হায়দরাবাদ, 3 জুন : নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা এবার হায়দরাবাদে (Minor girl gang raped in Hyderabad) ৷ অভিযুক্ত মিম বিধায়কের ছেলে ৷ অভিযুক্ত সংখ্যালঘু পর্ষদের চেয়ারম্যানের ছেলেও ৷ তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় জনপ্রতিনিধির ছেলে কোনও ভাবেই জড়িত নয় ৷ ইতিমধ্যেই দু'জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ৷ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তদন্ত চলছে ৷
জুবিলি হিলস পুলিশ জানায়, ঘটনাটি গত 28 মে-র ৷ ওই দিন বিকেলের দিকে স্থানীয় একটি পাবে গিয়েছিল 17 বছরের মেয়েটি ৷ তার সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু ৷ অ্যামনেশিয়া নামে ওই পাবে আদি এবং সুরজ নামে ওই দুই বন্ধুর সঙ্গে তার ডিনারের প্ল্যান ছিল ৷ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নাবালিকা পাব থেকে বেরিয়ে আসে ৷ তার বন্ধুরা তাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ৷ বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে ওঠার পরই ঘটে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ৷ পুলিশের অনুমান, পাবটি থেকে বেরিয়ে আসার পর রাস্তার আরও দুই যুবক ওই গাড়িতে ওঠে ৷ তারপরই কোনও ফাঁকা জায়গায় ওই চার যুবক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে ৷ নাবালিকা চিৎকার শুরু করলে ফের তারা ওই পাবে রেখে যায় তাকে ৷ সেখানে থেকে কোনওক্রমে বাড়ি পৌঁছয় মেয়েটি ৷
তবে বাড়িতে গিয়েও কাউকে কিছু জানায় না নাবালিকা ৷ পরের দিন তার শরীরে ক্ষত লক্ষ্য করেন তার বাবা ৷ তিনি দেখেন, মেয়ের পিঠে এবং ঘাড়ে ক্ষত তৈরি হয়েছে ৷ তখন তাকে জিজ্ঞেস করাতে সে জানায় গোটা ঘটনা ৷ সঙ্গে সঙ্গে জুবিলি হিলস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দু'জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ বাকি অভিযুক্তরা গোয়ায় পালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ৷ নাবালিকার সুরক্ষার কথা ভেবে তাকে হোমে (Assurance Center) রাখা হয়েছে ৷ তার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে ৷ তাতে প্রমাণ হয়েছে যে তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে ৷ পুলিশ ওই পাবের আসপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে ৷ তার ভিত্তিতে পুলিশের চারটি টিম ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন : Life Imprisonment : বধূ খুনে স্বামী-সহ 5 জনের যাবজ্জীবন