ETV Bharat / city

ঋণ নিয়ে চাষ করলেও লকডাউনে ফসলের দাম পাননি, আত্মহত্যা ব্যক্তির

ঋণ নিয়ে ফুলকপি চাষ করেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে তা বিক্রি করতে পারছিলেন না। তাই আত্মহত্যা করলেন বলে কৃষকের পরিবারের দাবি ।

Farmer suicide at siliguri
কৃষক
author img

By

Published : Apr 30, 2020, 6:45 PM IST

শিলিগুড়ি, 30 এপ্রিল: ঋণ নিয়ে চার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন ফাঁসিদেওয়ার এক কৃষক। ফসল ভালো ফললেও লকডাউনের জেরে তা পাইকারি বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাজারেও চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি রয়েছে। ফলে দাম পাননি। পরিবারের অভিযোগ, এই অবস্থায় দিশাহারা হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

ফাঁসিদেওয়ার ওই কৃষকের নাম নিতাই বিশ্বাস। পরিবারের দাবি, লকডাউনের কয়েকদিন আগে 70 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন নিতাই বিশ্বাস। এরপর চার বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেন। ফলন ভালোই হয়। কিন্তু কোরোনার সংক্রমণের জেরে লকডাউন জারি হওয়ায় তা ন্যায্য দামে কিছুতেই বিক্রি করতে পারছিলেন না। একদিকে যেমন গণপরিবহন না থাকায় দূরের পাইকারি বাজারে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, তেমনই এলাকার বাজারে জোগান বেশি থাকায় ফসলের দাম পাচ্ছিলেন না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

মৃত কৃষকের স্ত্রী রূপা বিশ্বাস জানান, "70 হাজার টাকা দেনা ছিল। তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম সকলেই। জমিতে এখনও ফসল পড়ে রয়েছে। হঠাৎ আজ সকালে উঠে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামী আত্মহত্যা করেছে।"

মৃতের এক আত্মীয় সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফুলকপি চাষ করেছিলেন। কিন্তু ফসল বিক্রি করা যায়নি। কদিন ধরেই অন্যমনস্ক ছিলেন। কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বার কয়েক আলোচনাও করেন। যদিও সমাধান মেলেনি। এই পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যা করেন নিতাইবাবু।

শিলিগুড়ি, 30 এপ্রিল: ঋণ নিয়ে চার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন ফাঁসিদেওয়ার এক কৃষক। ফসল ভালো ফললেও লকডাউনের জেরে তা পাইকারি বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাজারেও চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি রয়েছে। ফলে দাম পাননি। পরিবারের অভিযোগ, এই অবস্থায় দিশাহারা হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

ফাঁসিদেওয়ার ওই কৃষকের নাম নিতাই বিশ্বাস। পরিবারের দাবি, লকডাউনের কয়েকদিন আগে 70 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন নিতাই বিশ্বাস। এরপর চার বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেন। ফলন ভালোই হয়। কিন্তু কোরোনার সংক্রমণের জেরে লকডাউন জারি হওয়ায় তা ন্যায্য দামে কিছুতেই বিক্রি করতে পারছিলেন না। একদিকে যেমন গণপরিবহন না থাকায় দূরের পাইকারি বাজারে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, তেমনই এলাকার বাজারে জোগান বেশি থাকায় ফসলের দাম পাচ্ছিলেন না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

মৃত কৃষকের স্ত্রী রূপা বিশ্বাস জানান, "70 হাজার টাকা দেনা ছিল। তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম সকলেই। জমিতে এখনও ফসল পড়ে রয়েছে। হঠাৎ আজ সকালে উঠে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামী আত্মহত্যা করেছে।"

মৃতের এক আত্মীয় সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফুলকপি চাষ করেছিলেন। কিন্তু ফসল বিক্রি করা যায়নি। কদিন ধরেই অন্যমনস্ক ছিলেন। কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বার কয়েক আলোচনাও করেন। যদিও সমাধান মেলেনি। এই পরিস্থিতিতেই আত্মহত্যা করেন নিতাইবাবু।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.