ETV Bharat / durga-puja

কোরোনা আবহে সৌরভের পাড়ার পুজোয় থাকছে চমক

বেহালার বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারে দেবী দর্শনের সঙ্গে সুযোগ থাকে দাদা-দর্শনের। কোরোনা আবহে চলছে পুজোর প্রস্তুতি৷ থাকছে কিছু বিধিনিষেধ৷ আইপিএল চলার মধ্যে পুজোয় কি থাকছেন মহারাজ?

puja_preparation_of_sourav_ganguly's_barisha_players_corner
কোরোনা আবহে সৌরভের পাড়ার পুজোয় থাকছে চমক
author img

By

Published : Oct 17, 2020, 12:45 PM IST

কলকাতা, 17 অক্টোবর : বেহালার দিকে যাঁরা মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে বেরোন, বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নার তাঁদের গন্তব্য তালিকায় অবশ্যই থাকে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য। দেবী দর্শনের সঙ্গে সুযোগ থাকে দাদা-দর্শনের। কারণ, এই পুজো যে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশেই।

বেহালা চৌরাস্তা স্টপেজে নেমে বীরেন রায় রোড (ইস্ট)-এ ঢুকতে গেলেই বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজোর গেট। রাস্তা ধরে একটু এগোলেই মণ্ডপ। এবার এই পুজোর 48তম বছর। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন। 1973 সালে এই ক্লাব স্থানীয় ফুটবল ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর সকলে ঠিক করেন হারের হতাশা ঝেড়ে ফেলতে শুরু করবেন দুর্গাপুজো৷ সেই থেকেই গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার, কাঞ্জিলাল পরিবার, নাগ ও দাস পরিবারের সদস্যরা এলাকার সকলকে নিয়ে এই পুজোর আয়োজন করে আসছেন৷ বাবার প্রয়াণের পর থেকে পাড়ার পুজোয় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ আজও এখানকার ভোগ আসে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার থেকেই।

নতুন প্রজন্মের হাতেই এবার পুজোর ভার। বলা ভালো, এই পুজো এবার কার্যত মহিলা পরিচালিত পুজো। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের গৃহবধূদের সঙ্গে পুজোর আয়োজনে সমান সক্রিয় এলাকার প্রতিটি পরিবারের মহিলা সদস্যরা। গাইড করছেন এতদিন পুজো সামলানোয় অভিজ্ঞরা।

আইপিএল চলছে। বার দু'য়েক BCCI সভাপতি ঘুরে এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে। তবে এখনও যা ঠিক আছে তাতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পুজো কাটাবেন বেহালাতেই। সে কথা মাথায় রেখেই কোরোনা আবহে মহাষ্টমীর দিন, সন্ধিপুজোর সময় পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সৌরভ মণ্ডপে থাকবেন বলে চৌরাস্তার মুখ থেকেই জনসাধারণকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। সংবাদমাধ্যম ও পুজোর সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলি শুধু মণ্ডপে থাকবে। তবে হতাশার কিছু নেই। চমক আছে।

পুজো কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুঁই গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, বিসর্জন সব লাইভ সম্প্রচার হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠাতে বলেছি। পেজে আপলোডের পাশাপাশি তা মাইকেও বাজানো হবে। প্রবীণ মানুষরা চাইলে বাইরে না বেরিয়ে ঘরে বসেই পুজো দেখতে পারবেন। মণ্ডপে সরকারি বিধি মেনে সকলের মাস্ক বাধ্যতামূলক।"

কোরোনা আবহে সৌরভের পাড়ার পুজোয় থাকছে চমক

বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারে আগে কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা এলেও এখন সাবেকি প্রতিমা আনা হয় বাঁশদ্রোণী থেকে। এবার প্রতিমা ও মণ্ডপ অন্যবারের তুলনায় ছোটো। প্রথমবার যিনি ঢাক বাজিয়েছিলেন সেই পরিবার থেকেই আসেন ঢাকি৷ মণ্ডপ হচ্ছে বনেদি, জমিদার বাড়ির নাটমন্দিরের আদলে। থিম নেই, আছে থার্মোকলের চোখধাঁধানো কাজ‌। জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি চলার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, দাদা কি কোরোনা আবহে ঢাক বাজাবেন? বাজালেও কবে?

