শিলিগুড়ি, 21 ডিসেম্বর : শৌচালয়ে উদ্ধার হল চিকিৎসাধীন রোগীর ঝুলন্ত দেহ (Patient Body Recover in Hospital Toilet) ৷ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে (Siliguri District Hospital) ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুরজিৎ চক্রবর্তী ৷ বয়স 50 বছর ৷ তিনি শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের জামুরিভিটার ভোলা মোড়ের বাসিন্দা ছিলেন ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন : Patient commits Suicide : ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
সুরজিতের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে এদিন হাসপাতালে এসে পৌঁছন তাঁর মা মীরা চক্রবর্তী ৷ বৃদ্ধা জানান, তাঁর ছেলে একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 18 ডিসেম্বর পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই ব্যক্তি ৷ হাসপাতালের শল্যচিকিৎসা বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি ৷ প্যানক্রিয়েটিক সংক্রান্ত সমস্যা ছিল তাঁর ৷ চিকিৎসায় ক্রমশ সুস্থও হয়ে উঠছিলেন তিনি ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার রাতে শৌচালয়ে যান সুরজিৎ ৷ কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ তিনি বাইরে না বেরোনোয় বাকিদের সন্দেহ হয় ৷ এরপর অন্য রোগীরা সুরজিতের খোঁজে শৌচালয়ে যান ৷ তাঁরাই প্রথম সুরজিতের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান ৷ ঘটনা জানাজানি হতেই হইচই শুরু হয়ে যায় ৷ হাসপাতালে থাকা পুলিশ কর্মীরা দেহ নামিয়ে মর্গে পাঠান ৷ মঙ্গলবার সকালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷
সুরজিতের মা মীরা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পারিবারিক অশান্তি ছিল ৷ আমার ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ৷ আমি জলপাইগুড়িতে থাকি ৷ ছেলের সঙ্গে বউমার ঝামেলা চলছিল ৷ পেটে ব্যথা হওয়ায় একাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৷ আমি প্রতিদিন দেখতেও আসতাম ৷ গতকালও এসেছিলাম ৷ সব ঠিকই ছিল ৷ আজ সকালে খবর পাই ছেলে আত্ম্যহত্যা নাকি করেছে ৷ কীভাবে কী ঘটল, জানি না ৷’’
আরও পড়ুন : Groom Unnatural Death in Howrah: বৌভাতের পরদিন বরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে শৌচালয়ে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগালেন, ফাঁসিতে ঝোলার জিনিসই বা তিনি কোথায় পেলেন, সেইসব প্রশ্ন উঠছে ৷ ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