আরামবাগ, 14 মার্চ : ভোটের রাজনীতিতে বাজিমাৎ করতে প্রাণপণ লড়াইয়ে নেমেছেন নেতানেত্রীরা ৷ সুষ্ঠভাবে গোটা প্রক্রিয়া সামলাতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশনও ৷ অথচ এই যুদ্ধক্ষেত্রের যাঁরা সৈনিক, অবহেলা করা হচ্ছে তাঁদেরই ৷ এমনটাই অভিযোগ আরামবাগে ভোটের প্রশিক্ষণ নিতে আসা প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের ৷ নিম্নমানের টিফিনের অভিযোগ তুলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই বিক্ষোভে সামিল হলেন তাঁরা ৷ পুড়িয়ে দিলেন টিফিনের জন্য বিলি করা কুপন ৷
শনিবার হুগলির আরামবাগ গার্লস হাইস্কুল এবং আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার ও ফাস্ট পোলিং অফিসাররা ৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রত্যেক ভোটকর্মীর টিফিনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হলেও সারাদিন কার্যত অভুক্তই থাকতে হচ্ছে তাঁদের ৷ সকাল 10টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকতে ভোর ভোর বাড়ি থেকে রওনা হতে হচ্ছে দূর-দূরান্তে থাকা ভোটকর্মীদের ৷ আর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে টিফিনের নামে কপালে জুটছে এক কাপ চা আর বিস্কুট ৷ অথচ প্রত্য়েকের টিফিনের জন্য় বরাদ্দ রয়েছে 170 টাকা ৷
আরও পড়ুন : ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত, ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির আর্তি শিক্ষিকার
ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীদের প্রশ্ন, বরাদ্দ করা টাকা কারা আত্মসাৎ করছে ? কেন ভোটকর্মীদের সঙ্গে এমন অমানুষিক আচরণ করা হচ্ছে ৷ প্রতিবাদে টিফিনের কুপন পুড়িয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখান প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসাররা ৷ শুরু হয় স্লোগান, শাউটিং ৷ বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ এরপর তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা ৷ সব মিলিয়ে তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা ৷