ETV Bharat / city

বিদেশের চায়ের বাজার হারাতে পারে ভারত, আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের - চায়ের বাজার হারাতে পারে ভারত

বিদেশে চা রপ্তানিতে ভাটা পড়েছে . প্রথমে লকডাউন আর তারপরে চিন ও নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতির জেরে চা রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে৷ এরফলে দেশের বৈদেশিক উপার্জন কমছে ৷ লকডাউনের পর শ্লথগতিতে কাজ শুরু হবার ফলে চায়ের নির্দিষ্ট কনসাইনমেন্টগুলি বিদেশের বাজারে পাঠাতে দীর্ঘসময় লাগছে। এরফলে বিদেশে ভারতের চায়ের বাজার অন্যদেশ দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চা- রপ্তানিকারকরা ৷

tea
বিদেশের চায়ের বাজার হারাতে পারে ভারত
author img

By

Published : Jul 7, 2020, 7:15 PM IST

Updated : Jul 10, 2020, 6:10 PM IST

শিলিগুড়ি, 7 জুলাই : প্রথমে লকডাউন এবং তারপর চিন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার জেরে প্রভাব পড়তে পারে চা রপ্তানির ক্ষেত্রে। চা রপ্তানিতে জড়িত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চায়ের নির্দিষ্ট কনসাইনমেন্টগুলি বিদেশের বাজারে পাঠাতে দীর্ঘসময় লাগছে। দ্রুত এই পরিস্থিত সামাল না দেওয়া গেলে চা উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলি এই বাজার দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চা রপ্তানীকারকেরা।লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা ৷ ফলে বিদেশের বাজারে চা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় ৷ এরপর লকডাউন শিথিল হলেও রপ্তানি প্রক্রিয়া চলছে ধিমেতালে ৷ শিপমেন্ট কনসাইনমেন্ট সময় লাগছে অনেক ৷ এখনও জলপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে ৷ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি ৷ আন্তর্জাতিক বাজার নিজেদের দখলে রাখতে অনেক দেশ-ই পণ্য পরিবহন বিমান বন্ধ করেনি ৷ কিন্তু নানা কারণে আমাদের দেশে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক নয় ৷ ফলে বিদেশে ভারতের চায়ের বাজার দখল করে নিচ্ছে অন্যদেশগুলি ৷ চা রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার যদি গতি আনতে না পারে ভবিয্যতে বিদেশের বড় মার্কেট হারাতে হতে পারে ভারতকে ৷

tea garden
চা বাগান

অসম ও উত্তরবঙ্গ থেকে মূলত CTC চা চিনে রপ্তানি হয়ে থাকে। 2018-19 আর্থিক বছরে ভারত থেকে চিনে চা রপ্তানি হয়েছিল 10.58 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 180 কোটি টাকা। 2019-20 আর্থিক বছরে তা ছিল 12.71 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 200.15 কোটি টাকা। এছাড়া রাশিয়ায় 2018-19 আর্থিক বছরে চা রপ্তানি হয়েছিল 45.37 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 716.84 কোটি টাকা। 2019-20 আর্থিক বছরে তা সামান্য কমে গিয়ে হয়েছিল 44.76 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 711.72 কোটি টাকা। সমস্ত দেশ মিলিয়ে ভারত থেকে 2018-19 আর্থিক বছরে চা রপ্তানি হয়েছিল 254.50 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 5506.84 কোটি টাকা। 2019-20 আর্থিক বছরে 240.02 মিলিয়ন কেজি চা বিদেশে রপ্তানি করেছিল ভারত। টাকার অঙ্কে তা ছিল 5427.78 কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে লকডাউন ও লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে ব্যাঙ্ক, কাস্টমস সহ সর্বত্র শ্লথ গতিতে কাজের জেরে এই রপ্তানি প্রভাবিত হতে পারে। শিলিগুড়িতে চা রপ্তানিকারকদের অন্যতম রাজীবলোচনের দাবি, খোলা রয়েছে সব কিছুই। কিন্তু শ্লথ গতিতে সব কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন , "ব্যাঙ্ক ক্লিয়ারেন্স বা শিপমেন্টে কনসাইনমেন্ট যেতে অনেক সময় লাগছে। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত দ্রুত কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কারণ আমরা ঠিক সময়ে চা রপ্তানি না করলে দেশ যেমন বৈদেশিক মুদ্রা হারাবে তেমনি সেই ফাঁকে অন্য কোনও দেশ তাদের চা রপ্তানি করে বাজারটা দখল করে নেবে।"

