মালদা, 2 অগস্ট: জায়ের সঙ্গে স্বামীর বিবাহিত বহির্ভূত সম্পর্ক(Extra Marital Affairs) মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী । এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে হামেশাই বিবাদ চলত । সহ্য করতে হয়েছে স্বামীর নির্যাতনও । অভিযোগ, নির্যাতনে মদত ছিল খোদ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের । শেষ পর্যন্ত নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ ।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-1 নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজপুরা গ্রামে । ঘটনায় মৃত গৃহবধূর স্বামী, ননদ-সহ শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বাপের বাড়ির সদস্যরা । তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । বাকি অভিযুক্তরা অবশ্য পলাতক ।
বছর তিরিশের আত্মঘাতী গৃহবধূর নাম ফুলমনি খাতুন । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর আগে পাশের গ্রাম মালিপাকোর ফুলমনির সঙ্গে বেজপুরা গ্রামের নুরুদ্দিন ইসলামের বিয়ে হয় । ফুলমনি ছিলেন নুরুদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রী । আগের দুই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর তৃতীয় বিয়ে করে পেশায় শ্রমিক নুরুদ্দিন । বিয়ের পর ফুলমনির দুই সন্তানও হয় । এরই মধ্যে বউদি বেলো বিবির সঙ্গে নুরুদ্দিনের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয় । এ নিয়ে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলত । তার জন্য নাকি স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফুলমনির উপর নির্যাতনও চালাত । শেষ পর্যন্ত গতকাল সন্ধেয় গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ফুলমনি ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর দুই প্রেমিকের ছবি গলায় ঝুলিয়ে 'আত্মঘাতী' স্বামী ! আটক স্ত্রী
ফুলমনির বউদি গুলেরা খাতুন বলেন, "ওর বর বৌদির সঙ্গে বিবাহিত বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত । তার জেরেই এই ঝামেলা । আমরা চাই, ওদের সবার কঠোর শাস্তি হোক ।" ফুলমনির মা সাজিদা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ নুরুদ্দিনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয় । বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে ।