ETV Bharat / city

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান পড়ুয়াদের

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে গতকাল অবস্থানে বসে পড়ুয়ারা ৷ তাদের বক্তব্য, তারা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেনি । কোনও বিক্ষোভও দেখায়নি ।

পড়ুয়াদের অবস্থান চলছে
author img

By

Published : Sep 19, 2019, 6:13 AM IST

Updated : Sep 19, 2019, 8:06 AM IST

মালদা, 19 সেপ্টেম্বর : রেজিস্ট্রারের দপ্তরে হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরিকে গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ ৷ ওই ঘটনার 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এবার অবস্থানে বসল পড়ুয়ারা ৷ গতকাল একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান শুরু করে । পড়ুয়াদের বক্তব্য, তারা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেনি । কোনও বিক্ষোভও দেখায়নি । রেজিস্ট্রারের কাছে শুধুমাত্র কিছু প্রশ্নের উত্তর দাবি করেছেন । যতক্ষণ না তারা নিজেদের প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে, ততক্ষণ এই অবস্থান চলবে । এদিকে রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, তাঁর কাছে কেউ লিখিতভাবে কিছু দাবি জানায়নি । লিখিতভাবে দাবি জানানো হলে তিনি ভেবে দেখবেন ।

মঙ্গলবার পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের কাজে রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছে । তারা দীর্ঘক্ষণ রেজিস্ট্রারের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও গেটের তালা খোলা হচ্ছে না । রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছেন না । একারণে মঙ্গলবার কিছু পড়ুয়া রেজিস্ট্রারের দপ্তরের গেট ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়ে । তারা রেজিস্ট্রারের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানায় । পড়ুয়াদের সেই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার অভিযোগ করেন, পড়ুয়ারা তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছে । তাঁর দপ্তরের গেট ভাঙচুর করা হয়েছে । তাঁকে গালাগালি করা হয়েছে । গোটা ঘটনার CCTV ক্যামেরার ফুটেজ তাঁর কাছে রয়েছে । যদিও মঙ্গলবারের ঘটনার জন্য রেজিস্ট্রারকেই দায়ি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় ।

এই সংক্রান্ত খবর : রেজিস্ট্রারকে গালিগালাজ, দপ্তরে ঢুকে হামলার অভিযোগে ধুন্ধুমার গৌড়বঙ্গ

মঙ্গলবারের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গতকাল পড়ুয়াদের একাংশ রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান শুরু করে । তাদের একজন শ্রাবন্তী চক্রবর্তী বলেন, "আমরা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করিনি । মঙ্গলবার হয়ত উনি আপনাদের ডেকে বলেছিলেন, ছেলেরা তাঁর দপ্তরে ভাঙচুর করেছে । তাদের কোনও দাবি ছিল না । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিপত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন । একটা কথা বুঝতে হবে, আমরা কেউ স্কুল-কলেজে পড়া বাচ্চা ছেলেমেয়ে নই । বিনা কারণে কেউ কোনও ভাঙচুর করে না । আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে TMCP করি । তিনি নিজে বলেছেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না । কিন্তু আমি নিজে স্কলারশিপের ফর্মে স্বাক্ষর করাতে এসে দেখেছি, রেজিস্ট্রারের দপ্তরের গেটে তালা । মঙ্গলবারও সেখানে তালা ছিল । আবার স্যারের কিছু প্রিয় ছাত্রছাত্রী অবাধে ভিতরে যেতে পারে । রাতবিরেতে বিভিন্ন অনৈতিক দাবি নিয়ে তারা স্যারের সঙ্গে কথা বলে । এর আগেও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ওঠা কিছু দুর্নীতি নিয়ে আমরা তাঁর জবাবদিহি চেয়েছিলাম । তখনও আমাদের এভাবেই কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল । আমরা না কি বিনা কারণে তাঁকে হেনস্থা করেছি । উনি অনৈতিকভাবে একজনকে ভরতি করিয়েছিলেন । হস্টেল নির্মাণ নিয়েও এখানে প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এখন জঙ্গলে ভরতি । বড় বড় সাপ বেরোয় । এসব নিয়ে কোনও কাজ হয় না । আর এসব নিয়ে তাঁকে কিছু বলাও যায় না । তাঁর দপ্তরে তালা লাগানো থাকে । কিন্তু এসব নিয়ে কিছু বলতে গেলে এমনভাবে খবর দেখানো হয় যে আমরা খুব খারাপ । আমি তাঁকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছি । কিন্তু তিনি কোনও জবাব দিতে পারছেন না । উত্তর পেলেই আমরা চলে যাব । এর আগে এসব প্রশ্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে । মেয়েদেরও রেয়াত করা হয়নি । কোনও প্রমাণ ছাড়াই সেই মামলা করা হয়েছে । এটা পড়ুয়াদের কাছে ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে আমরা এমন কোনও কাজ করব না, তেমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে । অর্থাৎ আমাদের লিখিতভাবে নিজেদের দোষ স্বীকার করতে হবে । যা আমরা করিনি । এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন কেমন তা কারও অজানা নয় । সেসব ঠিক না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দোষারোপ করার দিকেই মন দিয়েছে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহম্মদ জুয়েল হকও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন । তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তর নিজেদের ইচ্ছামতো চলছে । আমাদের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে । দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে । প্রতি সেমেস্টার 6 মাসের । 3 মাসের মধ্যে ছেলেমেয়েরা সেই কোর্স শেষ করবে কী ভাবে? এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে । রেজিস্ট্রার কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না । আমরা আমাদের প্রশ্নের শুধু জবাব চাই । জবাব না পেলে আমরা রেজিস্ট্রারের ঘরে বসেই থাকব । তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজে ব্যাঘাত ঘটাব না ।"

