ETV Bharat / city

'একনায়কতন্ত্র চলছে', টিকিট না পেয়ে পদত্যাগ শিলিগুড়ির সিপিআইএম কাউন্সিলরের ?

author img

By

Published : Mar 11, 2021, 10:40 AM IST

Updated : Mar 11, 2021, 12:47 PM IST

ইচ্ছে ছিল শিলিগুড়ি বা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ৷ কিন্তু টিকিট পাননি ৷ এরপরই দল ছাড়েন শিলিগুড়ির সিপিআইএম নেতা শংকর ঘোষ ৷ বললেন, আত্মসম্মান বাঁচাতে দলত্যাগ করতে বাধ্য হলাম ৷

CPIM leader Sankar Ghosh Resign
শংকর ঘোষ

শিলিগুড়ি, 10 মার্চ : নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা বাম শিবিরে । পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য, বাম কাউন্সিলর, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শংকর ঘোষ । বুধবার সকালে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন ৷ প্রথমে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি শংকর ঘোষ বা বাম শিবিরের কোনও নেতা । পরে অবশ্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি ৷

আরও পড়ুন : জয়ের বিষয়ে আশাবাদী গলসির তৃণমূল প্রার্থী

শিলিগুড়ি কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী করা হয়েছে অশোক ভট্টাচার্যকে ৷ অন্যদিকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে গতবারের পরাজিত প্রার্থী দিলীপ সিংকে ৷ এই দু'টি কেন্দ্রের যে কোনও একটিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হওয়ার জন্য টিকিট চেয়েছিলেন শংকর ঘোষ ৷ কিন্তু টিকিট পাননি ৷ সূত্রের খবর, দলীয় পদের পাশাপাশি নির্বাচনে নতুন প্রজন্মকে সুযোগ না দেওয়ায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন শংকর ৷

আরও পড়ুন : মমতা-শুভেন্দুর সম্মুখসমরে অকুতভয় কুলটির মীনাক্ষী

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দলের মধ্যে একনায়কতন্ত্র চলছে । কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে । বেশ কয়েক বছর ধরেই সেই সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছিলাম । কিন্তু আত্মসম্মান বাঁচাতে শেষমেশ দল ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম ।

এদিকে প্রথমে শংকরের ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও রাতে সংবাদমাধ্যমের চাপে পড়ে তড়িঘড়ি দার্জিলিং জেলা সিপিআইএমের কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে বৈঠকে বসে জেলা কমিটি ৷ বৈঠকে শংকরকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । দার্জিলিং জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, ব্যক্তিগত লাভ এবং উচ্চাকাঙ্খার জন্যই কার্যত দলকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন শংকর ঘোষ । দলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরে সূর্যোদয়ের আশায় বামেদের তরুণ ব্রিগেড

যদিও রাজনৈতিক মহল সূত্রে খবর, টিকিট না পাওয়ায় বিজেপিতে যোগদানের করতে পারেন শংকর ঘোষ । ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি । সব ঠিক থাকলে গেরুয়া শিবির থেকেই শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র অথবা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন । যদিও শংকর নিজে জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেননি ৷ এবিষয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে গতবার বিধানসভা নির্বাচনে যত ভোটে জিতেছিলাম তার থেকে দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হব ।

আত্মসম্মান বাঁচাতে দলত্যাগ করতে বাধ্য হলাম, বললেন শিলিগুড়ির সিপিআইএম নেতা শংকর ঘোষ
এসএফআইয়ের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়েই রাজনীতিতে প্রবেশ শংকর ঘোষের । তারপর ডিওয়াইএফআই । কয়েক বছর আগে দার্জিলিং জেলার সিপিআইএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হন তিনি । গত পৌরসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 24 নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিআইএমের তরফে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন । ভোটে জেতার পর দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ে । তাঁকে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিভাগের মেয়র পারিষদ করা হয় । বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি । কিন্তু নির্বাচনের আগেই ঘটে ছন্দপতন । টিকিট না পাওয়ায় প্রথমে কিছুটা বেসুরো হন । দলকে নিজের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টাও করেন । কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় শেষমেষ দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ।

শিলিগুড়ি, 10 মার্চ : নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা বাম শিবিরে । পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য, বাম কাউন্সিলর, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শংকর ঘোষ । বুধবার সকালে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন ৷ প্রথমে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি শংকর ঘোষ বা বাম শিবিরের কোনও নেতা । পরে অবশ্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি ৷

আরও পড়ুন : জয়ের বিষয়ে আশাবাদী গলসির তৃণমূল প্রার্থী

শিলিগুড়ি কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী করা হয়েছে অশোক ভট্টাচার্যকে ৷ অন্যদিকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে গতবারের পরাজিত প্রার্থী দিলীপ সিংকে ৷ এই দু'টি কেন্দ্রের যে কোনও একটিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হওয়ার জন্য টিকিট চেয়েছিলেন শংকর ঘোষ ৷ কিন্তু টিকিট পাননি ৷ সূত্রের খবর, দলীয় পদের পাশাপাশি নির্বাচনে নতুন প্রজন্মকে সুযোগ না দেওয়ায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন শংকর ৷

আরও পড়ুন : মমতা-শুভেন্দুর সম্মুখসমরে অকুতভয় কুলটির মীনাক্ষী

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, দলের মধ্যে একনায়কতন্ত্র চলছে । কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে । বেশ কয়েক বছর ধরেই সেই সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছিলাম । কিন্তু আত্মসম্মান বাঁচাতে শেষমেশ দল ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম ।

এদিকে প্রথমে শংকরের ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও রাতে সংবাদমাধ্যমের চাপে পড়ে তড়িঘড়ি দার্জিলিং জেলা সিপিআইএমের কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে বৈঠকে বসে জেলা কমিটি ৷ বৈঠকে শংকরকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । দার্জিলিং জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, ব্যক্তিগত লাভ এবং উচ্চাকাঙ্খার জন্যই কার্যত দলকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন শংকর ঘোষ । দলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরে সূর্যোদয়ের আশায় বামেদের তরুণ ব্রিগেড

যদিও রাজনৈতিক মহল সূত্রে খবর, টিকিট না পাওয়ায় বিজেপিতে যোগদানের করতে পারেন শংকর ঘোষ । ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি । সব ঠিক থাকলে গেরুয়া শিবির থেকেই শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র অথবা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন । যদিও শংকর নিজে জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেননি ৷ এবিষয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে গতবার বিধানসভা নির্বাচনে যত ভোটে জিতেছিলাম তার থেকে দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হব ।

আত্মসম্মান বাঁচাতে দলত্যাগ করতে বাধ্য হলাম, বললেন শিলিগুড়ির সিপিআইএম নেতা শংকর ঘোষ
এসএফআইয়ের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়েই রাজনীতিতে প্রবেশ শংকর ঘোষের । তারপর ডিওয়াইএফআই । কয়েক বছর আগে দার্জিলিং জেলার সিপিআইএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হন তিনি । গত পৌরসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 24 নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিআইএমের তরফে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন । ভোটে জেতার পর দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ে । তাঁকে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিভাগের মেয়র পারিষদ করা হয় । বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি । কিন্তু নির্বাচনের আগেই ঘটে ছন্দপতন । টিকিট না পাওয়ায় প্রথমে কিছুটা বেসুরো হন । দলকে নিজের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টাও করেন । কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় শেষমেষ দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ।
Last Updated : Mar 11, 2021, 12:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.