ETV Bharat / city

দেশ স্বাধীনের রাতে উদ্বেগে জেগেছিলেন দার্জিলিং জেলার বাসিন্দারা - Independence

দেশ স্বাধীন হলেও দার্জিলিং কি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হল? না কি পূর্ব পাকিস্তানের? এই আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় সেই রাতে ঘুম ছিল না জেলাবাসীর । প্রত্যেকেই গেছিলেন গান্ধির ছায়া সঙ্গী তথা দাপুটে কংগ্রেস নেতা শিবমঙ্গল সিংয়ের কাছে ৷

দার্জিলিং
author img

By

Published : Aug 15, 2019, 5:36 PM IST

Updated : Aug 15, 2019, 8:12 PM IST

শিলিগুড়ি, 15 অগাস্ট : 15 আগস্ট মধ্যরাতে ঘোষণা হয় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা । গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠেছিল । যদিও এরাজ্যের উত্তরে বাংলাদেশ ঘেঁষা জেলা দার্জিলিংয়ের বাসিন্দারা তখনও উৎকন্ঠায়, আতঙ্কে । নিশ্চিত হতে পারছিলেন না দেশ স্বাধীন হলেও দার্জিলিং কি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হল? না কি পূর্ব পাকিস্তানের? এই আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় সেই রাতে ঘুম ছিল না জেলাবাসীর । প্রত্যেকেই গেছিলেন গান্ধির ছায়া সঙ্গী তথা দাপুটে কংগ্রেস নেতা শিবমঙ্গল সিংয়ের কাছে ৷ যদিও সেই রাতে তিনিও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন । তিনিও বুঝতে পারছিলেন না যে, তার স্বাধীনতা সংগ্রাম আদৌ স্বার্থকতা পেয়েছে কি না । স্বাভাবিকভাবেই ওই রাতে গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও দার্জিলিংবাসী গৃহবন্দী হয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন । আশঙ্কা করছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তির । যদিও 15 তারিখে সূর্যোদয়ের বহুক্ষণ পর স্বস্তি মিলেছিল । এরপর 15 তারিখ রাতে উল্লাসে মেতে ওঠেন দার্জিলিংবাসী । মহানন্দার তীরে পুড়েছিল আতসবাজি ।

দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা ছিলেন শিবমঙ্গল সিং । তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি ছিলেন । শুধু তাই নয়, মহাত্মা গান্ধির ঘনিষ্ঠ তথা ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর । স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা ছিল তাঁর । আজ তিনি বেঁচে নেই । তবে তাঁর নাতি নরেন্দ্র সিং ঠাকুরদাকে জীবিত রেখেছেন স্মৃতির রোমন্থনে ।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শিবমঙ্গল সিংয়ের নাতি নরেন্দ্র সিং ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, "ঠাকুরদা মহাত্মা গান্ধির ঘনিষ্ঠ ছিলেন । সেই সুবাদেই স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্টই । তবে যে রাতে দেশ স্বাধীন হয় সেই রাতে ঠাকুরদা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন । রাতভর জেগেছিলেন । সঙ্গে ছিলেন একাধিক জেলাবাসী । ভোরের সূর্য কোন দেশ থেকে দেখতে হবে তা নিয়ে আতঙ্কিত ছিলেন সকলেই ।"

শুনুন বক্তব্য


নরেন্দ্রবাবু বলেন, "ঠাকুরদা গল্প করতেন দেশ স্বাধীনের রাতে রেডিও মারফৎ খবর পান । কিন্তু দার্জিলিং কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত হল তা জানতে পারেননি । স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও এই জেলার সকলেই আতঙ্কে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি চিন্তা করে । রাতভর দুশ্চিন্তার শেষে পরদিন ফের রেডিও মারফৎ জানতে পারেন দার্জিলিং ভারতের অংশ । এরপরেই শুরু হয় উল্লাস । রাতের অন্ধকারে মহানন্দা নদীর চরে মশাল নিয়ে জমায়েত হয় জেলাবাসী । আতসবাজি পুড়িয়ে দেশ স্বাধীনের উল্লাস পর্ব চলে ।"

ঠাকুরদার সঙ্গে গান্ধির ঘনিষ্টতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নরেন্দ্রবাবু আরও বলেন, "গান্ধির ছায়া সঙ্গী ছিলেন বলা চলে । কেন না, সে সময় গান্ধি দার্জিলিং জেলায় এলেই ভেনাস মোড় সংলগ্ন এলাকায় দাদুর বাড়িতে থাকতেন । তবে সেই বাড়িটি আজ আর নেই । সেই কাঠের বাড়ির জায়গায় এখন দশতলা বিল্ডিং । দাদু ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, 1925 সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । সে সময় তিনি দার্জিলিঙে ছিলেন । তাঁকে দেখতে এসেছিলেন গান্ধি । গান্ধিকে পথ দেখিয়ে দার্জিলিঙে নিয়ে গেছিলেন আমার ঠাকুরদা । এছাড়াও ঠাকুরদা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্যে এসেছিলেন ।"