পড়ুয়াদের এই অবস্থান নিয়ে রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও লিখিত দাবি জানায়নি । তবে পড়ুয়ারা আমাকে ঘেরাও করেনি । আমি কাজ করে যাচ্ছি । লিখিতভাবে কেউ কিছু জানতে চাইলে আমরা নিশ্চয় তা নিয়ে ভাবব । তবে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আমি কোনও উত্তর দেব না ।"

মালদা, 19 সেপ্টেম্বর : রেজিস্ট্রারের দপ্তরে হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরিকে গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ ৷ ওই ঘটনার 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এবার অবস্থানে বসল পড়ুয়ারা ৷ গতকাল একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান শুরু করে । পড়ুয়াদের বক্তব্য, তারা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেনি । কোনও বিক্ষোভও দেখায়নি । রেজিস্ট্রারের কাছে শুধুমাত্র কিছু প্রশ্নের উত্তর দাবি করেছেন । যতক্ষণ না তারা নিজেদের প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে, ততক্ষণ এই অবস্থান চলবে । এদিকে রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, তাঁর কাছে কেউ লিখিতভাবে কিছু দাবি জানায়নি । লিখিতভাবে দাবি জানানো হলে তিনি ভেবে দেখবেন ।

মঙ্গলবার পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের কাজে রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছে । তারা দীর্ঘক্ষণ রেজিস্ট্রারের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও গেটের তালা খোলা হচ্ছে না । রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছেন না । একারণে মঙ্গলবার কিছু পড়ুয়া রেজিস্ট্রারের দপ্তরের গেট ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়ে । তারা রেজিস্ট্রারের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানায় । পড়ুয়াদের সেই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার অভিযোগ করেন, পড়ুয়ারা তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছে । তাঁর দপ্তরের গেট ভাঙচুর করা হয়েছে । তাঁকে গালাগালি করা হয়েছে । গোটা ঘটনার CCTV ক্যামেরার ফুটেজ তাঁর কাছে রয়েছে । যদিও মঙ্গলবারের ঘটনার জন্য রেজিস্ট্রারকেই দায়ি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় ।

এই সংক্রান্ত খবর : রেজিস্ট্রারকে গালিগালাজ, দপ্তরে ঢুকে হামলার অভিযোগে ধুন্ধুমার গৌড়বঙ্গ