কলকাতা, 17 অক্টোবর : বেহালার দিকে যাঁরা মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে বেরোন, বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নার তাঁদের গন্তব্য তালিকায় অবশ্যই থাকে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য। দেবী দর্শনের সঙ্গে সুযোগ থাকে দাদা-দর্শনের। কারণ, এই পুজো যে হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশেই।

বেহালা চৌরাস্তা স্টপেজে নেমে বীরেন রায় রোড (ইস্ট)-এ ঢুকতে গেলেই বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজোর গেট। রাস্তা ধরে একটু এগোলেই মণ্ডপ। এবার এই পুজোর 48তম বছর। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন। 1973 সালে এই ক্লাব স্থানীয় ফুটবল ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর সকলে ঠিক করেন হারের হতাশা ঝেড়ে ফেলতে শুরু করবেন দুর্গাপুজো৷ সেই থেকেই গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার, কাঞ্জিলাল পরিবার, নাগ ও দাস পরিবারের সদস্যরা এলাকার সকলকে নিয়ে এই পুজোর আয়োজন করে আসছেন৷ বাবার প্রয়াণের পর থেকে পাড়ার পুজোয় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ আজও এখানকার ভোগ আসে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার থেকেই।

নতুন প্রজন্মের হাতেই এবার পুজোর ভার। বলা ভালো, এই পুজো এবার কার্যত মহিলা পরিচালিত পুজো। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের গৃহবধূদের সঙ্গে পুজোর আয়োজনে সমান সক্রিয় এলাকার প্রতিটি পরিবারের মহিলা সদস্যরা। গাইড করছেন এতদিন পুজো সামলানোয় অভিজ্ঞরা।

আইপিএল চলছে। বার দু'য়েক BCCI সভাপতি ঘুরে এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে। তবে এখনও যা ঠিক আছে তাতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পুজো কাটাবেন বেহালাতেই। সে কথা মাথায় রেখেই কোরোনা আবহে মহাষ্টমীর দিন, সন্ধিপুজোর সময় পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সৌরভ মণ্ডপে থাকবেন বলে চৌরাস্তার মুখ থেকেই জনসাধারণকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। সংবাদমাধ্যম ও পুজোর সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলি শুধু মণ্ডপে থাকবে। তবে হতাশার কিছু নেই। চমক আছে।

পুজো কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুঁই গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, বিসর্জন সব লাইভ সম্প্রচার হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠাতে বলেছি। পেজে আপলোডের পাশাপাশি তা মাইকেও বাজানো হবে। প্রবীণ মানুষরা চাইলে বাইরে না বেরিয়ে ঘরে বসেই পুজো দেখতে পারবেন। মণ্ডপে সরকারি বিধি মেনে সকলের মাস্ক বাধ্যতামূলক।"

কোরোনা আবহে সৌরভের পাড়ার পুজোয় থাকছে চমক

বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারে আগে কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা এলেও এখন সাবেকি প্রতিমা আনা হয় বাঁশদ্রোণী থেকে। এবার প্রতিমা ও মণ্ডপ অন্যবারের তুলনায় ছোটো। প্রথমবার যিনি ঢাক বাজিয়েছিলেন সেই পরিবার থেকেই আসেন ঢাকি৷ মণ্ডপ হচ্ছে বনেদি, জমিদার বাড়ির নাটমন্দিরের আদলে। থিম নেই, আছে থার্মোকলের চোখধাঁধানো কাজ‌। জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি চলার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, দাদা কি কোরোনা আবহে ঢাক বাজাবেন? বাজালেও কবে?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.