tea
চা রপ্তানি

চিন ও নেপালের সঙ্গে টানাপোড়েন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেনচা রপ্তানিকারকেরা। তাদের দাবি আমেরিকা, জাপান বা জার্মানিতেওটানাপোড়েন আছে। কিন্তু তার প্রভাব সরাসরি বাণিজ্যে পড়ে না। কিন্তু ভারত-চিনউত্তেজনার ক্ষেত্রে আমরা চা রপ্তানি করব কিনা তা নিয়ে যেমন উদ্বেগে আছি তেমনিচিনের যেসব আমদানীকারক আছেন তাদের মধ্যেও প্রবল উদ্বেগ রয়েছে। তারাও বারবার জানতেচাইছেন কনসাইনমেন্ট সেদেশে আসবে কিনা। দেশের সুরক্ষা অবশ্যই আমাদের আগে দেখতে হবে।পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য আদৌ এগোবে কি না বা কিভাবে এগোবে তা দেখতে হবে দেশেরসরকারকেও। সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে সংবাদমাধ্যমকেও। কারণ এদেশে আমাদের চোখে যেমনচিন ভিলেনের ভূমিকায়, তেমনি সেদেশে আবার আমরা ভিলেনের ভূমিকায় পরিবেশিতহয়েছি। রাজীব লোচন আরও জানান, অতীতে বাংলাদেশ ওপাকিস্তানে বিপুল পরিমাণ চা রপ্তানি হত। নানা ঝামেলায় তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।সেই বাজার শ্রীলঙ্কা দখল করে নেয়। এখন সেই টানাপোড়েন কমলেও পরিসংখ্যান দেখলেইবুঝতে পার যাবে সেই বাজার আমরা চিরতরে হারিয়েছি। ফলে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, বৈদেশিকমুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হয়েছে। একই ধরনের বক্তব্য অন্যতম চা রপ্তানিকারক ঋষিসারিয়ার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে লকডাউন হওয়ার পূর্বেই বিদেশে লকডাউনচলেছে। বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। ফলে চায়ের নমুনা পাঠাতে গিয়ে সমস্যাহয়েছে। তাছাড়া এই রপ্তানি বাণিজ্য মূলত কলকাতা নির্ভর। আমাদের দেশে লকডাউন শুরুহতেই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় চা পাঠানো এবং তারপর সেই চায়ের নমুনা এবং অর্ডারমিললে চায়ের কনসাইনমেন্ট বিদেশি রপ্তানি করা সমস্যাদায়ক বিষয়। তাছাড়া এখনওআন্তর্জাতিক বিমান বন্ধই রয়েছে। ফলে লকডাউনে চা রপ্তানিতে বিপুল ক্ষতির বোঝাসামলাতে হবে চা শিল্পকে। তিনি আরও জানান, চায়ের নমুনা কানাডায়পাঠাতে গিয়ে 45 দিন লেগেছে। ফলে বোঝাই আচ্ছে চায়ের কনসাইনমেন্ট এইমুহুর্তে রপ্তানী করা খুব সমস্যার। জলপথে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় এসব দেশ বিপুলপরিমান চা কেনে সেখানে কিছু চা পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু যারা অল্প চা ক্রয় করেসেসব দেশে বিমানে চা পাঠানো এখনও সমস্যাদায়ক। এর প্রভাব চা শিল্পে পড়বেই। চিন ওনেপালের সঙ্গে ভারতের আভ্যন্তরীণ সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দেখুন দু দেশের মধ্যে কি হচ্ছে তা বলতে পারব না। কিন্তু বাণিজ্য হবে নাকি বন্ধহবে তা দুই দেশকেই ঠিক করতে হবে। ভারতে গণতন্ত থাকায় তবু এই দেশে খোলামেলা আলোচনাহয়। কিন্তু চিনে ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রাহ্যের মধ্যেই আনে না সে দেশের সরকার। আমরাচাই দু দেশের এই বাণিজ্য বন্ধ না হোক। কিন্তু জানিনা ঠিক কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে।"

