ETV Bharat / elections

আজ রাতেই আসছেন শহরে, আগামীকাল ভোটে চোখ বিশেষ পর্যবেক্ষকের - special observer

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারের দপ্তর সূত্রে খবর, আজ মাঝরাতে রাজ্যে আসছেন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। তাঁকে স্বাগত জানাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাফ হাজির থাকবেন।

অজয় নায়েক
author img

By

Published : Apr 17, 2019, 5:31 PM IST

কলকাতা, 17 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফা থেকেই বিশেষ পর্যবেক্ষকের নজরদারিতে রাজ্যে ভোট হতে চলেছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন অজয় নায়েককে রাজ্যের স্পেশাল অবজ়ারভার নিয়োগ করে। কথা ছিল তিনি বুধবার বিকেলে আসবেন। তৃতীয় দফা থেকে ভোট পরিচালনায় নজরদারি চালাবেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবেন। কিন্তু পালটে গেছে সেই পরিকল্পনা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারের দপ্তর সূত্রে খবর, আজ মাঝরাতে রাজ্যে আসছেন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। রাত ১টা ২৫ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে আসবেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাব হাজির থাকবেন।

শেষবার বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কোনও বিশেষ পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসেননি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণভাবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে বিস্তর ক্ষমতা। তিনি নির্বাচনের যেকোনও বিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পরামর্শ দিতে পারেন। এরাজ্যের বিষয়গুলি নিয়ে দিল্লির নির্বাচন সদনে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। অতীতে দেখা গেছে বিশেষ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতে বড়সড় প্রশাসনের রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ১৯৮৪ ব্যাচের বিহার ক্যাডারের প্রাক্তন IAS অজয় নায়েককে। অজয় নির্বাচনের বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন। এবিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বিস্তর কারণ অতীতে তিনি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই বিহারের গত বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, নিয়মের বিষয়ে তিনি একেবারেই আপোসহীন। যেকোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও পিছ পা হন না। বিহারে একাধিকবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনার মুখে পড়েও নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন অজয়।

গতরাতে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপর তড়িঘড়ি আজ শহরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল দ্বিতীয় দফার ভোট। তিনি রাজ্যে চলে আসার ফলে দ্বিতীয় দফার ভোট পরিচালনার কাজেও যুক্ত থাকবেন বলেই মনে করছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সেক্ষেত্রে আগামীকাল তিনি কলকাতায় বসেই নির্বাচনের কাজকর্ম দেখতে পারেন। আবার তেমন পরিস্থিতিতে চলে যেতে পারেন রায়গঞ্জ, দার্জিলিং কিংবা জলপাইগুড়িতে। কিন্তু সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে। ফলে কলকাতায় থেকেই ভোট পরিচালনা করার সম্ভাবনা বেশি।

কলকাতা, 17 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফা থেকেই বিশেষ পর্যবেক্ষকের নজরদারিতে রাজ্যে ভোট হতে চলেছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন অজয় নায়েককে রাজ্যের স্পেশাল অবজ়ারভার নিয়োগ করে। কথা ছিল তিনি বুধবার বিকেলে আসবেন। তৃতীয় দফা থেকে ভোট পরিচালনায় নজরদারি চালাবেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবেন। কিন্তু পালটে গেছে সেই পরিকল্পনা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারের দপ্তর সূত্রে খবর, আজ মাঝরাতে রাজ্যে আসছেন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। রাত ১টা ২৫ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে আসবেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাব হাজির থাকবেন।

শেষবার বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কোনও বিশেষ পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসেননি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাধারণভাবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে বিস্তর ক্ষমতা। তিনি নির্বাচনের যেকোনও বিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পরামর্শ দিতে পারেন। এরাজ্যের বিষয়গুলি নিয়ে দিল্লির নির্বাচন সদনে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। অতীতে দেখা গেছে বিশেষ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতে বড়সড় প্রশাসনের রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ১৯৮৪ ব্যাচের বিহার ক্যাডারের প্রাক্তন IAS অজয় নায়েককে। অজয় নির্বাচনের বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন। এবিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বিস্তর কারণ অতীতে তিনি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই বিহারের গত বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, নিয়মের বিষয়ে তিনি একেবারেই আপোসহীন। যেকোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও পিছ পা হন না। বিহারে একাধিকবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনার মুখে পড়েও নিজের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন অজয়।

