শিলিগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কিশোরীর মৃত্যুর (Dengue Patient Death) পর তথ্য ধামাচাপা দেওয়া অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি নার্সিংহোম ৷ মৃতার আত্মীয়দের দাবি, ওই কিশোরীর মৃত্যুর শংসাপত্রে (Death Certificate) কোথাওই নাকি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি লেখা নেই ! ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ মৃতার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ওই নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম টুইংকল বর্মা ৷ বয়স আনুমানিক 15 বছর ৷ টুইংকল শিলিগুড়ি পৌরনিগম এলাকার 5 নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গানগরের বাসিন্দা ছিল ৷ কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 13 সেপ্টেম্বর থেকে সে জ্বরে ভুগছিল ৷ জ্বর না-কমাতেই তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় ৷ তারপরই জানা যায়, সে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৷ তার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার কথা নার্সিংহোমের ম্য়ানেজারও স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ কিন্তু, তারপরও কেন মৃতার ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ করা হল না, সেই প্রশ্নের কোনও জবাব তাঁর কাছে পাওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন: 1 সপ্তাহে ডেঙ্গিতে দ্বিতীয় মৃত্যু! আতঙ্ক দিন কাটছে শিলিগুড়ির
মৃতার পরিজনদের অভিযোগ, আসলে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে ৷ যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এমন কোনও অভিযোগ মানতে নারাজ ৷ তাদের বক্তব্য, কীভাবে এমনটা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে ৷ তারপর যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে ৷
এদিকে, ঝামেলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় কাউন্সিলর (5 নম্বর ওয়ার্ড) অনিতা মাহাত ৷ তিনি জানান, মৃতার পরিবারের অভিযোগ শুনেছেন ৷ ওই পরিবার যাতে সুবিচার পায়, তিনি সেই বিষয়ে প্রচেষ্টা করবেন ৷ তবে, যেভাবে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তার নিন্দা করেছেন অনিতা ৷ তাঁর মতে, ভাঙচুরের মতো ঘটনা কখনই সমর্থন করা যায় না ৷
নার্সিংহোমের ম্যানেজার প্রণব সাহা বলেন, স্বজন হারিয়ে উত্তেজনা বশেই হয়তো মৃতার আত্মীয়রা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷ তবে, ওই কিশোরীর ডেঙ্গি হয়েছিল, একথা ঠিক ৷ এই নার্সিংহোমেই তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়েছিল ৷ তাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ কিন্তু, কীভাবে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার এতটা অবনতি হল, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ম্যানেজার ৷ এই অবস্থায় সুবিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন মৃতার কাকা রাজকুমার বর্মা ৷