শিলিগুড়ি, 5 ফেব্রুয়ারি : সামনেই শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচন । তার আগে প্রকাশ্যে এল ক্ষমতাসীন বাম বোর্ডের অন্দরের কোন্দল । পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মেয়র পারিষদ পরিমল মিত্রকে দল থেকেই বহিষ্কার করেছে CPI(M) নেতৃত্ব । সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পৌরনিগমের মেয়র পারিষদের পদ থেকে ।
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানতে পেরে প্রকাশ্যে নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পরিমল মিত্র । তাঁর দাবি, কয়েকমাস আগেই তিনি নিজেই দলের সব পদ ছেড়েছেন ৷ বলেন, "নভেম্বর মাসে আমি সমস্ত পদ ছেড়েছি ৷ পদত্যাগ করার পর চিঠি লিখে পার্টির সেক্রেটারিকে জানিয়ে দিয়েছি ৷ তাহলে ওঁরা আজকে বহিষ্কারের কথা বলছে ৷ আমি তো কবেই পদত্যাগ করেছি ৷ "
পরিমলবাবুর আর অভিযোগ, দলের নিয়ম-নীতি অগ্রাহ্য করে BJP-কে তোষামোদ করে সংখ্যালঘু বোর্ড চালাচ্ছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য স্বয়ং । বলেন," আমি তো মেয়রের ঘরেই বসতাম ৷ দেখেছি এই সংখ্যালঘু বোর্ড চালাতে কখনও BJP-কে তো কখনও কংগ্রেসকে নিয়ে এসে তেল দেওয়া হচ্ছে ৷ বোর্ড বাঁচাতে বোর্ড মিটিংয়ে অন্যদের তোষামোদ করা হত ৷ আর আজ আমাকে বলা হচ্ছে আমি দলবিরোধী কাজ করছি ৷" তিনি বলেন, মন্ত্রী গৌতম দেব তাঁর বন্ধু ৷ তাঁর সঙ্গে কথা হয় ৷ বলেন, "সুজয় ঘটক শিলিগুড়ির নাগরিক, আমার কলিগ ৷ খুসবু মিত্তলের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ তিনি শিলিগুড়ির নাগরিক এবং কাউন্সিলর ৷ শিলিগুড়ির নাগরিক বা কাউন্সিলর হিসেবে অনেকের সঙ্গেই কথা হয় ৷ তার মানে আমি কোনও দলের ঝাণ্ডা নিয়ে মিটিং, মিছিল করি না ৷ তাহলে কেন দল বিরোধী বলা হল ? তাহলে তো জীবেশবাবু, অশোকবাবুরা দৈনিকই দলবিরোধী কাজ করছেন ৷ তাঁরা তো এদের সঙ্গেই মিটিং করেন সব সময় ৷ " তিনি আরও বলেন, "আমি মিরজাফর নই ৷ মিরজাফর তো ওঁরা (মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, CPI(M)-এর জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার) । অন্যায় করেছে ৷ "
সব ঠিক থাকলে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন পরিমল মিত্র । ঘটা করে ওয়ার্ডে হবে অনুষ্ঠান । তার আয়োজনের ফাঁকে তিনি বলেন," বারবার বিদেশ সফরে নির্দিষ্ট কিছু মেয়র পারিষদকে নিয়ে যাওয়া, স্বজনপোষণ এসবের প্রতিবাদ করেই আজ আমি খারাপ । তাই ওই দলে আর থাকতে চাই না ।
এই বিষয়ে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, কে মেয়র পারিষদ থাকবেন সেটা মেয়রের সিদ্ধান্ত । সেই মতোই পরিমলবাবুকে মেয়র পারিষদ পদ থেকে সরানো হয়েছে । বাকিটা দলের সিদ্ধান্ত ।