বিদেশের চায়ের বাজার হারাতে পারে ভারত

শিলিগুড়ি, 7 জুলাই : প্রথমে লকডাউন এবং তারপর চিন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার জেরে প্রভাব পড়তে পারে চা রপ্তানির ক্ষেত্রে। চা রপ্তানিতে জড়িত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চায়ের নির্দিষ্ট কনসাইনমেন্টগুলি বিদেশের বাজারে পাঠাতে দীর্ঘসময় লাগছে। দ্রুত এই পরিস্থিত সামাল না দেওয়া গেলে চা উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলি এই বাজার দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চা রপ্তানীকারকেরা।লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা ৷ ফলে বিদেশের বাজারে চা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় ৷ এরপর লকডাউন শিথিল হলেও রপ্তানি প্রক্রিয়া চলছে ধিমেতালে ৷ শিপমেন্ট কনসাইনমেন্ট সময় লাগছে অনেক ৷ এখনও জলপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে ৷ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি ৷ আন্তর্জাতিক বাজার নিজেদের দখলে রাখতে অনেক দেশ-ই পণ্য পরিবহন বিমান বন্ধ করেনি ৷ কিন্তু নানা কারণে আমাদের দেশে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক নয় ৷ ফলে বিদেশে ভারতের চায়ের বাজার দখল করে নিচ্ছে অন্যদেশগুলি ৷ চা রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার যদি গতি আনতে না পারে ভবিয্যতে বিদেশের বড় মার্কেট হারাতে হতে পারে ভারতকে ৷

tea garden
চা বাগান

অসম ও উত্তরবঙ্গ থেকে মূলত CTC চা চিনে রপ্তানি হয়ে থাকে। 2018-19 আর্থিক বছরে ভারত থেকে চিনে চা রপ্তানি হয়েছিল 10.58 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 180 কোটি টাকা। 2019-20 আর্থিক বছরে তা ছিল 12.71 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 200.15 কোটি টাকা। এছাড়া রাশিয়ায় 2018-19 আর্থিক বছরে চা রপ্তানি হয়েছিল 45.37 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 716.84 কোটি টাকা। 2019-20 আর্থিক বছরে তা সামান্য কমে গিয়ে হয়েছিল 44.76 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 711.72 কোটি টাকা। সমস্ত দেশ মিলিয়ে ভারত থেকে 2018-19 আর্থিক বছরে চা রপ্তানি হয়েছিল 254.50 মিলিয়ন কেজি। টাকার অঙ্কে তা ছিল 5506.84 কোটি টাকা। 2019-20 আর্থিক বছরে 240.02 মিলিয়ন কেজি চা বিদেশে রপ্তানি করেছিল ভারত। টাকার অঙ্কে তা ছিল 5427.78 কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে লকডাউন ও লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে ব্যাঙ্ক, কাস্টমস সহ সর্বত্র শ্লথ গতিতে কাজের জেরে এই রপ্তানি প্রভাবিত হতে পারে। শিলিগুড়িতে চা রপ্তানিকারকদের অন্যতম রাজীবলোচনের দাবি, খোলা রয়েছে সব কিছুই। কিন্তু শ্লথ গতিতে সব কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন , "ব্যাঙ্ক ক্লিয়ারেন্স বা শিপমেন্টে কনসাইনমেন্ট যেতে অনেক সময় লাগছে। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত দ্রুত কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কারণ আমরা ঠিক সময়ে চা রপ্তানি না করলে দেশ যেমন বৈদেশিক মুদ্রা হারাবে তেমনি সেই ফাঁকে অন্য কোনও দেশ তাদের চা রপ্তানি করে বাজারটা দখল করে নেবে।"

