মালদা, 22 মার্চ : এক ব্যক্তির খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকায় ৷ উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ৷ খুনে অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী ৷ এদিকে, ঘটনার পরই দু’জন থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
নিহত ব্যক্তির নাম লক্ষ্মণ ঘোষ (42) ৷ তাঁর বাড়ি পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি ঘোষপাড়া এলাকায় ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ ঘোষের সঙ্গে বেহুলা এলাকার এক মহিলার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল ৷ সেই সম্পর্কের জেরেই তাঁকে রবিবার রাতে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ৷ সোমবার ভোরে বেহুলা এলাকায় লক্ষ্মণ ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷
পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয় ৷ এদিকে, লক্ষ্মণ ঘোষকে খুনের ঘটনায় দু’জন মালদা থানায় আত্মসমর্পন করেছেন ৷ অন্যদিকে, পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে লক্ষ্মণ ঘোষের বাড়িতে যেতেই কেন পরিবারকে না জানিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ উত্তেজিত হয়ে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালান তাঁরা ৷ পথ অবরোধ করেন ৷ এই সময় কয়েকজন সাধারণ যাত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় একজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : শিশুদের যৌন হেনস্থার প্রতিবাদ করায় মারধর, মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী ৷ তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ অন্যদিকে, স্থানীয়রা বেহুলা এলাকার বাসিন্দা খুনে অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন ৷ পুলিশ কর্মীরা সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
লক্ষ্মণ ঘোষের স্ত্রী কৃষ্ণা ঘোষ বলেন, “গতকাল স্বামী বেহুলা মেলায় গিয়েছিল ৷ আজ সকালে স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই এলাকায় আদরী নামে এক মহিলার জন্য আমার স্বামীকে খুন হতে হয়েছে ৷ আমি এর বিচার চাই৷” যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি ৷