মঙ্গলবারের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গতকাল পড়ুয়াদের একাংশ রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান শুরু করে । তাদের একজন শ্রাবন্তী চক্রবর্তী বলেন, "আমরা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করিনি । মঙ্গলবার হয়ত উনি আপনাদের ডেকে বলেছিলেন, ছেলেরা তাঁর দপ্তরে ভাঙচুর করেছে । তাদের কোনও দাবি ছিল না । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিপত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন । একটা কথা বুঝতে হবে, আমরা কেউ স্কুল-কলেজে পড়া বাচ্চা ছেলেমেয়ে নই । বিনা কারণে কেউ কোনও ভাঙচুর করে না । আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে TMCP করি । তিনি নিজে বলেছেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না । কিন্তু আমি নিজে স্কলারশিপের ফর্মে স্বাক্ষর করাতে এসে দেখেছি, রেজিস্ট্রারের দপ্তরের গেটে তালা । মঙ্গলবারও সেখানে তালা ছিল । আবার স্যারের কিছু প্রিয় ছাত্রছাত্রী অবাধে ভিতরে যেতে পারে । রাতবিরেতে বিভিন্ন অনৈতিক দাবি নিয়ে তারা স্যারের সঙ্গে কথা বলে । এর আগেও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ওঠা কিছু দুর্নীতি নিয়ে আমরা তাঁর জবাবদিহি চেয়েছিলাম । তখনও আমাদের এভাবেই কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল । আমরা না কি বিনা কারণে তাঁকে হেনস্থা করেছি । উনি অনৈতিকভাবে একজনকে ভরতি করিয়েছিলেন । হস্টেল নির্মাণ নিয়েও এখানে প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এখন জঙ্গলে ভরতি । বড় বড় সাপ বেরোয় । এসব নিয়ে কোনও কাজ হয় না । আর এসব নিয়ে তাঁকে কিছু বলাও যায় না । তাঁর দপ্তরে তালা লাগানো থাকে । কিন্তু এসব নিয়ে কিছু বলতে গেলে এমনভাবে খবর দেখানো হয় যে আমরা খুব খারাপ । আমি তাঁকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছি । কিন্তু তিনি কোনও জবাব দিতে পারছেন না । উত্তর পেলেই আমরা চলে যাব । এর আগে এসব প্রশ্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে । মেয়েদেরও রেয়াত করা হয়নি । কোনও প্রমাণ ছাড়াই সেই মামলা করা হয়েছে । এটা পড়ুয়াদের কাছে ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে আমরা এমন কোনও কাজ করব না, তেমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে । অর্থাৎ আমাদের লিখিতভাবে নিজেদের দোষ স্বীকার করতে হবে । যা আমরা করিনি । এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন কেমন তা কারও অজানা নয় । সেসব ঠিক না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দোষারোপ করার দিকেই মন দিয়েছে ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহম্মদ জুয়েল হকও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন । তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তর নিজেদের ইচ্ছামতো চলছে । আমাদের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে । দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে । প্রতি সেমেস্টার 6 মাসের । 3 মাসের মধ্যে ছেলেমেয়েরা সেই কোর্স শেষ করবে কী ভাবে? এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে । রেজিস্ট্রার কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না । আমরা আমাদের প্রশ্নের শুধু জবাব চাই । জবাব না পেলে আমরা রেজিস্ট্রারের ঘরে বসেই থাকব । তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজে ব্যাঘাত ঘটাব না ।"

পড়ুয়াদের এই অবস্থান নিয়ে রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও লিখিত দাবি জানায়নি । তবে পড়ুয়ারা আমাকে ঘেরাও করেনি । আমি কাজ করে যাচ্ছি । লিখিতভাবে কেউ কিছু জানতে চাইলে আমরা নিশ্চয় তা নিয়ে ভাবব । তবে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আমি কোনও উত্তর দেব না ।"

Intro:মালদা, 18 সেপ্টেম্বর : গতকালের পর আজ ফের খবরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে আজ পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান শুরু করেছেন। পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেননি। কোনও বিক্ষোভও দেখাননি। রেজিস্ট্রারের কাছে শুধুমাত্র কিছু প্রশ্নের উত্তর দাবি করেছেন। যতক্ষণ না তাঁরা নিজেদের প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন, ততক্ষণ তাঁদের এই অবস্থান চলবে। এদিকে রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, তাঁর কাছে কেউ লিখিতভাবে কিছু দাবি জানায়নি। লিখিতভাবে দাবি জানানো হলে তিনি ভেবে দেখবেন।