tea
চা রপ্তানি

চিন ও নেপালের সঙ্গে টানাপোড়েন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেনচা রপ্তানিকারকেরা। তাদের দাবি আমেরিকা, জাপান বা জার্মানিতেওটানাপোড়েন আছে। কিন্তু তার প্রভাব সরাসরি বাণিজ্যে পড়ে না। কিন্তু ভারত-চিনউত্তেজনার ক্ষেত্রে আমরা চা রপ্তানি করব কিনা তা নিয়ে যেমন উদ্বেগে আছি তেমনিচিনের যেসব আমদানীকারক আছেন তাদের মধ্যেও প্রবল উদ্বেগ রয়েছে। তারাও বারবার জানতেচাইছেন কনসাইনমেন্ট সেদেশে আসবে কিনা। দেশের সুরক্ষা অবশ্যই আমাদের আগে দেখতে হবে।পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য আদৌ এগোবে কি না বা কিভাবে এগোবে তা দেখতে হবে দেশেরসরকারকেও। সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে সংবাদমাধ্যমকেও। কারণ এদেশে আমাদের চোখে যেমনচিন ভিলেনের ভূমিকায়, তেমনি সেদেশে আবার আমরা ভিলেনের ভূমিকায় পরিবেশিতহয়েছি। রাজীব লোচন আরও জানান, অতীতে বাংলাদেশ ওপাকিস্তানে বিপুল পরিমাণ চা রপ্তানি হত। নানা ঝামেলায় তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।সেই বাজার শ্রীলঙ্কা দখল করে নেয়। এখন সেই টানাপোড়েন কমলেও পরিসংখ্যান দেখলেইবুঝতে পার যাবে সেই বাজার আমরা চিরতরে হারিয়েছি। ফলে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, বৈদেশিকমুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হয়েছে। একই ধরনের বক্তব্য অন্যতম চা রপ্তানিকারক ঋষিসারিয়ার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে লকডাউন হওয়ার পূর্বেই বিদেশে লকডাউনচলেছে। বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল। ফলে চায়ের নমুনা পাঠাতে গিয়ে সমস্যাহয়েছে। তাছাড়া এই রপ্তানি বাণিজ্য মূলত কলকাতা নির্ভর। আমাদের দেশে লকডাউন শুরুহতেই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় চা পাঠানো এবং তারপর সেই চায়ের নমুনা এবং অর্ডারমিললে চায়ের কনসাইনমেন্ট বিদেশি রপ্তানি করা সমস্যাদায়ক বিষয়। তাছাড়া এখনওআন্তর্জাতিক বিমান বন্ধই রয়েছে। ফলে লকডাউনে চা রপ্তানিতে বিপুল ক্ষতির বোঝাসামলাতে হবে চা শিল্পকে। তিনি আরও জানান, চায়ের নমুনা কানাডায়পাঠাতে গিয়ে 45 দিন লেগেছে। ফলে বোঝাই আচ্ছে চায়ের কনসাইনমেন্ট এইমুহুর্তে রপ্তানী করা খুব সমস্যার। জলপথে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় এসব দেশ বিপুলপরিমান চা কেনে সেখানে কিছু চা পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু যারা অল্প চা ক্রয় করেসেসব দেশে বিমানে চা পাঠানো এখনও সমস্যাদায়ক। এর প্রভাব চা শিল্পে পড়বেই। চিন ওনেপালের সঙ্গে ভারতের আভ্যন্তরীণ সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দেখুন দু দেশের মধ্যে কি হচ্ছে তা বলতে পারব না। কিন্তু বাণিজ্য হবে নাকি বন্ধহবে তা দুই দেশকেই ঠিক করতে হবে। ভারতে গণতন্ত থাকায় তবু এই দেশে খোলামেলা আলোচনাহয়। কিন্তু চিনে ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রাহ্যের মধ্যেই আনে না সে দেশের সরকার। আমরাচাই দু দেশের এই বাণিজ্য বন্ধ না হোক। কিন্তু জানিনা ঠিক কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে।"

বিদেশের চায়ের বাজার হারাতে পারে ভারত
Last Updated : Jul 10, 2020, 6:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.