কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খান অভিনীত 'জওয়ান'। যা ইতিমধ্যেই কাঁপিয়ে দিয়েছে বক্স অফিস ৷ কয়েকশো কোটি টাকা ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে এই সিনেমা থেকে। সিনেমাপ্রেমী বা শুধু শাহরুখ ভক্তরাই নয়, এই সিনেমা দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা। কখনও শাহরুখ খানকে দেখে হাততালি-চিৎকার প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে। আবার কখনও কিং খানের সংলাপে গলা মেলাচ্ছেন শাহরুখ ভক্তরা। তবে এবার দেখা গেল অন্য দৃশ্য ৷ শাহরুখের সঙ্গে গলা মিলিয়ে প্রেক্ষাগৃহের মধ্যেই চলল 'আজাদি'র স্লোগান।
গত বৃহস্পতিবার স্টার থিয়েটারে শাহরুখ খানের 'জওয়ান' দেখতে ভিড় জমান এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। সিনেমা চলাকালীন তাঁদের মুখে শোনা গিয়েছিল 'আজাদির' স্লোগান। কারা এই তরুণ তরুণী? এরা সকলেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। প্রাক্তন-বর্তমান মিলে প্রায় 83 জন পড়ুয়া বিকেল 4:50 নাগাদ ভিড় জমিয়েছিলেন হাতিবাগানের স্টার থিয়েটারে। বাদশার ছবি দেখার জন্যই এই আয়োজন ৷ সিনেমার চলাকালীন যখন প্রিয় অভিনেতা বলছেন, "আজাদি গরিবি সে, আজাদি অন্যায় সে’ তখনই প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে 'আজাদি' স্লোগান তোলেন পড়ুয়ারা।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন পড়ুয়া অদ্রিজা কারাক বলেন, "বিনোদনের জগতে এই রকম রাজনৈতিক সিনেমা আগে হয়েছে কি না, সন্দেহ। বিগত 10 বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের যা যা কাণ্ড আমরা দেখেছি সেই সব রয়েছে এই সিনেমাতে। ওটা শাহরুখ খান বলেই এই সিনেমাটা চলছে। পাঠানের সময় কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কিছু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। তাই এই ক্ষেত্রে বলার সুযোগ নেই। "
প্রসঙ্গত, 'জওয়ান' যে একটি রাজনৈতিক সিনেমা তার স্বীকার করে নিয়েছেন বহু রাজনীতিবিদরাও। দেশীয় রাজনীতির ময়দানে সব থেকে বড় আন্দোলন হয়ে দাঁড়িয়েছিল কৃষক আন্দোলন। দীর্ঘদিনের সেই আন্দোলনে অবশেষে জয় পেয়েছিলেন কৃষকরা। তবে এই জয়ের মাঝেও তাঁরা হারিয়ে ছিলেন তাঁদের বহু সঙ্গীদের। সেই সময়ের প্রত্যেকটা মুহূর্ত ফুটে উঠেছে শাহরুখ খানের নতুন সিনেমায়।
আরও পড়ুন: 'আভি তো দিল জওয়ান হ্যায়', সাকসেস মিটে মঞ্চে শাহরুখ-দীপিকার কেমেস্ট্রি ভাইরাল
এখানেই শেষ নয়, 2017 সালে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা দিয়েছিল। ওই সময় কাফিল খান নামে এক চিকিৎসক নিজের খরচে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এনসেফাল্যাইটিসে আক্রান্ত 63 জন শিশু। কাফিলের দাবি, হাসপাতালের পরিস্থিতি উচ্চ আধিকারিকদের জানালেও কোনও লাভ হয়নি। বরং শিশুদের মৃত্যুর পর মিথ্যা অভিযোগে কাফিলকে জেলে পাঠানো হয়। সেই ঘটনাও বলা হয়েছে 'জওয়ান'-এ ।