ETV Bharat / crime

Same Sex Relationship: সমকামী শারীরিক সম্পর্কের দাবি করায় বন্ধুর হাতে খুন যুবক - সমকামী শারীরিক সম্পর্ক

বারবার সমকামী শারীরিক সম্পর্কের দাবি করায় খুন হতে হল যুবককে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের হালোলে ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে ৷

Murder in Gujarat
Same Sex Relationship
author img

By

Published : Jan 16, 2023, 6:18 PM IST

হালোল(গুজরাত), 16 জানুয়ারি: বন্ধুর কাছে সমকামী শারীরিক সম্পর্ক (Same Sex Relationship) চেয়েছিল এক যুবক ৷ পরিণতি হল মৃত্যু ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য গুজরাতের পঞ্চমহল জেলায় । পুলিশ জানিয়েছে বারংবার সমকামী শারীরিক সম্পর্কের দাবি করায় বন্ধুর উপর বিরক্ত হয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভীমাভাই রাথওয়া রণছোড় নামে বছর ঊনষাটের এক ব্য়ক্তি ৷ মৃত যুবকের নাম সুমন চন্দ্রসিং পারমার (34) ৷

জানা গিয়েছে, গত 7 জানুয়ারি সুমন চন্দ্রসিং পারমারের দাদা ভাইয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পাভাগড় থানায় । তিনি অভিযোগে জানান, গত পাঁচ দিন ধরে তাঁর ভাই সুমন নিখোঁজ । সুমনের সন্ধানে পুলিশ হালোল পল্লী একটি দল তৈরি করে খোঁজ শুরু করে। পরিবারের সদস্যরাও সুমনকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। পুলিশ কোনওভাবেই ওই যুবকের ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা শুরু করে ।

জিজ্ঞাসাবাদ করার পর একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর সন্দেহ হয় পুলিশের । যিনি থাকেন হালোলের রাথোয়া ফালিতে । জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ এই ব্যক্তির উপর নজর রাখতে শুরু করে । পুলিশ দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাপ্তবয়স্ক রণছোড় ভেঙ্গে পড়ে এবং সত্য বেরিয়ে আসে ৷ পুলিশকে তিনি জানান, নিহত সুমন বারবার সমকামী সম্পর্কের দাবি করছিল । এই সম্পর্কের জন্য বলপ্রয়োগ করত সুমন । এমন চাপের কাছে মাথা নত করতে না চাইলেও সুমনের ক্রমাগত চাওয়া-পাওয়ায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে তিনি । এটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন ।

পরিকল্পনা অনুসারে, বন্ধু সুমনকে তার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে নওয়াগামে তাঁর খামারে ডেকে পাঠায় রণছোড় । যেখানে তাঁকে মাঠের মধ্যে একটি কুঁড়েঘরে নিয়ে যাওয়া হয় । সুমন কুঁড়েঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে 59 বছর বয়সি রণছোড় তাঁর মাথায় কুড়োল দিয়ে আঘাত করে । রণছোড়ের এই কাজের কথা যাতে কেউ জানতে না পারে তাই তিনি ভয়ে নিজের ক্ষেতে একটি গর্ত খুঁড়ে সুমনের রক্তমাখা দেহ পুঁতে দেন ।

সুমনের পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ করতে থাকে । এর মধ্যে রণছোড় তাঁর সঙ্গে থাকা সুমনের মোবাইল ফোনটি চালু করে বারবার সুইচ অফ করত । এইভাবে তিনি বারবার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের বিভ্রান্ত করতেন । নিহত সুমনের কল ডিটেইলস এবং রণছোড়ের উপর সন্দেহ হওয়ায় ৷ তাঁর উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ । তারপরেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে ৷

পুলিশ রণছোড়ের বয়ান অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে ৷ খোঁড়াখুঁড়ির করার পর প্রায় এক ফুট গভীর মাটি থেকে দেহ পাওয়া যায় সুমনের । পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযুক্তের উল্লেখিত স্থানে খনন করা হয় । পুরো ঘটনায় সুমনের দেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়ার শুরু করে হালোল পল্লী থানা পুলিশ ৷ অভিযুক্ত রণছোড়কে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে থাকতে দিতে রাজি নয় পরিবার ! আদালতের দ্বারস্থ দুই সমকামী তরুণী

