মালদা, 5 সেপ্টেম্বর: অভিযোগ দায়ের হওয়ার 48 ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের ডেরা থেকে এক যুবককে উদ্ধার করল মালদা থানার পুলিশ (Police Rescue Kidnapped Youth in Malda) ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অপহরণকারীকেও ৷ ছেলেকে ফিরে পেয়ে পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান অপহৃত যুবকের বাবা ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম সৌমেন বিশ্বাস ৷ বয়স 24 বছর ৷ বাড়ি পুরাতন মালদার নারায়ণপুর সংলগ্ন জলঙ্গা গ্রামে ৷ পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 30 অগস্ট ঘটনার সূত্রপাত ৷ এদিন হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবক ৷ সৌমেন এখনও পড়াশোনা করেন ৷ এরপরেই সৌমেনের বাবা কৃষ্ণ বিশ্বাসের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ফোন আসে ৷ কখনও 20 লক্ষ টাকা ৷ আবার কখনও 35 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ৷ শেষ পর্যন্ত গত 2 সেপ্টেম্বর মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণবাবু ৷
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সৌমেনকে ইংরেজবাজারের যদুপুর এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ৷ এরপর কৃষ্ণবাবুর কাছে আসা ফোনের নম্বর ট্র্যাক করে জানা যায়, অপহরণকারীরা সৌমেনকে আদিনা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে ৷ সেইমতোই তদন্ত শুরু করে মালদা থানার পুলিশ ৷ রবিবার রাতে আদিনা স্টেশন সংলগ্ন গোপন ডেরা থেকে সৌমেনকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ ধরা পড়ে যায় অপহরণে অভিযুক্ত বাদল শেখ, বাবলু শেখ ও আনারুল শেখ ৷ বাদল ও বাবলুর বাড়ি গাজোলের রাইসাদিঘি গ্রামে ৷ আনারুল গাজোলেরই আলিনগর গ্রামে ৷ এই আনারুলই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৷ সেই কৃষ্ণবাবুর কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল ৷
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে 'অপহরণে'র অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, দমদম থানায় অভিযোগ প্রতিবেশীদের
পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণবাবু পেশায় ঠিকাদার ৷ ঠিকাদারি পাইয়ে দেওয়ার নামে তিনি অনেকের কাছ থেকে নাকি মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন ৷ আনারুলের কাছ থেকেও তিনি নাকি টাকা আদায় করেছিলেন ৷ যদিও কৃষ্ণ বিশ্বাসের নামে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায় ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 364 A ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ আজ ধৃতদের জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ বাদল ও বাবলুর টিআই প্যারেড হবে ৷ মূল অভিযুক্ত আনারুলকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ৷