ETV Bharat / city

বিধায়কের বাড়িতে হামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ মালদায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু পুলিশের - TMC

গত সোমবার রাতে ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী৷ বিধায়কের বাড়ির ভিতরে ঢুকেও তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি-সহ মোট 12 জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ তার মধ্যে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে৷

বিধায়কের বাড়িতে হামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ মালদায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু পুলিশের
বিধায়কের বাড়িতে হামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ মালদায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু পুলিশের
author img

By

Published : Feb 18, 2021, 10:48 PM IST

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি-সহ মোট 12 জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ তার মধ্যে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ তবে ভোটের আগে এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার তৃণমূল মহলে৷

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী৷ বিধায়কের বাড়ির ভিতরে ঢুকেও তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ ঘটনার পর নীহারবাবু দাবি করেন, “এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস৷ আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যেই ওই দু’জনের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটায়৷ এটা তাঁদের পরিকল্পিত হামলা৷ ঘটনা চলাকালীন সিসিটিভির ফুটেজেও ওই দু’জনকে দেখা গিয়েছে৷”

ঘটনার প্রেক্ষিতে কৃষ্ণেন্দুবাবু, প্রসেনজিতবাবু-সহ মোট পাঁচজনের নামে এবং অচেনা আরও অনেকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক৷ সেদিন রাতে পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে৷ এরপরেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু দাবি করেন, সেদিন রাতে বিধায়কের পাড়ার একটি ঝামেলায় তাঁর ওয়ার্ডের কিছু ছেলে জড়িয়ে পড়ে৷ তারা বিধায়কের পাড়ায় চলে যায়৷ খবর পেয়ে তিনি ও প্রসেনজিতবাবু সেখানে গিয়ে ছেলেদের ফিরিয়ে আনেন৷ তাছাড়া সেদিন মহদিপুর ও কালিয়াচকের কিছু নামকরা সমাজবিরোধী বিধায়কের বাড়িতে একটি গোপন বৈঠক করে৷ তাঁকে খুন করতে সেই বৈঠক হয়৷ সেই খবরও তাঁর কাছে আছে৷

সূত্রের খবর, ভোটের মুখে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ উপরমহল থেকে এই ঘটনায় পুলিশকে কড়া তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ৷ শুরু হয় তদন্ত৷ ঘটনার পর নীহারবাবু পুলিশকে সিসিটিভির যে ফুটেজ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হয়৷ সেই ছবি দেখে আরও সাতজনকে চিহ্নিত করা হয়৷ পরে পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে৷

বিশ্বস্ত পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসব ফুটেজের মধ্যে সেদিন হামলাকারীদের হাতে পিস্তল ও বোমাও দেখা গিয়েছে৷ একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে কৃষ্ণেন্দুবাবু ও প্রসেনজিতবাবুকে৷ আদালত সূত্রে খবর, এই ঘটনায় পুলিশ বিধায়কের অভিযোগপত্রে নাম থাকা পাঁচজনের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ১৪৭ (দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা), ১৪৮ (অস্ত্র-সহ হামলা), ১৪৯ (হামলার জন্য একজোট হওয়া), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৫৩ (কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীকে হেনস্থা করা), ৩৫৪ বি (মহিলাদের শ্লীলতাহানি), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতিসাধন), ৪৪৮ (বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ), অস্ত্র আইনের ২৫, ২৭ ও ৩৫ ধারা এবং বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা রুজু করে করেছে৷ এর মধ্যে ৩০৭, ৩৫৪ বি, অস্ত্র আইনের ২৫, ২৭, ৩৫ এবং বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারা জামিন অযোগ্য৷

আজ, এনিয়ে নীহারবাবু, কৃষ্ণেন্দুবাবু কিংবা প্রসেনজিতবাবু সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি৷ তবে দুই শিবিরের তরফেই জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে এনিয়ে তাঁদের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খোলার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কৃষ্ণেন্দু শিবিরের সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আইনি পথেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তিনি নিজেও মালদা জেলা আদালতের একজন আইনজীবী৷ এদিকে জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে৷”

আরও পড়ুন : অভিষেককে কেন রাজনীতিতে এনেছেন, ব্যাখ্যা দিলেন মমতা

তবে গোটা ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে ভোটের মুখে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জনমানসে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলেও অনেকের ধারণা৷

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি-সহ মোট 12 জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ তার মধ্যে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ তবে ভোটের আগে এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার তৃণমূল মহলে৷

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী৷ বিধায়কের বাড়ির ভিতরে ঢুকেও তারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ ঘটনার পর নীহারবাবু দাবি করেন, “এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস৷ আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যেই ওই দু’জনের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটায়৷ এটা তাঁদের পরিকল্পিত হামলা৷ ঘটনা চলাকালীন সিসিটিভির ফুটেজেও ওই দু’জনকে দেখা গিয়েছে৷”

ঘটনার প্রেক্ষিতে কৃষ্ণেন্দুবাবু, প্রসেনজিতবাবু-সহ মোট পাঁচজনের নামে এবং অচেনা আরও অনেকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক৷ সেদিন রাতে পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে৷ এরপরেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কৃষ্ণেন্দুবাবু দাবি করেন, সেদিন রাতে বিধায়কের পাড়ার একটি ঝামেলায় তাঁর ওয়ার্ডের কিছু ছেলে জড়িয়ে পড়ে৷ তারা বিধায়কের পাড়ায় চলে যায়৷ খবর পেয়ে তিনি ও প্রসেনজিতবাবু সেখানে গিয়ে ছেলেদের ফিরিয়ে আনেন৷ তাছাড়া সেদিন মহদিপুর ও কালিয়াচকের কিছু নামকরা সমাজবিরোধী বিধায়কের বাড়িতে একটি গোপন বৈঠক করে৷ তাঁকে খুন করতে সেই বৈঠক হয়৷ সেই খবরও তাঁর কাছে আছে৷

সূত্রের খবর, ভোটের মুখে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ উপরমহল থেকে এই ঘটনায় পুলিশকে কড়া তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ৷ শুরু হয় তদন্ত৷ ঘটনার পর নীহারবাবু পুলিশকে সিসিটিভির যে ফুটেজ দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হয়৷ সেই ছবি দেখে আরও সাতজনকে চিহ্নিত করা হয়৷ পরে পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে৷

বিশ্বস্ত পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসব ফুটেজের মধ্যে সেদিন হামলাকারীদের হাতে পিস্তল ও বোমাও দেখা গিয়েছে৷ একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে কৃষ্ণেন্দুবাবু ও প্রসেনজিতবাবুকে৷ আদালত সূত্রে খবর, এই ঘটনায় পুলিশ বিধায়কের অভিযোগপত্রে নাম থাকা পাঁচজনের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ১৪৭ (দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা), ১৪৮ (অস্ত্র-সহ হামলা), ১৪৯ (হামলার জন্য একজোট হওয়া), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৫৩ (কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মীকে হেনস্থা করা), ৩৫৪ বি (মহিলাদের শ্লীলতাহানি), ৪২৭ (সম্পত্তির ক্ষতিসাধন), ৪৪৮ (বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ), অস্ত্র আইনের ২৫, ২৭ ও ৩৫ ধারা এবং বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা রুজু করে করেছে৷ এর মধ্যে ৩০৭, ৩৫৪ বি, অস্ত্র আইনের ২৫, ২৭, ৩৫ এবং বিস্ফোরক আইনের ৩/৪ ধারা জামিন অযোগ্য৷

আজ, এনিয়ে নীহারবাবু, কৃষ্ণেন্দুবাবু কিংবা প্রসেনজিতবাবু সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি৷ তবে দুই শিবিরের তরফেই জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে এনিয়ে তাঁদের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খোলার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কৃষ্ণেন্দু শিবিরের সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আইনি পথেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তিনি নিজেও মালদা জেলা আদালতের একজন আইনজীবী৷ এদিকে জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে৷”

আরও পড়ুন : অভিষেককে কেন রাজনীতিতে এনেছেন, ব্যাখ্যা দিলেন মমতা

তবে গোটা ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে ভোটের মুখে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জনমানসে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলেও অনেকের ধারণা৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.