দার্জিলিং, 26 সেপ্টেম্বর : পুজোর বোনাসের দাবিতে ফের সরগরম পাহাড় । কেউ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে মাথা মুণ্ডন করেছেন ৷ কেউ বা ব্যানার নিয়ে আন্দোলনের কথা বলছেন । সভা -সমাবেশ, গেট মিটিং, মিছিল, স্মারকলিপি চলছে সবই ।
পাহাড়ের চা-শ্রমিক সংগঠনগুলি যুগ্ম ব্যানারে পুজোর বোনাসের দাবিতে পথে নেমেছে । একই সঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, বোনাস না মিললে বিশ্বখ্যাত এই দার্জিলিং চা বয়কটের জন্য মানুষের কাছে আবেদন করবেন তাঁরা ।
শ্রমিক অজয় এডওয়ার্ডের দাবি, তাঁদের রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে তৈরি দার্জিলিং চা । শ্রমিকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হলে রক্ত জল করে প্রস্তুত করা ওই চা যাতে মানুষ সেবন না করেন সেই আবেদন করবেন তাঁরা । বুধবার দার্জিলিঙের মোটর স্ট্যান্ডে বোনাসের দাবিতে সভা করে জয়েন্ট ফোরাম । তার আগে শহরে মিছিল হয় । এদিনের সভাতে অমর লামা, জে বি তামাঙ, লক্ষ্মণ প্রধান, বলরাম তামাঙ, সমন পাঠক-সহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন ।
জেবি তামাঙ, লক্ষ্মণ প্রধান, সমন পাঠক, অজয় এডওয়ার্ডরা জানিয়েছেন,পুজোর বোনাস নিয়ে চা মালিকদের সঙ্গে তাঁদের বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে । 23 সেপ্টেম্বর দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন বা ডিটিএ' তে শেষ বৈঠক হয় । কিন্তু সুরাহা হয়নি । মালিকরা শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী 20 শতাংশ বোনাস দিতে নারাজ । এর প্রতিবাদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙের জেলাশাসক, পুলিশ-সুপার, সহকারি শ্রম কমিশনার বা ALC ও GTA-এর চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে । তবে এদিনের এই মিছিল, সভা -সমাবেশই নয়, পাহাড়ে আরও অন্যান্য উপায়েও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে ।
বুধবার কার্শিয়াংয়ের তিনধারিয়া-মহানদী এলাকায় গেট মিটিং হয় । সোনাদার একটি চা বাগানের শ্রমিক বীরমণি সুব্বা ২০ শতাংশ পুজোর বোনাসের দাবিতে মাথা ন্যাড়া করেন । পাহাড়ে 77টির মতো চা বাগান চালু অবস্থায় রয়েছে । ওইসব বাগানের চা শ্রমিকরা যুগ্ম ফোরামের ছাতার তলায় বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ।