শিলিগুড়ি,২৭ মার্চ : কলকাতার বেলেঘাটার ID হাসপাতালের মতোই কোরোনা নির্ণয় পরীক্ষা হবে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আজ জানিয়েছেন দ্রুত এখানেও চালু হবে কোরোনা টেস্ট । আগামী সোমবারে এই পরীক্ষা চালু হতে পারে । উত্তরবঙ্গে কোরোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে মূল ভরসা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা হাসপাতালে কিছু আইসোলেশন বিভাগ থাকলেও সেখান থেকে কোনও রোগী রেফার করলে ভরসা এই মেডিকেল কলেজ। কোরোনা আক্রান্ত কিনা এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র ।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এখন সাজো সাজো রব। উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫টি শয্যা রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে VRDL ল্যাব। নানা উপর্সগ নিয়ে এখন অবধি মেডিকেল কলেজের আইসোলেশনে ১৮ জনের মতো ভরতি হয়েছেন। তাঁদের সোয়াবের নমুনা নাইসেড থেকে পরীক্ষা করিয়ে কিছু না মেলায় অনেককেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৮ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের সোয়াবের নমুনা পাঠানো হয়েছে নাইসেডে।
বৃহস্পতিবার থেকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধীনে তৈরি ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে (VRDL) উত্তরবঙ্গে একমাত্র কোরোনা সংক্রমণ নির্ণয়ের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রযুক্তিগত কারণে তা এখনো শুরু হয়নি। তবে শীঘ্রই তা চালু হবে বলে জানাচ্ছেন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি কোরোনা সন্দেহে রোগীদের ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা হাসপাতাল গুলিতে ভরতি সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনাও এবার নাইসেডের পরিবর্তে এখানেই পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, VRDL ব্যবস্থা ছাড়াও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তৈরি করা হয়েছে ৯ জনের কুইক রেসপন্স টিম। মেডিসিন বিভাগের প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, মাইক্রোবায়লজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার, সঞ্জয় মল্লিকরা রয়েছেন এই দলে। হাসপাতাল সুপার কৌশিক সমাজদার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল, ডেপুটি নার্সিং সুপার ও আরও তিন চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত ওই দলটি কোরোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় কোথায় কী দরকার, কী পরিকাঠামো প্রয়োজন তার সমস্তটাই নজরদারি করবেন।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জরুরি বিভাগের ভবনের দোতলায় প্রস্তাবিত ট্রমা সেন্টারের ওয়ার্ডটিকেই ওই কাজে লাগানো হবে। আপাতত ১০টি শয্যা থাকছে সেখানে। চারটি ভেন্টিলেটর ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর থেকে এসেছে। ট্রমা কেয়ারের জন্য আরও কিছু ভেন্টিলেটর রয়েছে আপৎকালীন পরিস্থিতি হলে তা দরকারে কাজে লাগানোর জন্য