শিলিগুড়ি, 29 এপ্রিল : রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে হিমসিম স্বাস্থ্য দফতর । সীমিত শয্যার কারণে সংক্রমিত রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না । সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ভর হতে হচ্ছে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের উপরই । কিন্তু সেখানেও শয্যা কম থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে । এই পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে আবারও শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার ডক্টর চ্যাং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর । তবে, প্রথম ধাপে 30 টি বেড নিয়ে আপাতত করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
গত বছরও করোনার ধাক্কা সামলাতে শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার নার্সিংহোম এবং কাওয়াখালির একটি মিলিয়ে মোট দু’টি নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর । কিন্তু, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একটি পৃথক কোভিড ব্লক তৈরি হয়েছে ৷ ফলে এখনও পর্যন্ত দু’টি নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করার মতো পরিস্থিতি আসেনি বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ৷ পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, ‘‘যেভাবে জেলাতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে গত দু’দিনে বিভিন্ন সংগঠন এবং চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি । তবে জেলার নাগরিকদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিলিগুড়ির ডক্টর চ্যাং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : কোভিড হাসপাতালে বেড বাড়লেও নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স , উদ্বেগে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর
প্রথম পর্যায়ে মোট 30টি শয্যা অধিগ্রহণ করে করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা করানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ এছাড়াও শিলিগুড়ি পৌরনিগমের অন্তর্গত জলপাইগুড়ি জেলার 14টি ওয়ার্ডের জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে । করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা এবং মৃতদের শেষকৃত্যের বিষয়টিতে গৌতম দেব নিজে নজরদারি চালাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ৷