ETV Bharat / city

Police Constable Slaps Doctor : মালদা মেডিক্যাল কলেেজে চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে - Doctor Agitation in Malda Medical College

মালদা মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে (Police Constable Slaps Doctor) ৷ আউটডোর থেকে হাসপাতালে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় গেটের সামনে তাঁকে ওই পুলিশকর্মী চড় মারেন বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবাদে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা (Doctor Agitation in Malda Medical College) ৷

Police Constable Slaps Doctor in Malda Medical College and Hospital
Police Constable Slaps Doctor in Malda Medical College and Hospital
author img

By

Published : Feb 9, 2022, 6:55 PM IST

মালদা, 9 ফেব্রুয়ারি : মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসকে চড় মারার অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে (Police Constable Slaps Doctor) ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতাল চত্তরে ৷ ওই পুলিশকর্মীকে আটকে রেখে তাঁর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ৷ ঘটনার খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷

ঘটনায় জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য আউটডোরের পরিষেবা ব্যহত হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে (Doctor Agitation in Malda Medical College) ৷ অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে চিকিৎসকরা বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আজ মালদা মেডিক্যালের আউটডোরে ডিউটি ছিল চিকিৎসক সৌভিক সাহার ৷ দুপুরে হাসপাতাল থেকে কল আসায় তিনি আউটডোর থেকে হাসপাতালে আসছিলেন ৷ সেই সময় মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে আসামিদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ গাড়ি থেকে আসামিদের নামানোর সময় পুলিশকর্মীরা ওই জায়গা থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই সেখান দিয়ে হাসপাতালে ঢুকছিলেন সৌভিকবাবু ৷ অভিযোগ তখন এক পুলিশকর্মী তাঁকে চড় মারেন ৷

আরও পড়ুন : Teachers Agitaion in Malda : বেতন দিচ্ছে না বেসরকারি সংস্থা, বিক্ষোভ বৃত্তিমূলক বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

সৌভিকবাবু অভিযোগ করেছেন, “আমি আউটডোরে রোগী দেখছিলাম ৷ তখন হাসপাতাল থেকে এক জুনিয়র ফোন করে এক রোগীকে দেখার জন্য ডাকে ৷ আমি রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে ঢুকতে গেলে এক পুলিশকর্মী গেটে আমাকে ধাক্কা মারেন ৷ আমি ঘুরে তাকাই ৷ কিছু বলার আগেই তিনি আমার গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন ৷ আমার গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসে যায় ৷ আমার সঙ্গে ওই পুলিশকর্মী কোনও কথাই বলেননি ৷ আজ আমি 24 ঘণ্টা ডিউটি করছি ৷ তার পর এভাবে পুলিশের চড় মেনে নিতে পারছি না ৷ 15 দিন আগে পুলিশ ও সিভিককর্মীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে একজন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে মারধর করেছিলেন ৷ এখানে পুলিশের দাদাগিরি চলছে ৷ হাসপাতালে পুলিশ রাখা হয় আমাদের নিরাপত্তার জন্য ৷ কিন্তু, সেই পুলিশই যদি আমাদের উপর চড়াও হয়, তবে আমরা কীভাবে কাজ করব ? এ ভাবে আমরা কাজ করতে পারব না ৷”

মালদা মেডিক্যাল কলেেজে চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন : Teacher Transfer in Murshidabad : দুই শিক্ষিকার বদলি, স্কুল বন্ধের আশঙ্কায় অভিভাবকরা

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রাম রায় অবশ্য ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, “আমি চারজন আসামি নিয়ে মেডিক্যালে এসেছিলাম ৷ তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি আসামিও ছিল ৷ আসামি নিয়ে আসার সময় সবাইকে আমি সরে যেতে বলি ৷ কোনও কারণে আসামি পালিয়ে গেলে, তার দায় আমার উপর বর্তাবে ৷ ওই চিকিৎসককেও আসামিদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল ৷ আসামি নিজেরাও বলেছে ৷ কিন্তু, তিনি আসামিদের সঙ্গে মস্তানি করতে শুরু করেন ৷ আমি তাঁকে চিনতে না পেরে তাঁর গালে একটি চড় কষিয়ে দিই ।”

এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে ঘিরে ধরে মেডিক্যাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসকরা ৷ মূলত জুনিয়র চিকিৎসকরাই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ তাঁদের সাফ কথা, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন ৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ইংরেজবাজার থানার পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ৷ উপস্থিত পুলিশকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ ফের শুরু হয় আউটডোর পরিষেবা ৷

যদিও পরে নিজের কৃতকর্মের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে সৌভিকবাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন পুলিশকর্মী রাম রায় ৷ মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা জানান, “ঘটনাটি নজরে আসামাত্র আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম ৷ আলোচনায় চিকিৎসকরাও ছিলেন ৷ একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ এক বাংলাদেশি আসামি নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। ওই পুলিশকর্মী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ তিনি খানিকটা অসুস্থও রয়েছেন ৷ তাঁকে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷’’ তবে আলোচনায় উপস্থিত ডিএসপি (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি ৷ তিনি শুধু জানান, আলোচনায় গোটা বিষয়টি মিটে গিয়েছে ৷