Body:উল্লেখ্য, গতকালই পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের কাজে রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে হেনস্তার শিকার হচ্ছে। তারা দীর্ঘক্ষন রেজিস্ট্রারের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও গেটের তালা খোলা হচ্ছে না। রেজিস্ট্রার তাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছেন না। একারণে গতকাল কিছু পড়ুয়া রেজিস্ট্রারের দপ্তরের গেট ভেঙে জোর করেই ভিতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরা রেজিস্ট্রারের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানান। পড়ুয়াদের সেই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে গতকাল রেজিস্ট্রার জানান, পড়ুয়ারা তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছে। তাঁর দপ্তরের গেট ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁকে অশ্লীল গালাগালি করা হয়েছে। গোটা ঘটনার সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ তাঁর কাছে রয়েছে। যদিও গতকালের ঘটনার জন্য রেজিস্ট্রারকেই দায়ী করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়।
গতকালের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ পড়ুয়াদের একাংশ রেজিস্টারের ঘরে অবস্থান শুরু করেছেন। তাঁদের একজন শ্রাবন্তী চক্রবর্তী বলেন, "আজ আমরা রেজিস্ট্রারকে কোনও ঘেরাও করিনি। গতকাল হয়তো উনি আপনাদের ডেকে বলেছিলেন, ছেলেরা তাঁর দপ্তরে ভাঙচুর করেছে। তাদের কোনও দাবি ছিল না। গতকাল তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিপত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। একটা কথা বুঝতে হবে, আমরা কেউ স্কুল-কলেজে পড়া বাচ্চা ছেলেমেয়ে নই। বিনা কারণে কেউ কোনও ভাঙচুর করে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে টিএমসিপি করি। তিনি নিজে বলেছেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। কিন্তু আমি নিজে স্কলারশিপের ফর্মে স্বাক্ষর করাতে এসে দেখেছি, রেজিস্টরের দপ্তরের গেটে তালা। গতকালও সেখানে তালা ছিল। আবার স্যারের কিছু প্রিয় ছাত্রছাত্রী অবাধে ভিতরে যেতে পারে। রাতবিরেতে বিভিন্ন অনৈতিক দাবি নিয়ে তারা স্যারের সঙ্গে কথা বলে। এর আগেও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ওঠা কিছু দুর্নীতি নিয়ে আমরা তাঁর জবাবদিহি চেয়েছিলাম। তখনও আমাদের এভাবেই কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল। আমরা নাকি বিনা কারণে তাঁকে হেনস্থা করেছি। উনি অনৈতিকভাবে একজনকে ভরতি করিয়েছিলেন। হোস্টেল নির্মাণ নিয়েও এখানে প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এখন জঙ্গলে ভরতি। বড়ো বড়ো সাপ বেরোয়। এসব নিয়ে কোনও কাজ হয় না। আর এসব নিয়ে তাঁকে কিছু বলাও যায় না। তাঁর দপ্তরে তালা লাগানো থাকে। কিন্তু এসব নিয়ে কিছু বলতে গেলে এমনভাবে খবর দেখানো হয় যে আমরা খুব খারাপ। আমি আজ তাঁকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছি। কিন্তু তিনি কোনও জবাব দিতে পারছেন না। উত্তর পেলেই আমরা চলে যাব। এর আগে এসব প্রশ্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। মেয়েদেরও রেয়াত করা হয়নি। কোনও প্রমাণ ছাড়াই সেই মামলা করা হয়েছে। এটা পড়ুয়াদের কাছে ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যতে আমরা এমন কোনও কাজ করব না, তেমন লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। অর্থাৎ আমাদের লিখিতভাবে নিজেদের দোষ স্বীকার করতে হবে। যা আমরা করিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন কেমন তা কারোর অজানা নয়। সেসব ঠিক না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দোষারোপ করার দিকেই মন দিয়েছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহাম্মাদ জুয়েল হকও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তর নিজেদের ইচ্ছামত চলছে। আমাদের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি সেমেস্টার 6 মাসের। 3 মাসের মধ্যে ছেলেমেয়েরা সেই কোর্স শেষ করবে কীভাবে? এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। রেজিস্ট্রার আজ কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না। আমরা আমাদের প্রশ্নের শুধু জবাব চাই। জবাব না পেলে আমরা রেজিস্ট্রারের ঘরে বসেই থাকব। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজে ব্যাঘাত ঘটাব না।"


Conclusion:পড়ুয়াদের এই অবস্থান নিয়ে রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও লিখিত দাবি জানায়নি। তবে পড়ুয়ারা আজ আমাকে ঘেরাও করেনি। আমি কাজ করে যাচ্ছি। লিখিতভাবে কেউ কিছু জানতে চাইলে আমরা নিশ্চয়ই তা নিয়ে ভাবব। তবে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আমি কোনও উত্তর দেব না।"
Last Updated : Sep 19, 2019, 8:06 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.