কলকাতা, 17 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফা থেকেই বিশেষ পর্যবেক্ষকের নজরদারিতে রাজ্যে ভোট হতে চলেছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন অজয় নায়েককে রাজ্যের স্পেশাল অবজ়ারভার নিয়োগ করে। কথা ছিল তিনি বুধবার বিকেলে আসবেন। তৃতীয় দফা থেকে ভোট পরিচালনায় নজরদারি চালাবেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবেন। কিন্তু পালটে গেছে সেই পরিকল্পনা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারের দপ্তর সূত্রে খবর, আজ মাঝরাতে রাজ্যে আসছেন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। রাত ১টা ২৫ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে আসবেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাব হাজির থাকবেন।
শেষবার বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কোনও বিশেষ পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসেননি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণভাবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে বিস্তর ক্ষমতা। তিনি নির্বাচনের যেকোনও বিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পরামর্শ দিতে পারেন। এরাজ্যের বিষয়গুলি নিয়ে দিল্লির নির্বাচন সদনে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। অতীতে দেখা গেছে বিশেষ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতে বড়সড় প্রশাসনের রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ১৯৮৪ ব্যাচের বিহার ক্যাডারের প্রাক্তন IAS অজয় নায়েককে। অজয় নির্বাচনের বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন। এবিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বিস্তর কারণ অতীতে তিনি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই বিহারের গত বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, নিয়মের বিষয়ে তিনি একেবারেই আপোসহীন। যেকোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও পিছ পা হন না। বিহারে একাধিকবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনার মুখে পড়েও নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন অজয়।
গতরাতে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপর তড়িঘড়ি আজ শহরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল দ্বিতীয় দফার ভোট। তিনি রাজ্যে চলে আসার ফলে দ্বিতীয় দফার ভোট পরিচালনার কাজেও যুক্ত থাকবেন বলেই মনে করছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সেক্ষেত্রে আগামীকাল তিনি কলকাতায় বসেই নির্বাচনের কাজকর্ম দেখতে পারেন। আবার তেমন পরিস্থিতিতে চলে যেতে পারেন রায়গঞ্জ, দার্জিলিং কিংবা জলপাইগুড়িতে। কিন্তু সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে। ফলে কলকাতায় থেকেই ভোট পরিচালনা করার সম্ভাবনা বেশি।