গতরাতে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপর তড়িঘড়ি আজ শহরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল দ্বিতীয় দফার ভোট। তিনি রাজ্যে চলে আসার ফলে দ্বিতীয় দফার ভোট পরিচালনার কাজেও যুক্ত থাকবেন বলেই মনে করছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সেক্ষেত্রে আগামীকাল তিনি কলকাতায় বসেই নির্বাচনের কাজকর্ম দেখতে পারেন। আবার তেমন পরিস্থিতিতে চলে যেতে পারেন রায়গঞ্জ, দার্জিলিং কিংবা জলপাইগুড়িতে। কিন্তু সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে। ফলে কলকাতায় থেকেই ভোট পরিচালনা করার সম্ভাবনা বেশি।

Intro:কলকাতা, ১৭ এপ্রিল: একেবারে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ! বিজেপির দাবি, বাংলাদেশী অভিনেতা ফেরদৌস এবং নুরকে প্রচারে নামিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং সৌগত রায়। দুই অভিনেতার পর এবার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলল বিজেপি। আজ জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দপ্তরে এসে দাবি তুললেন, সৌগত রায় এবং কানহাইয়ালালের প্রার্থীপদ বাতিল করতে হবে।


Body:প্রয়াত ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রার্থীপদ একবার বাতিল করে দেয় ভারতের নির্বাচন কমিশন। তার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি এবং সরকারি কর্মীদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। সৌগত এবং কান হেলালের প্রার্থী পদ বাতিলের ক্ষেত্রে সেটাকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রশ্ন, যদি অতীতে ইন্দিরা গান্ধীর প্রার্থী পদ বাতিল হয় তবে ওই দুজনের হবে না কেন?

বিতর্কটা শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। ওই দিন বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালালের সমর্থনে প্রচার করেন। বিষয়টি নজরে আসতেই ময়দানে নামে রাজ্য বিজেপি। তারা অভিযোগ জানায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দপ্তরে। জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, ভিসা আইনের দিক থেকে বিষয়টি দেখা হোক। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কি করনীয় তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কারণ, আদর্শ আচরণবিধিতে বিদেশিদের প্রচার সংক্রান্ত কোন বিষয়ের উল্লেখ নেই। এক্ষেত্রে কি করা উচিত তা দিল্লিতে নির্বাচন সদনের কাছে জানতে চায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। এরই মাঝে মাঠে নামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিনেতা ফেরদৌস কে দেশে ফিরতে বলা হয়। কালো তালিকাভুক্ত করা হয় তাকে। অন্যদিকে আবার ফেরদৌসের ঘটনা মেটার আগেই সামনে আসে দমদম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে সিরিয়াল অভিনেতা নুর গাজির প্রচারের বিষয়টি সামনে আসে। এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। সূত্র জানাচ্ছে নুর এর বিষয়টিও নজরে এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা অবশ্য এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। এরই মাঝে বিজেপির তরফে দাবি তোলা হয়েছে, যদি প্রচারের জন্য বাংলাদেশী অভিনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে তাকে যিনি প্রচারের কাজে ব্যবহার করলেন সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।


Conclusion:এ প্রসঙ্গে আজ জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “ যে নির্বাচনে রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া চলছে, সেখানে আমি বলব রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে তৃণমূল। বিদেশিদের নিয়োগ করা হয়েছে। যারা এই কাজ করেছেন কানহাইয়ালাল এবং সৌগত বাবু, তাদের এই গ্রাউন্ডে প্রার্থী পদ বাতিল করে দেয়া উচিত।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.