শিলিগুড়ি, 15 অগাস্ট : 15 আগস্ট মধ্যরাতে ঘোষণা হয় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা । গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠেছিল । যদিও এরাজ্যের উত্তরে বাংলাদেশ ঘেঁষা জেলা দার্জিলিংয়ের বাসিন্দারা তখনও উৎকন্ঠায়, আতঙ্কে । নিশ্চিত হতে পারছিলেন না দেশ স্বাধীন হলেও দার্জিলিং কি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হল? না কি পূর্ব পাকিস্তানের? এই আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় সেই রাতে ঘুম ছিল না জেলাবাসীর । প্রত্যেকেই গেছিলেন গান্ধির ছায়া সঙ্গী তথা দাপুটে কংগ্রেস নেতা শিবমঙ্গল সিংয়ের কাছে ৷ যদিও সেই রাতে তিনিও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন । তিনিও বুঝতে পারছিলেন না যে, তার স্বাধীনতা সংগ্রাম আদৌ স্বার্থকতা পেয়েছে কি না । স্বাভাবিকভাবেই ওই রাতে গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও দার্জিলিংবাসী গৃহবন্দী হয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন । আশঙ্কা করছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তির । যদিও 15 তারিখে সূর্যোদয়ের বহুক্ষণ পর স্বস্তি মিলেছিল । এরপর 15 তারিখ রাতে উল্লাসে মেতে ওঠেন দার্জিলিংবাসী । মহানন্দার তীরে পুড়েছিল আতসবাজি ।

দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা ছিলেন শিবমঙ্গল সিং । তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি ছিলেন । শুধু তাই নয়, মহাত্মা গান্ধির ঘনিষ্ঠ তথা ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর । স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা ছিল তাঁর । আজ তিনি বেঁচে নেই । তবে তাঁর নাতি নরেন্দ্র সিং ঠাকুরদাকে জীবিত রেখেছেন স্মৃতির রোমন্থনে ।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শিবমঙ্গল সিংয়ের নাতি নরেন্দ্র সিং ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, "ঠাকুরদা মহাত্মা গান্ধির ঘনিষ্ঠ ছিলেন । সেই সুবাদেই স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্টই । তবে যে রাতে দেশ স্বাধীন হয় সেই রাতে ঠাকুরদা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন । রাতভর জেগেছিলেন । সঙ্গে ছিলেন একাধিক জেলাবাসী । ভোরের সূর্য কোন দেশ থেকে দেখতে হবে তা নিয়ে আতঙ্কিত ছিলেন সকলেই ।"

শুনুন বক্তব্য


নরেন্দ্রবাবু বলেন, "ঠাকুরদা গল্প করতেন দেশ স্বাধীনের রাতে রেডিও মারফৎ খবর পান । কিন্তু দার্জিলিং কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত হল তা জানতে পারেননি । স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও এই জেলার সকলেই আতঙ্কে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি চিন্তা করে । রাতভর দুশ্চিন্তার শেষে পরদিন ফের রেডিও মারফৎ জানতে পারেন দার্জিলিং ভারতের অংশ । এরপরেই শুরু হয় উল্লাস । রাতের অন্ধকারে মহানন্দা নদীর চরে মশাল নিয়ে জমায়েত হয় জেলাবাসী । আতসবাজি পুড়িয়ে দেশ স্বাধীনের উল্লাস পর্ব চলে ।"

ঠাকুরদার সঙ্গে গান্ধির ঘনিষ্টতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নরেন্দ্রবাবু আরও বলেন, "গান্ধির ছায়া সঙ্গী ছিলেন বলা চলে । কেন না, সে সময় গান্ধি দার্জিলিং জেলায় এলেই ভেনাস মোড় সংলগ্ন এলাকায় দাদুর বাড়িতে থাকতেন । তবে সেই বাড়িটি আজ আর নেই । সেই কাঠের বাড়ির জায়গায় এখন দশতলা বিল্ডিং । দাদু ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, 1925 সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন । সে সময় তিনি দার্জিলিঙে ছিলেন । তাঁকে দেখতে এসেছিলেন গান্ধি । গান্ধিকে পথ দেখিয়ে দার্জিলিঙে নিয়ে গেছিলেন আমার ঠাকুরদা । এছাড়াও ঠাকুরদা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্যে এসেছিলেন ।"

Intro:ঘুম ভাঙবে কোন দেশে ভারতে না পূর্ব পাকিস্তানে, দেশ স্বাধীনের রাতেও উৎকন্ঠা, আতঙ্কে ভুগছিলেন জেলাবাসী!

