শিলিগুড়ি, 14 এপ্রিল: কোরোনা মোকাবিলায় আজ থেকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার কাওয়াখালিতে চালু হতে চলেছে আরও একটি কোরোনা নিরাময় কেন্দ্র। কিছুদিন আগেই মাটিগাড়া কাওয়াখালির এই বেসরকারি নার্সিংহোমটি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে সরকার। যেটি আজ থেকে উত্তরবঙ্গের আরও একটি কোরোনা নিরাময় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে চলেছে। তবে, ইতিমধ্যে মাটিগাড়ার ডক্টর চ্যাঙ নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করে সেখানে কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সংক্রমণ নিশ্চিত না হওয়া রোগীদের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রধান নগরের একটি নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। কিন্তু, স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে ও তুলনামূলক ঘন বসতির কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে কাওয়াখালীর নার্সিংহোমটিকে অধিগ্রহণ করা হয়। এবার সেখানেই কোরোনা সংক্রমণ সন্দেহভাজন রোগীদের রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল কাওয়াখালি এলাকার দ্বিতীয় নার্সিংহোমটি অধিগ্রহণের কাজ শুরুর হওয়ার পর রাতেই নার্সিংহোমে থাকা রোগীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিছু রোগীকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। এদিকে নার্সিংহোম ম্যানেজমেন্টের তরফে সরকারি কাজে সহায়তা না করার অভিযোগ উঠছিল। এমনকী এই ঘটনায় জেলাশাসকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নার্সিংহোমের দুই কর্তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সরকারের কড়া মনোভাব বুঝে সহযোগিতার হাত বাড়ায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসক গোপাল কৃষ্ণ ঢালি বলেন, "এই নার্সিংহোমটি চালু হয়ে গেলে এখানেই কোরোনা সন্দেহভাজনদের রাখা হবে। টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাদের মাটিগাড়ার সরকার অধিগৃহীত ডক্টর চ্যাঙ নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হবে।"