হাসন, 29 এপ্রিল : ভোট দিয়ে বেরোলেই মিলছে সুস্বাদু, পেট ভরানো টিফিন ৷ কাগজের প্লেটে ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মুড়ি আর গরম গরম ঘুগনি ৷ ফ্রিতে এমন সার্ভিস পেয়ে বেজায় খুশি ভোটাররাও ৷ আর এ নিয়েই শুরু বিতর্ক ৷ বীরভূমের হাসন বিধানসভা এলাকায় এভাবেই মুড়ি, ঘুগনি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ মানতে নারাজ শাসক শিবির ৷
বীরভূমের হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের হাবাতকুণ্ড গ্রাম ৷ বৃহস্পতিবার অষ্টম দফায় ভোটগ্রহণ করা হল এই গ্রামে ৷ ভোট দিলেন গ্রামের প্রায় 200-250 ভোটার ৷ আর ভোট দিয়ে তাঁদের কাউকেই যাতে খালি পেটে ঘরে ফিরতে না হয়, তার জন্যই কিছু ‘জলযোগের আয়োজন’ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ অন্তত এমনটাই দাবি দলের স্থানীয় নেতৃত্বের ৷
এলাকার এক তৃণমূল নেতা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, গ্রামের মানুষের স্বার্থেই এই আয়োজন ৷ এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিরোধীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, ভোট বৈতরণী পেরোতেই এই মুড়ি-ঘুগনির দাওয়াই ৷
আরও পড়ুন : ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল - অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর
গ্রামের সাধারণ ভোটাররা অবশ্য এই রাজনৈতিক কচকচানিতে যেতে রাজি নন ৷ সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে ভোট দিতে আসতে হয়েছে ৷ তাই ভোট দিয়ে বেরিয়েই কেউ যদি মুখের সামনে পেট ভরানো সুস্বাদু খাবার ধরায়, তাঁরা তা সানন্দেই গ্রহণ করেন ৷ বীরভূমের হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের হাবাতকুণ্ড গ্রামে ভোটের উৎসব সারা হল এভাবেই ৷ বলে রাখা ভালো, এত মানুষের খাওন-দাওনে শিকেয় ওঠে দূরত্ব বিধি ৷ আর ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের মুখে মাস্ক থাকলেও সবাই মিলে মুড়ি, ঘুগনি খাওয়ার সময় সেই মাস্কের ঠাঁই হয় ট্যাঁকে !