মালদা, 20 জুন : স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ বাড়িয়েছে ৷ তার জন্য কিছু ক্ষেত্রে খরচ কাটছাঁট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কোপ পড়েছে সাংসদ তহবিলে ৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী দু’বছর নিজেদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের কোনও টাকা পাবেন না সাংসদরা ৷ এই নির্দেশিকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাংসদদের এলাকা উন্নয়নের সমস্ত কাজ ৷ মালদা জেলার দুই সাংসদও আপাতত তাঁদের সংসদীয় এলাকায় কোনও উন্নয়ণমূলক কাজ নিজেদের সংসদ কোটার অর্থে আর করতে পারছেন না ৷ এনিয়ে বিব্রত তাঁরা ৷ এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রীয় সরকারের অদূরদর্শিতা বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস সাংসদ ৷ উত্তর মালদার BJP সাংসদও স্বীকার করেছেন ৷ এই সিদ্ধান্তে মানুষকে ভুগতে হচ্ছে ৷ কিন্তু তাঁর সাফাই, এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উপায় ছিল না ৷ এরই মধ্যে জেলার এক কংগ্রেস বিধায়ক দাবি করেছেন, শুধু সাংসদদেরই নয়, বিধায়কদেরও এলাকা উন্নয়ন তহবিল বন্ধ করার নোটিশ জারি হয়েছে ৷ যদিও তাঁর সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল বিধায়ক ৷ জেলা প্রশাসনও দাবি করেছে, সাংসদ কোটার তহবিলের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিধায়করা নিজেদের তহবিল উন্নয়ন কোটার অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন ৷ এনিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি ৷ কিন্তু যাই হোক না কেন, সাংসদ কোটার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ ৷ ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় তাঁরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন ৷
কোরোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার সচেষ্ট ৷ রাজ্যে একাধিক কোভিড হাসপাতাল, আইসোলেশন সেন্টার গঠন করা হয় ৷ আগামী সময়ে এসবের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে আরও বাড়তে চলেছে ৷ কোরোনার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রয়োজন বিপুল অর্থ ৷ তাই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী দু’বছর সাংসদদের উন্নয়ন তহবিলে কোনও অর্থ দেওয়া হবে না ৷ শুধু তাই নয়, এই তহবিল থেকে যে কাজগুলি চলছিল, সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ প্রত্যেক সাংসদ নিজের এলাকা উন্নয়নের জন্য বছরে পাঁচ কোটি টাকা করে পান ৷ সেই হিসাবে প্রতি বছর দেশের 788 সংসদ সদস্যের প্রাপ্য (543 লোকসভা ও 245 রাজ্যসভা) 3940 কোটি টাকা ৷ অর্থাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দু’বছরে 7880 কোটি টাকা সাশ্রয় করার হিসাব করেছে কেন্দ্র ৷ কিন্তু তার ফল দু’ভাবে ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ একদিকে এই তহবিলের অর্থে এলাকার উন্নয়ন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ দ্বিতীয়ত, সেই প্রকল্পে যে শ্রমিকরা কাজ করত, তারাও রোজগার হারাতে চলেছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে কালিয়াচক 1 ব্লকের নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দারা ৷ এই এলাকার বেশ কিছু বেহাল রাস্তা সাংসদ কোটার টাকায় সংস্কার হওয়ার কথা ছিল ৷ একটি কবরস্থান সৌন্দর্যায়নের জন্যও লকডাউন শুরুর মুখে জেলা প্রশাসনে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু মিঞা) ৷ কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জেলা প্রশাসনের কাছে তিনি যে তিনটি প্রকল্প সম্প্রতি পেশ করেছিলেন, সেগুলি আপাতত বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ তবে সাংসদ কোটার অর্থ খরচ নিয়ে এর আগেও ডালুবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি সঠিক সময়ে সেই অর্থ খরচ করেন না ৷ এবারও তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছে অনেকে ৷ অন্যদিকে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু কোরোনা প্রাদুর্ভাবের আগে নিজের সংসদীয় এলাকায় একটি জল প্রকল্পের কাজ করতে পারলেও আর কোনও কাজ করতে পারেননি ৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি ৷ তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে সাংসদদের মোট সাতটি প্রকল্প জমা পড়েছিল, তা অনুমোদন করা হয়েছে ৷ তার বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় 13 লক্ষ টাকা ৷ তবে কেন্দ্রের নির্দেশিকার পর নতুন করে আর কোনও প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়নি ৷
এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে আবু হাসেম খান চৌধুরি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷ কারণ, আমরা সাংসদ কোটার টাকা দিয়ে নিজেদের সংসদীয় ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে থাকা মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করতাম ৷ এলাকার অনেক ছোট ছোট কাজ করা হত ৷ বিশেষত রাস্তাঘাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা, আলোর মতো কিছু কাজ করা যেত ৷ মানুষ আমাদের কাছে এসব কাজের কথা বলত ৷ এলাকার দাবি মেনে আমরা সেই কাজ করতে পারতাম ৷ বিশেষ করে মহিলাদের দাবি আমাদের বেশি পূরণ করতে হত ৷ কিন্তু এখন সেসব কাজ আর করা যাবে না ৷ আমার মনে হয়, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত, সরকারের দূরদর্শিতার অভাব ৷ বর্তমান সময়ে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে৷ খুব ভালো কথা ৷ কিন্তু আমাদের সাংসদ কোটার অর্থের কাজেও অনেক শ্রমিক কাজ পেত৷ তারাও কাজের সুযোগ হারাল ৷ সংসদের অধিবেশন শুরু হলে আমরা সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাব ৷” অন্যদিকে BJP সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “কোরোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী দু’বছর কোনও সাংসদকে সাংসদ কোটার অর্থ দেওয়া হবে না ৷ এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি একমত ৷ কারণ, এই অর্থ দিয়ে মূলত গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুতায়নের মতো ছোট ছোট কাজ হয় ৷ বিধায়করাও একইভাবে নিজেদের এলাকা উন্নয়নের কাজ করার জন্য টাকা পান ৷ গ্রামের মানুষের কাছে এসব কাজ সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু এই মুহূর্তে যেভাবে কোরোনা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, মানুষ যেভাবে এই ভাইরাসে সংক্রামিত হচ্ছে, তাতে মানুষকে বাঁচানোই সবার আগে জরুরি ৷ মানুষ না বাঁচলে কাজ কার জন্য হবে ? লকডাউনে মানুষের হাতে কাজ নেই ৷ গরিব মানুষের খুবই সমস্যা ৷ ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ ৷ প্রধানমন্ত্রীও বারবার সেকথা বলেছেন ৷ কিন্তু শত অসুবিধে সত্বেও এই মহামারী রুখতে মানুষকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে ৷ দেশের 130 কোটি মানুষের কাছে সেই আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে গোটা বিশ্বের মানুষ৷ আমাদের দেশে কিন্তু জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংক্রমণের হার অনেক কম৷ আমরা জানি, সাংসদ কোটার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষের অসুবিধে হবে ৷ কিন্তু দেশের কথা ভেবে মানুষকে সেটা মেনে নিতে হবে ৷ মানুষ আমাদের কাছে এখনও এলাকার উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছে৷ এই কাজে একদিকে যেমন এলাকার উন্নয়ন হত, তেমন কিছু মানুষও কাজ পেত ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানুষ যে কিছুটা অসুবিধেয় পড়েছে, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই৷ আমার সংসদীয় এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের ৷ সাংসদ কোটার টাকায় তার কিছু কাজ হলেও এখনও প্রচুর কাজ বাকি থেকে গিয়েছে ৷ উত্তর মালদার বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তা সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল৷ তা আর করা যাচ্ছে না ৷ আমরা মানুষকে সব বোঝাচ্ছি৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে দেশের বিকাশে 20 লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ৷ আমাদের পাঁচটি স্তম্ভে এই কাজ করা হবে ৷ এর মধ্যে শ্রমদিবস তৈরি করার কথাও রয়েছে ৷ MSME মারফৎ কিছু ব্যবসারও দিশা রয়েছে সেই প্যাকেজে ৷ আমরাও এই প্যাকেজ কিছুটা কাজে লাগাতে পারি ৷ নিজেদের এলাকার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্প তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দিতে পারি ৷ আশা করি, প্রধানমন্ত্রী সেদিকেও নজর দেবেন৷”
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে বিধায়কদের মধ্যে৷ সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি দাবি করেছেন, শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, রাজ্য সরকারও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসন থেকে জেলার বিধায়করা একটি চিঠি পেয়েছেন ৷ সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, আমাদের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ফান্ড ফ্রোজেন হয়েছে৷ যারা আগে এলাকা উন্নয়নের কাজ এই তহবিল থেকে করেছে, তারাও এখন কোনও পেমেন্ট পাবে না ৷ নতুন কোনও কাজ শুরু করা যাবে না৷ প্রত্যেক বিধায়ক এই কাজের জন্য বছরে 60 লক্ষ টাকা পান ৷ এই জেলায় 12 জন বিধায়ক রয়েছেন ৷ ফলে সব মিলিয়ে জেলায় প্রায় 7 কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৷ সাংসদদের কোটার টাকাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের 10 কোটি টাকার কাজও এখন হবে না ৷ এতে ক্ষতি হচ্ছে মানুষেরই ৷ একদিকে যেমন উন্নয়নের কাজ বন্ধ, তেমনই শ্রমিকরা এই প্রকল্পে কাজ পাবে না ৷ সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই ৷ তবে এমন না হলেই ভালো হত ৷ মানুষের স্থানীয় দাবি আমরা আর পূরণ করতে পারব না ৷” যদিও ইশা সাহেবের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইংরেজবাজারের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তেরও কঠোর সমালোচনা করেন ৷ তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার কোনও চিন্তাভাবনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ সাংসদদের এলাকা উন্নয়নের কাজ বন্ধ করলে মানুষের কতটা অসুবিধে হতে পারে, তা তারা চিন্তাভাবনা করেনি ৷ সাংসদ কোটার টাকা বন্ধ করে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয় ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের রোজগারের সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ সাংসদ কোটার টাকায় কিছু মানুষ কাজ পেত ৷ এলাকার স্থানীয় উন্নয়নের কাজও হত ৷ তবে রাজ্য সরকার এখনও বিধায়ক কোটার টাকা বন্ধ করেনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীও তেমন কিছু ঘোষণা করেননি ৷ সম্প্রতি আমি নিজের এলাকা উন্নয়নের কাজ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথাও বলেছি ৷ তিনিও জানিয়েছেন, বিধায়ক এলাকা উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়নি ৷ তাই কেউ যদি বলে থাকেন, বিধায়ক কোটার টাকা পাচ্ছেন না, আমার মনে হয় তিনি সঠিক বলছেন না৷”
ক্যামেরার সামনে এনিয়ে কিছু না বলতে চাইলেও অতিরিক্ত জেলাশাসক অশোককুমার মোদক (সাধারণ) জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সাংসদ কোটার কাজ আপাতত বন্ধ৷ তবে পুরোনো কাজগুলির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিধায়ক কোটার কাজ এখনও বন্ধ করা হয়নি ৷ রাজ্য সরকারের তরফে তেমন কোনও নির্দেশিকাও এখনও আসেনি ৷ তবে যাই হোক না কেন, এনিয়ে সাধারণ মানুষ যে বিপাকে পড়েছে তা বোঝা গিয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলেই ৷ কালিয়াচকের দারিয়াপুর নামোটোলা গ্রামের বাসিন্দা নিয়াম আলি বলেন, “এই এলাকার অনেক রাস্তা অত্যন্ত খারাপ ৷ সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায় ৷ প্রশাসনের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েও কাজ হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত সাংসদ বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেন ৷ লকডাউনের আগে কয়েকটি রাস্তার সংস্কারও হয়েছিল ৷ কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি আছে ৷ শুনছি, এখন সাংসদ কোটার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ সেটা করলে চলবে না ৷ এলাকার উন্নয়নের কাজ করতেই হবে ৷ গ্রামের মূল রাস্তার 250 মিটার এলাকার দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন ৷” যদুপুর এলাকার আরও এক বাসিন্দা মহম্মদ বসিরুদ্দিন বলেন, “সাংসদ কোটার কাজ বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের এলাকার রাস্তাঘাট ও কবরস্থানের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে ৷ স্থানীয় সাংসদ এই কাজগুলির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন ৷ ইতিমধ্যে অনেক কাজ অর্ধেক হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ বর্ষা নেমেছে ৷ অনেক রাস্তায় জল জমে রয়েছে ৷ এই এলাকায় প্রায় 40 হাজার লোক বসবাস করে ৷ সাংসদ কোটার কাজ বন্ধ হয়ে গেলে সবারই অসুবিধে হবে ৷”