মুম্বই, 12 এপ্রিল: 2019 সালে সলমন খানের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক সাংবাদিক ৷ গত 30 মার্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট ৷ এবার সামনে এল আদালতের বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ ৷ যেখানে আদালত জানিয়েছে, বিচার ব্যবস্থা কখনওই অকারণ হয়রানির একটি মাধ্য়ম হতে পারে না ৷ বিচারপতি ভারতী ডাংরে সলমন ও তাঁর দেহরক্ষী নওয়াজ শেখের বিরুদ্ধে নিন্ম আদালতের জারি করা সমন এবং মামলা বাতিল করে দেন ৷ এবার সামনে এল বিস্তারিত রায়ের কপি ৷ তাতে এও লেখা হয়েছে যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সমন জারি করার সময় পদ্ধতি মেনে কাজ করেনি ৷
রায়ে লেখা হয়েছে, "শুধুমাত্র একজন অতি পরিচিত তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বলে বিচার ব্যবস্থা কখনওই অকারণ হয়রানির একটি মাধ্য়ম হতে পারে না ৷ কেউ অভিযোগকারীর নীপিড়নের শিকার হতে পারেন না । বিশেষ করে যিনি তাঁর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য় এই প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করেছিলেন তাঁর উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হতে পারে না ।"
আদালতের বক্তব্য , আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রাখা বিচার প্রক্রিয়ার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ আর সেই কারণেই এই মামলা বাতিল করা হয়েছে ৷ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সমন জারি করার আগে অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করা দরকার ছিল ৷ পাশাপাশি বিতারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, নিন্ম আদালত ফৌজদারি কার্যবিধিতে নির্ধারিত পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছে ৷
সলমন এবং তাঁর দেহরক্ষী নওয়াজ শেখের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ম্য়াজিস্ট্রেট আদালত ৷ তাঁদের 5 এপ্রিলের আগে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় ৷ সলমন এবং দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং ভয় দেখানোর এই অভিযোগ এনেছিলেন সাংবাদিক অশোক পাণ্ডে ৷ সলমন এরপর এই সমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানান ৷ 5 এপ্রিল হাইকোর্ট হাইকোর্ট এই রায়ে বিরুদ্ধে 'স্টে অর্ডার' জারি করে ৷ এবার মামলা খারিজ হয়ে গেল । অশোকের অভিযোগ ছিল 2019 সালে মুম্বইয়ের রাস্তায় বাইসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় সলমন ও তাঁর দেহরক্ষী তাঁকে অসম্মান করেন ৷ যদিও সলমনের দাবি করেছিলেন, অশোককে তিনি কোনও কথাই বলেননি ৷
আরও পড়ুন: ক্রিকেট জুয়ায় উৎসাহ জোগাচ্ছেন সৌরভ আমিররা, আইপিএলের মরশুমে দায়ের জনস্বার্থ মামলা