023, 7:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.