শিলিগুড়ি, 17 মার্চ : ক্ষমতায় এসেই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকাকে মান্যতা দিল শিলিগুড়ি পৌরনিগমের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ৷ সেই কারণে মহানন্দার দূষণ রুখতে এবার নদীর পাড় থেকে খাটাল সরানোর নির্দেশ দিল শিলিগুড়ি পৌরনিগম (Siliguri Municipal Corporation Takes Decision to end Pollution from Mahananda) ৷ এর জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিল তারা । 15 এপ্রিলের মধ্যে সমস্ত খাটাল সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । প্রয়োজনে খাটাল মালিকদের অন্যত্র গিয়ে তাঁদের ব্যবসা গড়তে সাহায্যও করা হবে বলে জানান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব (Siliguri Mayor Goutam Deb) ।
দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে নোংরা, আবর্জনায় বেহাল দশা শহরের প্রধান নদী মহানন্দার । একই পরিস্থিতি ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, পঞ্চনই নদীরও । এবার ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সমস্ত নদী সংস্কারে তৎপর হল পৌরনিগম । পৌরনিগমের 1, 3, 42, 43, 44, 46 এবং 47 ওয়ার্ডের খাটাল মালিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক সেরেছেন গৌতম দেব । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, পৌর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া-সহ অন্যান্যরা । দীর্ঘক্ষণ চলে বৈঠক । ওই বৈঠকে খাটাল মালিকদের নিজেদের উদ্যোগে খাটাল সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় ।
মেয়র বলেন, "15 এপ্রিল পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা । তার মধ্যেই সরিয়ে দিতে হবে সমস্ত খাটাল । ওই বিষয়ে এখনই বলপূর্বক কোনও কাজ করা হবে না । যাঁদের খাটাল রয়েছে, তাঁদের তা সরিয়ে নেওয়ার তার আবেদন করেছি । তাঁরা অন্যত্রে গিয়ে ব্যবসা করুক । তাঁদের সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিতে সমস্ত সাহায্য করা হবে । পাশাপাশি নদীর তীরে যাঁদের বসতি রয়েছে, তাঁদের পাট্টা প্রদান করা হবে । যেসমস্ত বাড়িতে জায়গা আছে কিন্তু শৌচালয় নেই, তাঁদের শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হবে এবং যেসমস্ত বাড়িতে জায়গা নেই, সেখানে একটি কমিউনিটি শৌচালয় তৈরি করা হবে ।"
পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, নদী সংস্কারের জন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (এসটিপি) কাজ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিবর্তে কলকাতা মিউনসিপ্যাল ডেভলপমেন্ট অথরিটিকে (KMDA) দিয়ে করানো হবে । কারণ, তাঁদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি । সেজন্য দ্রুত সমীক্ষা হবে ।
আরও পড়ুন : Gautam Deb Face Press Conference: শিলিগুড়ির উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব