ETV Bharat / city

প্রবল শীতেও ডেঙ্গি, চরিত্র বদল মশার? - শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

মশারা কি চরিত্র বদলাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই ৷ মালদা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ বলেন, শীতকালে ডেঙ্গি যে হবে না, এমন কোনও কথা নেই ৷

Severe dengue outbreaks in the winter
প্রবল শীতেও ডেঙ্গির উপদ্রব
author img

By

Published : Jan 3, 2020, 3:04 PM IST

Updated : Jan 3, 2020, 3:25 PM IST

মালদা, 3 জানুয়ারি : প্রবল শীতেও ডেঙ্গির উপদ্রব অব্যাহত। মশারা কি চরিত্র বদলাচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। মশককূলের চরিত্র বদলের কথা স্বীকার করছেন মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারির ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্য ৷ শীতের দোসর হয়েছে বৃষ্টি ৷ কিন্তু হাড় কাঁপুনি শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ মালদা মেডিকেল ভরতি রয়েছে ডেঙ্গির রোগী ৷ শুধু ডেঙ্গিই নয়, এই শীতে ধরা পড়ছে ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগও ৷

Severe dengue outbreaks in the winter
প্রবল শীতেও ডেঙ্গির উপদ্রব

মশারা কি চরিত্র বদলাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই ৷ মশা যে চরিত্র বদল করছে তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন মালদা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার ৷ তিনি জানাচ্ছেন, প্রবল শীতের মধ্যেও বংশবিস্তার চলছে মশককূলের ৷ ফলে মশাবাহিত রোগ শীতেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি ৷ তবে তার দাপট এখন কিছুটা কম ৷ তাই গ্রীষ্ম, বর্ষা পেরিয়ে শীতে পা রাখা বাঙালির কাছে তাঁর আবেদন, ঠাণ্ডায় মশার কামড় খেতে হবে না ভেবে কেউ যেন মশারি ছাড়া না ঘুমোন ৷ কারণ, ডেঙ্গির মশা এডিস ইজিপ্টি শুধু যে দিনে কামড়ায় তা নয়, এই মশা রাতেও কামড়ায় ৷ মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সবাইকে নিজের বাড়ি ও এলাকায় জল জমতে না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷

প্রবল শীতেও ডেঙ্গি

মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগেও হাসপাতালের মেডিকেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ৷ আজ নতুন করে আরও এক রোগীর ডেঙ্গি পড়েছে ৷ ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কয়েকজন ৷ শুধু মেডিকেলই নয়, মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতেও রোগী ভরতি থাকার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ শীতের সময় মশার এমন উৎপাত আগে তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি ৷

মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ ইটিভি ভারতকে বলেন, “শীতকালে ডেঙ্গি যে হবে না, এমন কোনও কথা নেই ৷ দেখা যাচ্ছে, একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ তবে ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির মশার প্রজননগত পরিবর্তন হচ্ছে ৷ তার জন্য পতঙ্গ বিশারদরাও সবাইকে সতর্ক করেছেন ৷ আমরা একটা কথা বলতে পারি, শীত পড়েছে বলেই যে মশারি টাঙাব না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকব না, তেমন ভাবলে চলবে না ৷ বাড়ি বা আশেপাশের এলাকায় জল কিছুতেই জমতে দেওয়া যাবে না ৷ ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মশারি টাঙিয়ে শুতেই হবে ৷ আমরা সবাইকে সেই আবেদন করছি ৷ বছরের এই সময় মশা তেমন একটা সক্রিয় না থাকার কথা ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনও মশককূল ভীষণভাবে সক্রিয় রয়েছে ৷" অমিতবাবু আরও জানান, যখন প্রবল শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেখা মিলছে, তখন নিশ্চিতভাবে ডেঙ্গি আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে ৷ শীত পেরিয়ে গরম শুরু হলেই ডেঙ্গি ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ৷

মালদা, 3 জানুয়ারি : প্রবল শীতেও ডেঙ্গির উপদ্রব অব্যাহত। মশারা কি চরিত্র বদলাচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। মশককূলের চরিত্র বদলের কথা স্বীকার করছেন মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারির ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্য ৷ শীতের দোসর হয়েছে বৃষ্টি ৷ কিন্তু হাড় কাঁপুনি শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ মালদা মেডিকেল ভরতি রয়েছে ডেঙ্গির রোগী ৷ শুধু ডেঙ্গিই নয়, এই শীতে ধরা পড়ছে ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগও ৷

Severe dengue outbreaks in the winter
প্রবল শীতেও ডেঙ্গির উপদ্রব

মশারা কি চরিত্র বদলাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই ৷ মশা যে চরিত্র বদল করছে তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন মালদা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার ৷ তিনি জানাচ্ছেন, প্রবল শীতের মধ্যেও বংশবিস্তার চলছে মশককূলের ৷ ফলে মশাবাহিত রোগ শীতেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি ৷ তবে তার দাপট এখন কিছুটা কম ৷ তাই গ্রীষ্ম, বর্ষা পেরিয়ে শীতে পা রাখা বাঙালির কাছে তাঁর আবেদন, ঠাণ্ডায় মশার কামড় খেতে হবে না ভেবে কেউ যেন মশারি ছাড়া না ঘুমোন ৷ কারণ, ডেঙ্গির মশা এডিস ইজিপ্টি শুধু যে দিনে কামড়ায় তা নয়, এই মশা রাতেও কামড়ায় ৷ মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সবাইকে নিজের বাড়ি ও এলাকায় জল জমতে না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷

