শিলিগুড়ি, 10 জুন: করোনার পাশাপাশি উত্তরে বাড়ছে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা । ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 6 জন ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে । পাশাপাশি চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও 6 জন রোগী । ব্ল্যাক ফাংগাস রোগটি বহু পুরনো হলেও সম্প্রতি করোনায় সংক্রমিত এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের মধ্যে হচ্ছে । সে কারণে আগেভাগেই ব্ল্যাক ফাংগাসের সংক্রমণ নিয়ে রোগের গতিপ্রকৃতি ঠিক করতে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে । পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাংগাস রোগের চিকিৎসার জন্য চারটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, "ব্ল্যাক ফাংগাস রোগের পুরো বিষয়টির উপরে মনিটরিং করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে । পুরো উত্তরবঙ্গের আট জেলার মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে ব্ল্যাক ফাংগাস রোগের চিকিৎসার জন্য মূল কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । মোট আট জনের একটি কমিটি করা হয়েছে । যে কমিটি এই রোগের বিষয়ে সরাসরি পদক্ষেপ করবে এবং রোগীদের কী কী ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত পদক্ষেপ করতে হবে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নেবে ।"
আরও পড়ুন: দাড়ি নয়, বাড়ুক কর্মসংস্থান; দাড়ি কাটাতে মোদিকে 100 টাকা চা-বিক্রেতার
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী কল্যাণ সমিতি, জেলা প্রশাসন, দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য বিভাগ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে চারটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি কোর কমিটি তৈরি করেছে । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতোকে ওই কোর কমিটির নোডাল অফিসার করা হয়েছে । পাশাপাশি ওই কমিটিতে রয়েছেন চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মালবিকা দেববর্মা, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ সরকার ।
অন্যদিকে, আটজনের মূল কমিটিতে রয়েছেন ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো, চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মালবিকা দেববর্মা, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়,অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সুব্রত মণ্ডল, রেডিয়োলজি বিভাগের নারায়ণ পণ্ডিত, জেনারেল সার্জারি বিভাগের অমর সরকার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অরুণ সরকার এবং প্যাথোলজি বিভাগের বিদ্যুৎ কুমার গোস্বামী । মূলত এই কো-অর্ডিনেশন কমিটি চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত রোগের কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন এবং সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে পদক্ষেপ করবে বলে ঠিক হয়েছে ।