হালোল(গুজরাত), 16 জানুয়ারি: বন্ধুর কাছে সমকামী শারীরিক সম্পর্ক (Same Sex Relationship) চেয়েছিল এক যুবক ৷ পরিণতি হল মৃত্যু ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য গুজরাতের পঞ্চমহল জেলায় । পুলিশ জানিয়েছে বারংবার সমকামী শারীরিক সম্পর্কের দাবি করায় বন্ধুর উপর বিরক্ত হয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভীমাভাই রাথওয়া রণছোড় নামে বছর ঊনষাটের এক ব্য়ক্তি ৷ মৃত যুবকের নাম সুমন চন্দ্রসিং পারমার (34) ৷

জানা গিয়েছে, গত 7 জানুয়ারি সুমন চন্দ্রসিং পারমারের দাদা ভাইয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পাভাগড় থানায় । তিনি অভিযোগে জানান, গত পাঁচ দিন ধরে তাঁর ভাই সুমন নিখোঁজ । সুমনের সন্ধানে পুলিশ হালোল পল্লী একটি দল তৈরি করে খোঁজ শুরু করে। পরিবারের সদস্যরাও সুমনকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। পুলিশ কোনওভাবেই ওই যুবকের ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা শুরু করে ।

জিজ্ঞাসাবাদ করার পর একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর সন্দেহ হয় পুলিশের । যিনি থাকেন হালোলের রাথোয়া ফালিতে । জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ এই ব্যক্তির উপর নজর রাখতে শুরু করে । পুলিশ দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাপ্তবয়স্ক রণছোড় ভেঙ্গে পড়ে এবং সত্য বেরিয়ে আসে ৷ পুলিশকে তিনি জানান, নিহত সুমন বারবার সমকামী সম্পর্কের দাবি করছিল । এই সম্পর্কের জন্য বলপ্রয়োগ করত সুমন । এমন চাপের কাছে মাথা নত করতে না চাইলেও সুমনের ক্রমাগত চাওয়া-পাওয়ায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে তিনি । এটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন ।

পরিকল্পনা অনুসারে, বন্ধু সুমনকে তার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে নওয়াগামে তাঁর খামারে ডেকে পাঠায় রণছোড় । যেখানে তাঁকে মাঠের মধ্যে একটি কুঁড়েঘরে নিয়ে যাওয়া হয় । সুমন কুঁড়েঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে 59 বছর বয়সি রণছোড় তাঁর মাথায় কুড়োল দিয়ে আঘাত করে । রণছোড়ের এই কাজের কথা যাতে কেউ জানতে না পারে তাই তিনি ভয়ে নিজের ক্ষেতে একটি গর্ত খুঁড়ে সুমনের রক্তমাখা দেহ পুঁতে দেন ।

সুমনের পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ করতে থাকে । এর মধ্যে রণছোড় তাঁর সঙ্গে থাকা সুমনের মোবাইল ফোনটি চালু করে বারবার সুইচ অফ করত । এইভাবে তিনি বারবার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের বিভ্রান্ত করতেন । নিহত সুমনের কল ডিটেইলস এবং রণছোড়ের উপর সন্দেহ হওয়ায় ৷ তাঁর উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ । তারপরেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে ৷

পুলিশ রণছোড়ের বয়ান অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে ৷ খোঁড়াখুঁড়ির করার পর প্রায় এক ফুট গভীর মাটি থেকে দেহ পাওয়া যায় সুমনের । পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযুক্তের উল্লেখিত স্থানে খনন করা হয় । পুরো ঘটনায় সুমনের দেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়ার শুরু করে হালোল পল্লী থানা পুলিশ ৷ অভিযুক্ত রণছোড়কে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে থাকতে দিতে রাজি নয় পরিবার ! আদালতের দ্বারস্থ দুই সমকামী তরুণী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.