বাগডোগরা, 6 নভেম্বর : দাঁতাল লামার আক্রমণে মৃত্যু হল ব্যক্তির ৷ মৃতের নাম বুধা লোহার ৷ জঙ্গলে মাশরুম তুলতে গেছিলেন ৷ সেখানেই দাঁতালের মুখে পড়েন তিনি ৷
গত কয়েকদিন ধরেই বাগডোগরা এলাকায় প্রায় 100 টি হাতির একটি দল ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ নকশালবাড়ির করিডোর দিয়ে তারা এখন বাগডোগরা বনাঞ্চলের অন্তর্গত দলকার জঙ্গলে বিচরণ করছে। সচেতনতার অভাবে মাঝে মাঝেই হাতিদের সামনে চলে যাচ্ছেন মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিলই ৷ গতকাল জঙ্গলে মাশরুম তুলতে গিয়ে দাঁতাল হাতির সামনে পড়েন বুধা ৷ বনবিভাগের দাবি, হাতির দলের সর্দার লামার আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির।
জঙ্গলে ঘুরতে থাকা প্রতিটি দাঁতাল হাতির একটি নির্দিষ্ট নাম থাকে। বনবিভাগের খাতায় থাকা সেই নামের তালিকা থেকে দাঁতাল হাতিটিকে চিহ্নিত করেছে বন বিভাগ। রেঞ্জ অফিসার সমিরন রাজের দাবি, যে দলটি এলাকায় ঘুরছে তাদের সর্দার দাঁতাল হাতিটির নাম লামা। হাতির গতিবিধি নজরে রাখার পাশাপাশি এর আগে এই হাতিটির অভ্যাস কেমন ছিল তাও খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। তবে বন দপ্তরের তরফে জানা গেছে, লামার আক্রমণে একজনের মৃত্যু হলেও, এর আগে কখনও সেভাবে কাউকে আক্রমণ করেনি এই দাঁতাল। বরং কিছুটা শান্ত স্বভাবের ছিল ৷
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, আমরা বাসিন্দাদের বলেছি জঙ্গলের ভেতর ঢুকবেন না। হাতির সামনে যাবেন না। হাতিদের চলাচলের সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে পড়ুন। প্রতিদিনই এশিয়ান হাইওয়ে পার করছে হাতিদের দল। রাস্তার ধারে যানবাহন আটকে দিয়ে হাতিদের পার করিয়ে নিচ্ছেন বনকর্মীরা। পাশাপাশি লামার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এলাকায় যে গ্রামগুলি আছে সেখানে সোলার ফেন্সিং বসানোর জন্য যাবতীয় সমীক্ষা শেষ করে বিস্তারিত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে । চেষ্টা হচ্ছে দ্রুত সোলার ফেন্সিং তৈরি করে বাসিন্দাদের নিরাপদে রাখার।