মালদা, 9 ফেব্রুয়ারি : মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসকে চড় মারার অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে (Police Constable Slaps Doctor) ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতাল চত্তরে ৷ ওই পুলিশকর্মীকে আটকে রেখে তাঁর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ৷ ঘটনার খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷

ঘটনায় জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য আউটডোরের পরিষেবা ব্যহত হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে (Doctor Agitation in Malda Medical College) ৷ অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে চিকিৎসকরা বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আজ মালদা মেডিক্যালের আউটডোরে ডিউটি ছিল চিকিৎসক সৌভিক সাহার ৷ দুপুরে হাসপাতাল থেকে কল আসায় তিনি আউটডোর থেকে হাসপাতালে আসছিলেন ৷ সেই সময় মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে আসামিদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ গাড়ি থেকে আসামিদের নামানোর সময় পুলিশকর্মীরা ওই জায়গা থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই সেখান দিয়ে হাসপাতালে ঢুকছিলেন সৌভিকবাবু ৷ অভিযোগ তখন এক পুলিশকর্মী তাঁকে চড় মারেন ৷

আরও পড়ুন : Teachers Agitaion in Malda : বেতন দিচ্ছে না বেসরকারি সংস্থা, বিক্ষোভ বৃত্তিমূলক বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

সৌভিকবাবু অভিযোগ করেছেন, “আমি আউটডোরে রোগী দেখছিলাম ৷ তখন হাসপাতাল থেকে এক জুনিয়র ফোন করে এক রোগীকে দেখার জন্য ডাকে ৷ আমি রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে ঢুকতে গেলে এক পুলিশকর্মী গেটে আমাকে ধাক্কা মারেন ৷ আমি ঘুরে তাকাই ৷ কিছু বলার আগেই তিনি আমার গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন ৷ আমার গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসে যায় ৷ আমার সঙ্গে ওই পুলিশকর্মী কোনও কথাই বলেননি ৷ আজ আমি 24 ঘণ্টা ডিউটি করছি ৷ তার পর এভাবে পুলিশের চড় মেনে নিতে পারছি না ৷ 15 দিন আগে পুলিশ ও সিভিককর্মীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে একজন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে মারধর করেছিলেন ৷ এখানে পুলিশের দাদাগিরি চলছে ৷ হাসপাতালে পুলিশ রাখা হয় আমাদের নিরাপত্তার জন্য ৷ কিন্তু, সেই পুলিশই যদি আমাদের উপর চড়াও হয়, তবে আমরা কীভাবে কাজ করব ? এ ভাবে আমরা কাজ করতে পারব না ৷”

মালদা মেডিক্যাল কলেেজে চিকিৎসককে চড় মারার অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন : Teacher Transfer in Murshidabad : দুই শিক্ষিকার বদলি, স্কুল বন্ধের আশঙ্কায় অভিভাবকরা

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রাম রায় অবশ্য ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, “আমি চারজন আসামি নিয়ে মেডিক্যালে এসেছিলাম ৷ তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি আসামিও ছিল ৷ আসামি নিয়ে আসার সময় সবাইকে আমি সরে যেতে বলি ৷ কোনও কারণে আসামি পালিয়ে গেলে, তার দায় আমার উপর বর্তাবে ৷ ওই চিকিৎসককেও আসামিদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল ৷ আসামি নিজেরাও বলেছে ৷ কিন্তু, তিনি আসামিদের সঙ্গে মস্তানি করতে শুরু করেন ৷ আমি তাঁকে চিনতে না পেরে তাঁর গালে একটি চড় কষিয়ে দিই ।”

এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে ঘিরে ধরে মেডিক্যাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসকরা ৷ মূলত জুনিয়র চিকিৎসকরাই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ তাঁদের সাফ কথা, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন ৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ইংরেজবাজার থানার পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ৷ উপস্থিত পুলিশকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ ফের শুরু হয় আউটডোর পরিষেবা ৷

যদিও পরে নিজের কৃতকর্মের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে সৌভিকবাবুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন পুলিশকর্মী রাম রায় ৷ মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা জানান, “ঘটনাটি নজরে আসামাত্র আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম ৷ আলোচনায় চিকিৎসকরাও ছিলেন ৷ একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ এক বাংলাদেশি আসামি নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। ওই পুলিশকর্মী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ তিনি খানিকটা অসুস্থও রয়েছেন ৷ তাঁকে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷’’ তবে আলোচনায় উপস্থিত ডিএসপি (সদর) প্রশান্ত দেবনাথ এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি ৷ তিনি শুধু জানান, আলোচনায় গোটা বিষয়টি মিটে গিয়েছে ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.