শিলিগুড়ি, 9 জুন : শিলিগুড়িতে করোনার জাল রিপোর্ট কার্ড ইস্যুতে এবার তদন্তে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং গোয়েন্দা বিভাগ । পাশাপাশি এই বিষয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাইবার ক্রাইম বিভাগকেও ।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল করোনার রিপোর্ট কাণ্ডের কিনারা করতে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এবং সাইবার ক্রাইম সহ পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে । বুধবার মূল অভিযুক্ত বিশাল দত্তকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের পেয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা ।
ধৃত বিশালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনের নাম উঠে এসেছে পুলিশের হাতে । বুধবার শিলিগুড়ির খাপরাইল মোড় এবং ফুলবাড়ির একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশের ওই বিশেষ দল ।
এ বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব, জোন 1) জয় টুডু বলেন, "তদন্ত করে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে । তাদের উদ্দেশ্য খোঁজ শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তের জন্য গোয়েন্দা বিভাগ এবং স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপকে কাজে লাগানো হয়েছে । খুব দ্রুত এই তদন্তের কিনারা করা হবে ।"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মাঝরাতে শিলিগুড়ি সেবক রোডের কাছে অভিযান চালিয়ে করোনার জাল রিপোর্ট তৈরি করার অভিযোগে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়া বাসিন্দা বিশাল দত্ত নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ । ওই যুবক মাটিগাড়ায় একটি ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরির নাম ভাঙিয়ে জাল রিপোর্ট তৈরি করত বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : Bengal TMC : নিজেকে প্রমাণ করেই সর্বভারতীয় পদে অভিষেক, বলছেন নেতারা
যদিও ওই যুবককে ফেব্রুয়ারি মাসে ওই সংস্থা কাজ থেকে বের করে দিয়েছিল । কিন্তু তার পরেও সংস্থার ডেটা ব্যাংক ব্যবহার করে বাড়ি বাড়ি করোনার নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি জাল রিপোর্ট বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করছিল সে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি দশটি জাল রিপোর্টের তথ্য উঠে এসেছে । এছাড়াও যারা ওই যুবকের থেকে করোনার পরীক্ষা করেছিল তাদেরও তালিকা তৈরি করে ফের যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট ।