মালদা, 19 মে : এক ধাক্কায় 11 জনের শরীরে মিলল কোরোনা ভাইরাস । এনিয়ে জেলার 45 জন বাসিন্দার শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলল ৷ এবার কোরোনার হানাদারি শুরু হল গাজোল ব্লকেও ৷ গতকাল সেই ব্লকের এক পরিযায়ীর কোরোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে ৷ যদিও এর মধ্যে স্বস্তির বিষয়, গতকাল একজনের পর আজ আরও 10 জন কোরোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে জেলার কোভিড হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাবেন ৷ তবে যেভাবে প্রতিদিন জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা ঘুম উড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের ৷
গতকাল রাতে মালদা মেডিকেল থেকে যে রিপোর্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাতে মালদা জেলার আরও 11 জনের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে ৷ এর মধ্যে 10 জনই মানিকচকের ৷ বাকি একজন গাজোলের বাসিন্দা ৷ প্রত্যেকে পুরুষ পরিযায়ী শ্রমিক ৷ রাতেই এদের জোনাল কোরোনা আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানে তাদের চিকিৎসাও শুরু হয়ে গিয়েছে ৷
মালদা মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে 10টা পর্যন্ত মোট 604 জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে 11টি নমুনা পজিটিভ ৷ প্রত্যেকেই মালদার বাসিন্দা ৷ শহরের গৌড়কন্যা বাস টার্মিনালে তাদের প্রত্যেকের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল ৷ এখনও সেখানে 549টি নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে ৷ বাকি রয়েছে 3152টি নমুনা পরীক্ষার কাজ ৷
এদিকে গতকাল মানিকচকের আরও 10 জন কোরোনা আক্রান্ত হতেই জেলার কোরোনা হাব হয়ে উঠেছে এই ব্লকে ৷ এর আগে সবচেয়ে বেশি কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের 1 নম্বর ব্লকে ৷ কিন্তু এখন সেই জায়গা নিয়েছে মানিকচক ৷ এরই মধ্যে একটি ভালো খবর রয়েছে ৷ গতকাল পুরাতন মালদার নারায়ণপুরের কোভিড হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন জেলার প্রথম কোরোনাজয়ী ৷ আজ দুপুরে সেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে চলেছেন আরও 10 জন ৷ তাঁরা প্রত্যেকেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ এর জন্য জেলাবাসী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে ৷
সবারই বক্তব্য, স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতার জন্যই এখনও এই জেলায় কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি ৷ এদিকে জেলা প্রশাসনের একটি মহলের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত জেলায় যতজনের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে, তারা সবাই ভিনরাজ্য থেকে আক্রান্ত হয়ে জেলায় ফিরেছেন ৷ তাদের অনেকে বাড়িতে ছিল, এমনকি এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে বলেও খবর মিলেছে ৷ কিন্তু তারপরও তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ তাদের পরিবারের লোকজনের লালারসেও কোরোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি ৷ এই থেকে জেলা প্রশাসন মনে করছে, এখনও জেলায় কোরোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি ৷