মালদা, 12 জুলাই: শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভার মঞ্চেই ফাটল চওড়া তৃণমূলে । মন্ত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদের উপস্থিতিতে কার্যত হাতাহাতিতে জড়ালেন শাসকদলের ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক (TMC inner conflict in Kaliachak)। এই ঘটনাতেও অবশ্য বিজেপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ।
আগামী 21 জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার একটি দলীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকে । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি, জেলা যুব সভাপতি তথা বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার, রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিন সভা শুরু হতেই মঞ্চের উপরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দুর্গেশ সরকার ও বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার ।
দুর্গেশবাবু ও চন্দনাদেবীর সাপে-নেওলের সম্পর্কের কথা প্রায় সকলেরই জানা । এদিন সভা শুরু হতেই দুর্গেশপন্থী কিছু কর্মী জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । এ থেকেই তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় সভামঞ্চে । বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সিও । অভিযোগ, এরপরেই দুর্গেশবাবুকে সভা ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে বলেন জেলা সভাপতি । তাঁর সেই নির্দেশ শুনেই দুর্গেশবাবুর অনুগামীরা চিৎকার শুরু করে দেন । কর্মীদের সামাল দিতে গিয়ে মেজাজ হারান জেলা সভাপতিও । এরপরেই কিছু সময়ের জন্য ধর্নায় বসেন দুর্গেশবাবুর অনুগামীরা ।
আরও পড়ুন: ফুচকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী, শিখিয়ে দিলেন আলুমাখার রেসিপিও ! দেখুন ভিডিয়ো
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রহিম বক্সি এদিন বলেন, “আজ কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভা ছিল । ব্লক সভাপতিকে নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা পুরোপুরি দলীয় ব্যাপার । দলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে । তবে বিজেপির কিছু লোক আমাদের প্রস্তুতি সভায় এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল । আমরা তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছি । দলের কেউ সভাস্থলের বাইরে ধর্নায় বসেছে কিনা তা আমার জানা নেই । তবে দলের কেউ দলের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসতে পারে না ।”