পুনে, 15 জুলাই: অভিনেতা রবীন্দ্র মহাজনি মারাঠি সিনেমার পরিচিত মুখ ৷ পুনের মাভেল এলাকার অম্বি গ্রাম থেকে উদ্ধার হল অভিনেতার মৃতদেহ ৷ গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে একটি বন্ধ ঘর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, এই বাড়িতে একাই ভাড়া থাকতেন রবীন্দ্র ৷ ছেলে গসমির মহাজনিও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ৷
গত 9 মাস ধরে এই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন অভিনেতা ৷ সম্প্রতি একটি সার্জারিও করাতে হয়েছিল তাঁকে ৷ তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন ৷ খুব বেশি চলাফেরাও তিনি করতে পারতেন না বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ সম্প্রতি স্থানীয়রা অভিনেতার ঘর থেকে পচা গন্ধ পান ৷ তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন ৷ আর তারপর ঘর থেকে অভিনেতার মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মৃত্যুর ঠিক আগেই স্নানে গিয়েছিলেন অভিনেতা ৷ স্নান সারার পর পোশাকও বদলান ৷ কিন্তু ঠিক কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায়নি ৷ অভিনেতার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তলেগাঁও পুলিশ গোটা বিষয়টির খতিয়ে দেখছে ৷ মৃ্ত্যুটি স্বাভাবিক না কি এর মধ্যে অন্য় কোনও বিষয় রয়েছে তা অবশ্য জানানো হয়নি পুলিশের তরফে ৷ সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরলেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, বাড়িতেই বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের
রবীন্দ্র মহাজনির জন্ম বেলগাঁওতে ৷ বাবা এইচআর মহাজনি ছিলেন সংবাদ জগতের পরিচিত মুখ ৷ তাঁর সঙ্গে ছোটবেলাতেই মুম্বই চলে আসেন রবীন্দ্র ৷ সেখানেই কেটেছিল তাঁর ছোটবেলা ৷ রবীন্দ্রর জীবন মোটেই সহজ ছিল না ৷ বরং অভিনয়ের পাশাপাশি পেট চালাতে একসময় তিন বছর ট্যাক্সিও চালিয়েছেন তিনি ৷
শেষমেশ মধুসূদন কালেকরের নাটক 'জনতা অজনতা'য় ডাক পাওয়ার পর তিনি পরিচিতি পেতে শুরু করেন ৷ এরপর মারাঠি ছবি 'ঝুঞ্জ'-এ তাঁর অভিনয় সকলের নজর কাড়ে ৷ তারপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ৷ 'গন্দহালত গন্দহাল', 'হলদি কুঙ্কু', 'লক্ষী'-র মতো বহু মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন ৷ ছেলে গসমিরের সঙ্গেও ছবিতে স্ক্রিনশেয়ার করেছেন তিনি ৷