ETV Bharat / city

"স্বাস্থ্য সাথী" কার্ড থাকা সত্ত্বেও সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু প্রৌঢ়র !

সরকারি হাসপাতালে বেড মেলেনি ৷ বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হলে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দেখা মাত্র ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

old man died not getting treatment from government and private hospitals despite having sastha sathi card
old man died not getting treatment from government and private hospitals despite having sastha sathi card
author img

By

Published : Jan 14, 2021, 8:27 PM IST

শিলিগুড়ি, 14 জানুয়ারি : স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মিলল না সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা । অভিযোগ, এর ফলে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়র ।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মেলেনি পরিষেবা, অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হবে ৷ এমনকী পরিষেবা না পেলে কার্ড গ্রাহকদের এফআইআর করারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শাসক দলের অন্য নেতারাও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে ও মিলবে বলে দাবি করছেন । তখন সেই কার্ড থাকা সত্ত্বেও শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার প্রমোদনগরে বাসিন্দা পৌঢ় বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারালেন বলে অভিযোগ ৷ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি শহরের একাধিক সরকারি ও হাসপাতালে যাওয়া হলেও পরিষেবা মেলেনি । এরপর কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় পৌঢ় মহম্মদ গফফারের (65) ৷ যদিও দু'সপ্তাহ আগেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করেছিল পরিবারটি । এরমধ্যে ব্রেন স্ট্রোক হয় মহম্মদ গফফারের । শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ বিকল হয়ে যায় । গত মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখান থেকে রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেও বেড না মেলায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উপর ভরসা করে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে ৷ রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কার্ড দেখো মাত্র তাঁদের ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ । শেষে রোগীকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয় ৷ মঙ্গলবার রাতেই মারা যান মহম্মদ গফফার । ঘটনার পরই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা তথা স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা ।

আরও পড়ুন: নজরে নির্বাচন, রাজ্যের সবাই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায়

মৃত মহম্মদ গফফরের ভাইপো বলেন, "কাকার কিছুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোক হয় ৷ একটা দিক প্যারালাইসড ছিল ৷ এর মধ্যে বেশি অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাব বলে ঠিক করি ৷ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে বেড মেলেনি ৷ বেসরকারি হাসাপাতাল সরসরি জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা সেখানে দেওয়া হয় না ৷"

মৃতার ভাইপো আরও বলেন, "আমরা একটাই ইনসাফ চাই ৷ আমাদের মতো আরও গরিব আছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে যেন এমন না হয় ৷ তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা পায় ৷"

গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ভূমিকা নিয়ে । যদিও এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ।

রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, "স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে যিনি তালিকাভুক্ত তাঁকে পরিষেবা দিতেই হবে ৷ এমন অভিযোগ যদি পাই তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেব ৷"

শিলিগুড়ি, 14 জানুয়ারি : স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মিলল না সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা । অভিযোগ, এর ফলে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়র ।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও মেলেনি পরিষেবা, অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হবে ৷ এমনকী পরিষেবা না পেলে কার্ড গ্রাহকদের এফআইআর করারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শাসক দলের অন্য নেতারাও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে ও মিলবে বলে দাবি করছেন । তখন সেই কার্ড থাকা সত্ত্বেও শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার প্রমোদনগরে বাসিন্দা পৌঢ় বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারালেন বলে অভিযোগ ৷ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি শহরের একাধিক সরকারি ও হাসপাতালে যাওয়া হলেও পরিষেবা মেলেনি । এরপর কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় পৌঢ় মহম্মদ গফফারের (65) ৷ যদিও দু'সপ্তাহ আগেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করেছিল পরিবারটি । এরমধ্যে ব্রেন স্ট্রোক হয় মহম্মদ গফফারের । শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ বিকল হয়ে যায় । গত মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখান থেকে রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেও বেড না মেলায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের উপর ভরসা করে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে ৷ রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কার্ড দেখো মাত্র তাঁদের ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ । শেষে রোগীকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয় ৷ মঙ্গলবার রাতেই মারা যান মহম্মদ গফফার । ঘটনার পরই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা তথা স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা ।

আরও পড়ুন: নজরে নির্বাচন, রাজ্যের সবাই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায়

মৃত মহম্মদ গফফরের ভাইপো বলেন, "কাকার কিছুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোক হয় ৷ একটা দিক প্যারালাইসড ছিল ৷ এর মধ্যে বেশি অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাব বলে ঠিক করি ৷ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে বেড মেলেনি ৷ বেসরকারি হাসাপাতাল সরসরি জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরিষেবা সেখানে দেওয়া হয় না ৷"

মৃতার ভাইপো আরও বলেন, "আমরা একটাই ইনসাফ চাই ৷ আমাদের মতো আরও গরিব আছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে যেন এমন না হয় ৷ তাঁরা যেন স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা পায় ৷"

গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ভূমিকা নিয়ে । যদিও এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ।

রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, "স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে যিনি তালিকাভুক্ত তাঁকে পরিষেবা দিতেই হবে ৷ এমন অভিযোগ যদি পাই তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.