শিলিগুড়ি, ১৪ আগস্টঃ ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে ঘোষনা হয় ভারতবর্ষ স্বাধীন। গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠেছিল। যদিও এরাজ্যের উত্তরে বাংলাদেশ ঘেঁষা জেলা দার্জিলিং এর বাসিন্দারা তখনও উৎকন্ঠা, আতঙ্কে ছিলেন। উঁড়েছিল রাতের ঘুম। নিশ্চিত হতে পারছিলেন না দেশ স্বাধীন হলেও দার্জিলিং কি ভারতের অন্তভুক্ত হল? নাকি পূর্ব পাকিস্তানের? এই আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় একপ্রকার ঘুম উঁড়েছিল জেলাবাসীর। প্রত্যেকেই চেয়ে ছিলেন গান্ধীর ছায়া সঙ্গী তথা দাপুটে কংগ্রেস নেতা শিবমঙ্গল সিং এর প্রতি৷ যদিও সেই রাতে তিনিও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। তিনিও বুঝতে পারছিলেন না যে তার স্বাধীনতা সংগ্রাম আদৌ কি স্বার্থকতা পেয়েছে কি না? স্বাভাবিকভাবেই ওই রাতে গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও দার্জিলিংবাসী অবশ্য গৃহবন্দী হয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন। আশঙ্কা করছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তির। যদিও ১৫ তারিখের সূর্যদয়ের বহু সময় বাদে স্বস্তি মিলেছিল। এরপর ১৫ তারিখ রাতে উল্লাসে মেতে ওঠেন দার্জিলিংবাসী। মহানন্দার তীরে পুড়েছিল আতসবাজি।

Body:দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা ছিলেন শিবমঙ্গল সিং। তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের দার্জিলিং এর সভাপতি ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মহাত্মা গান্ধী ঘনিষ্ঠ তথা ছায়া সঙ্গী হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। স্বাধীনতা আন্দোলনে তার ভূমিকাও অবশ্য এক্কেবারে কম ছিল না। বর্তমানে তিনি জীবিত নেই। তবে তার নাতি নরেন্দ্র সিং ঠাকুরদাকে জীবিত রেখেছেন স্মৃতির রোমন্থনে।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শিবমঙ্গল সিং এর নাতি নরেন্দ্র সিং ইটিভি ভারতে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, ঠাকুরদা মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই সুবাদেই স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান ছিল যথেষ্টই। তবে যেই রাতে দেশ স্বাধীন হয় সেই রাতে ঠাকুরদা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। রাতভর জেগেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন একাধিক জেলাবাসী। প্রত্যেকেই আতঙ্কে ছিলেন ভোরের সূর্য কোন দেশ থেকে দেখতে হবে তাদের। ভারতবর্ষে নাকি পূর্ব পাকিস্তানে।

নরন্দ্রবাবু জানান, ঠাকুরদা গল্প করতেন দেশ স্বাধীনের রাতে রেডিও মারফৎ খবর পান। কিন্তু দার্জিলিং সঠিক কোন দেশের অন্তর্ভুক্ত হল তা জানতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও এই জেলার সকলেই আতঙ্কে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তির বিষয় চিন্তা করে। রাতভর দুশ্চিন্তার শেষে পরদিন ফের রেডিও মারফৎ জানতে পারেন দার্জিলিং ভারতের অধীন। অর্থাৎ স্বাধীন দেশের অধীন। এরপরেই শুরু হয় উল্লাস। রাতের অন্ধকারে মহানন্দা নদীর চরব হাতে মশাল নিয়ে জমায়েত হন জেলাবাসী। আতসবাজি পুড়িয়ে দেশ স্বাধীনের উল্লাস পর্ব চলে।

Conclusion:নরেন্দ্রবাবু বলেন, ঠাকুরদা গান্ধীজির ছায়া সঙ্গী ছিল বলা চলে। কেননা, সেসময় গান্ধীজি দার্জিলিং জেলায় এলেই ভেনাসমোড় সংলগ্ন এলাকায় দাদুর বাড়িতে থাকতেন। তবে সেই বাড়িটি আজ আর নেই। সেই কাঠের বাড়ির জায়গায় এখন শহরের সর্বপ্রথম দশতলা বিল্ডিং। দাদু ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, ১৯২৫ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেসময় তিনি দার্জিলিংএর ম্যালে ছিলেন। সে-সময় তাকে দেখতে এসেছিলেন গান্ধীজি। গান্ধীজিকে পথ দেখিয়ে হাঁটা পথে দার্জিলিং এর ম্যালে গিয়েছিলেন আমার ঠাকুরদা। এছাড়াও আমার ঠাকুরদা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সানিধ্যে ছিলেন দেশস্বাধীনের লড়াইকে পাথেয় করে।


ছবিঃ গান্ধীজির পরের জন শিবমঙ্গল সিং।
Last Updated : Aug 15, 2019, 8:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.