প্রবল শীতেও ডেঙ্গি

মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগেও হাসপাতালের মেডিকেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ৷ আজ নতুন করে আরও এক রোগীর ডেঙ্গি পড়েছে ৷ ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কয়েকজন ৷ শুধু মেডিকেলই নয়, মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতেও রোগী ভরতি থাকার খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ শীতের সময় মশার এমন উৎপাত আগে তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি ৷

মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ ইটিভি ভারতকে বলেন, “শীতকালে ডেঙ্গি যে হবে না, এমন কোনও কথা নেই ৷ দেখা যাচ্ছে, একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ তবে ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির মশার প্রজননগত পরিবর্তন হচ্ছে ৷ তার জন্য পতঙ্গ বিশারদরাও সবাইকে সতর্ক করেছেন ৷ আমরা একটা কথা বলতে পারি, শীত পড়েছে বলেই যে মশারি টাঙাব না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকব না, তেমন ভাবলে চলবে না ৷ বাড়ি বা আশেপাশের এলাকায় জল কিছুতেই জমতে দেওয়া যাবে না ৷ ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মশারি টাঙিয়ে শুতেই হবে ৷ আমরা সবাইকে সেই আবেদন করছি ৷ বছরের এই সময় মশা তেমন একটা সক্রিয় না থাকার কথা ৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনও মশককূল ভীষণভাবে সক্রিয় রয়েছে ৷" অমিতবাবু আরও জানান, যখন প্রবল শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেখা মিলছে, তখন নিশ্চিতভাবে ডেঙ্গি আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে ৷ শীত পেরিয়ে গরম শুরু হলেই ডেঙ্গি ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ৷

Intro:মালদা, ০২ জানুয়ারি : জানুয়ারির ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্য৷ শীতের দোসর হয়েছে বৃষ্টি৷ কিন্তু হাড় কাঁপুনি শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি হামলার বিরাম নেই৷ আজও মালদা মেডিকেলে ভরতি রয়েছে ডেঙ্গির রোগী৷ শুধু ডেঙ্গিই নয়, এই শীতে ধরা পড়ছে ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগও৷ তবে কি মশার চরিত্র বদলাচ্ছে? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই৷ মশা যে চরিত্র বদল করছে তা কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন মালদা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার৷ তিনি জানাচ্ছেন, প্রবল শীতের মধ্যেও বংশবিস্তার চলছে মশককূলের৷ ফলে মশাবাহিত রোগ শীতেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি৷ তবে তার দাপট এখন কিছুটা কম৷ তাই গ্রীষ্ম, বর্ষা পেরিয়ে শীতে পা রাখা বাঙালির কাছে তাঁর আবেদন, ঠাণ্ডায় মশার কামড় খেতে হবে না ভেবে কেউ যেন মশারি ছাড়া না ঘুমোন৷ কারণ, ডেঙ্গির হামলা চালানো এডিস ইজিপ্টা শুধু যে দিনে কামড়ায় তা নয়, এই মশা রাতেও কামড়ায়৷ মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সবাইকে নিজের বাড়ি ও এলাকায় জল জমতে না দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷


Body:         মালদা মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগেও হাসপাতালের মেডিকেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী৷ আজ নতুন করে আরও এক রোগীর দেহে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে৷ ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কয়েকজন৷ শুধু মেডিকেলই নয়, মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতেও রোগী ভরতি থাকার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ শীতের সময় মশার এমন উৎপাত আগে তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি চরিত্র বদল করছে মশার দল? প্রবল ঠান্ডাও কি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?


Conclusion:          এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ ইটিভি ভারতকে বলেন, “শীতকালে ডেঙ্গি যে হবে না, এমন কোনও কথা নেই৷ দেখা যাচ্ছে, একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এই মুহূর্তে হাসপাতালে একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভরতি রয়েছেন৷ তবে ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টা প্রজাতির মশার প্রজননগত পরিবর্তন হচ্ছে৷ তার জন্য পতঙ্গ বিশারদরাও সবাইকে সতর্ক করেছেন৷ আমরা একটা কথা বলতে পারি, শীত পড়েছে বলেই যে মশারি টাঙাব না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকব না, তেমন ভাবলে চলবে না৷ বাড়ি বা আশেপাশের এলাকায় জল কিছুতেই জমতে দেওয়া যাবে না৷ ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মশারি টাঙিয়ে শুতেই হবে৷ আমরা সবাইকে সেই আবেদন করছি৷ বছরের এই সময় মশা তেমন একটা সক্রিয় না থাকার কথা৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনও মশককূল ভীষণভাবে সক্রিয় রয়েছে৷ মশার প্রজননগত পরিবর্তন এর কারণ হতে পারে৷ সবার কাছে আমাদের আবেদন, রোগের চিকিৎসার বদলে সবাই যেন রোগ প্রতিহত করার দিকে নজর দেন৷” অমিতবাবু আরও জানান, যখন প্রবল শীতের মধ্যেও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর দেখা মিলছে, তখন নিশ্চিতভাবে ডেঙ্গির জীবাণু আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে৷ শীত পেরিয়ে গরম শুরু হলেই এই জীবাণু সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷ তবে ডেঙ্গি কিংবা অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় তাঁরা পুরোপুরি তৈরি রয়েছেন৷
Last Updated : Jan 3, 2020, 3:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.