শিলিগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর : পর্যটন দপ্তরের বেশ কিছু টুরিস্ট লজ আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল । হোটেলও খুলে গেছে বিভিন্ন জায়গায় । কিন্তু স্থানীয় স্তরে কিছু সমস্যার জেরে অনেক জায়গাতেই হোটেল খোলা সম্ভব হয়েছিল না । তবে এবার লকডাউন কাটিয়ে উঠে পুজোর মরশুমে পর্যটকদের কথা ভেবে পাহাড় এবং সমতলে খুলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত হোটেল ও হোম স্টে । পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় দপ্তরের তরফে খোলা হচ্ছে হেল্প ডেক্স । আজ শিলিগুড়িতে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের পর এই কথা জানালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ।
লকডাউন পর্বে সমস্ত কিছুই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্যজুড়ে বিপদের মুখে পড়েন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত কয়েক লাখ মানুষ । ধীরে ধীরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ইতিমধ্যেই আনলক প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলেছে । কলকাতায় চালু হয়েছে মেট্রো । কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ।
এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুজোর মরশুমে পর্যটকদের জন্য সুখবর নিয়ে এলেন মন্ত্রী গৌতম দেব । আজ শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের পর জানান, "পুজোর মরসুমে খুলে যাচ্ছে সমস্ত হোটেল এবং হোম স্টে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেগুলি এবার খুলে দেওয়া হচ্ছে । এর পাশাপাশি পর্যটকরা ঘুরতে এসে যাতে কোনও সমস্যায় পড়লে প্রশাসনের সহায়তা পান সেই লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ জুড়ে একাধিক হেল্প ডেস্ক চালু করা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন :কোমর ভেঙেছে পর্যটনের, কাজ হারানোর আশঙ্কায় 4 কোটিরও বেশি মানুষ
মন্ত্রী আরও জানান, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগকারী একটি ট্রেন আপাতত চলছে । চেষ্টা করা হচ্ছে আরও বেশ কিছু ট্রেন চালু করার । স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হচ্ছে হোটেল, হোম স্টে ইত্যাদি । এর ফলে পুজোর মরসুমে উত্তরবঙ্গে পাহাড় এবং ডুয়ার্সে পর্যটকের ঢল নামবে । তিনি বলেন, “পর্যটন দপ্তরের বেশ কিছু টুরিস্ট লজ আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল । হোটেলগুলি আগেই খোলার চেষ্টা হয়েছিল । কিন্তু স্থানীয় স্তরে কিছু সমস্যার জেরে সেই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে করা যায়নি । এবার সমস্ত পক্ষকে নিয়ে আলোচনার পর স্বাভাবিকভাবেই হোটেল এবং হোমস্টে খুলে দেওয়া হচ্ছে । এর জেরে স্বাচ্ছন্দে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের ঘুরতে আসায় আর কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না ।”
দপ্তরের এই সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মহল । শিলিগুড়িতে বৈঠকের পর পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলির তরফে সম্রাট সান্যাল জানান, “আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন । শিলিগুড়িতে আমরা দেখা করার সময় চেয়েছিলাম । লাখ লাখ মানুষ এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত । এমনিতেই বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে এই শিল্পে । আমরাও আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছি ।হোটেল কর্মচারীর বেতন পাচ্ছেন না । পর্যটকদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে যে কয়েক লাখ গাড়ি রয়েছে । সেই গাড়ির চালক এবং মালিকরাও নানা সমস্যায় রয়েছেন । তাই আমরা চেয়েছিলাম সমস্তটাই খুলে দেওয়া হোক । রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে আমরাও খুশি ।”