ETV Bharat / city

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কথা জানতেন মৌসম ! - Mausam Benazir Noor

মৌসম বেনজ়ির নুর জানতেন ইংরেজবাজার পৌরসভার দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে ?

মৌসম বেনজ়ির নুর জানতেন ইংরেজবাজার পৌরসভার দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে ?
author img

By

Published : Sep 14, 2019, 5:36 PM IST

Updated : Sep 14, 2019, 5:47 PM IST

মালদা, 14 সেপ্টেম্বর : দলের জেলা সভানেত্রীকে জানিয়েই ইংরেজবাজার পৌরসভার দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা? আজ সেই দাবি করেছেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান । তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অনাস্থা এনেছেন, তা আগে থেকেই জানতেন দলের জেলা সভানেত্রী । যদিও তাঁর এই দাবি নিয়ে কলকাতায় থাকা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে ভাইস চেয়ারম্যানের এই দাবি খণ্ডন করেছেন চেয়ারম্যান । তাঁর বক্তব্য, জেলা সভানেত্রীকে হেয় করতেই এসব বলা হচ্ছে ।

গত 28 অগাস্ট ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন 15 জন তৃণমূল কাউন্সিলর । সেদিনই সেই অনাস্থা প্রস্তাব সদর মহকুমাশাসকের কাছে পেশ করা হয় । তারপর পেরিয়ে গেছে 18 দিন । আইন অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাব পেশের 14 দিনের মধ্যে আস্থা প্রমাণের জন্য তলবি সভা ডাকতে পারতেন চেয়ারম্যান । পরের 7 দিন সেই সভা ডাকতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যান । নীহারবাবুকে সরাতে সেই সভা ডাকার চিঠিও তৈরি হয়ে যায় । কিন্তু সেই সময়ই ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন করেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি । তিনি ভাইস চেয়ারম্যানকে তলবি সভা ডাকা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন । সেই নির্দেশের পর ভাইস চেয়ারম্যান তলবি সভার চিঠি আর মহকুমাশাসকের কাছে পাঠাননি । অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী কয়েকজন কাউন্সিলর গতকাল আলোচনা করে এই ইশু থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । ফলে নীহারবাবুর স্বস্তি মিলেছে ৷

ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, "চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসার পর পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর, অবজ়ারভার গোলাম রব্বানি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন । তাতে কিছুটা কাজ হয়েছিল । এরই মধ্যে চেয়ারম্যান একটি সংবাদপত্রে এমন এক বিবৃতি দেন, যাতে ফের অশান্তি শুরু হয়ে যায় । চেয়ারম্যানের তলবি সভা ডাকার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় গতকাল আমি দু'পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু শক্তি প্রদর্শনে দুই পক্ষই অনড় থাকায় রাগ করে আমি তলবি সভা ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম । তার চিঠিও তৈরি হয়ে গিয়েছিল ।"

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অনাস্থা এনেছেন, তা আগে থেকেই জানতেন দলের জেলা সভানেত্রী ?

দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি, দুলালবাবুকে ফোন করেছিলেন বলে জানান তিনি । সুব্রতবাবু তাঁকে বলেন, পৌরসভায় অন্যায় হয়েছে । দুলালবাবুর বক্তব্য, ''আমি তাঁকে জানাই, আমরা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীকে জানিয়েই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম । কিন্তু কোনও কারণে সেকথা তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে পারেননি । তার আগেই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে যায় । যাই হোক, এনিয়ে গতকাল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, অশোক সাহা, সুব্রত সর্দার, প্রসেনজিৎ দাস, আশিস কুণ্ডু-সহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করে আমি তলবি সভার চিঠি আর মহকুমাশাসককে পাঠাইনি । আমি চেয়ারম্যানকেও বলব, তিনি যেন এর মধ্যেই সব কাউন্সিলরকে একসঙ্গে ডেকে নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন ।'' ভোটের কারণে মানুষকে একত্রিত করার কথাও বলেন ৷

দুলালবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয় জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরের সঙ্গে । বর্তমানে তিনি কলকাতায় । তিনি ফোন না ধরায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে এ প্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, "এই সমস্যাটা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে । আমার মনে হয় দলের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে । তবে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে দলের জেলা সভানেত্রী কিছুই জানতেন না । মনে হয় তাঁকে দোষারোপ করার জন্য কোনও একটা চক্রান্ত কাজ করছে । একথা ঠিক, একটি সংবাদপত্রে আমার নামে মিথ্যা বিবৃতি ছাপা হয়েছে । আমি এমন মন্তব্য কোথাও করিনি । রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে কাজ করে যেতে বলেছে । আমি দলের ঊর্ধ্বে নই। একজন সৈনিক হিসেবে দলের নির্দেশ পালন আমার কর্তব্য ।"

মালদা, 14 সেপ্টেম্বর : দলের জেলা সভানেত্রীকে জানিয়েই ইংরেজবাজার পৌরসভার দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা? আজ সেই দাবি করেছেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান । তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অনাস্থা এনেছেন, তা আগে থেকেই জানতেন দলের জেলা সভানেত্রী । যদিও তাঁর এই দাবি নিয়ে কলকাতায় থাকা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে ভাইস চেয়ারম্যানের এই দাবি খণ্ডন করেছেন চেয়ারম্যান । তাঁর বক্তব্য, জেলা সভানেত্রীকে হেয় করতেই এসব বলা হচ্ছে ।

গত 28 অগাস্ট ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন 15 জন তৃণমূল কাউন্সিলর । সেদিনই সেই অনাস্থা প্রস্তাব সদর মহকুমাশাসকের কাছে পেশ করা হয় । তারপর পেরিয়ে গেছে 18 দিন । আইন অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাব পেশের 14 দিনের মধ্যে আস্থা প্রমাণের জন্য তলবি সভা ডাকতে পারতেন চেয়ারম্যান । পরের 7 দিন সেই সভা ডাকতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যান । নীহারবাবুকে সরাতে সেই সভা ডাকার চিঠিও তৈরি হয়ে যায় । কিন্তু সেই সময়ই ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন করেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি । তিনি ভাইস চেয়ারম্যানকে তলবি সভা ডাকা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন । সেই নির্দেশের পর ভাইস চেয়ারম্যান তলবি সভার চিঠি আর মহকুমাশাসকের কাছে পাঠাননি । অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী কয়েকজন কাউন্সিলর গতকাল আলোচনা করে এই ইশু থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । ফলে নীহারবাবুর স্বস্তি মিলেছে ৷

ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, "চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসার পর পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর, অবজ়ারভার গোলাম রব্বানি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন । তাতে কিছুটা কাজ হয়েছিল । এরই মধ্যে চেয়ারম্যান একটি সংবাদপত্রে এমন এক বিবৃতি দেন, যাতে ফের অশান্তি শুরু হয়ে যায় । চেয়ারম্যানের তলবি সভা ডাকার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় গতকাল আমি দু'পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু শক্তি প্রদর্শনে দুই পক্ষই অনড় থাকায় রাগ করে আমি তলবি সভা ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম । তার চিঠিও তৈরি হয়ে গিয়েছিল ।"

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অনাস্থা এনেছেন, তা আগে থেকেই জানতেন দলের জেলা সভানেত্রী ?

দলের সভাপতি সুব্রত বক্সি, দুলালবাবুকে ফোন করেছিলেন বলে জানান তিনি । সুব্রতবাবু তাঁকে বলেন, পৌরসভায় অন্যায় হয়েছে । দুলালবাবুর বক্তব্য, ''আমি তাঁকে জানাই, আমরা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীকে জানিয়েই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম । কিন্তু কোনও কারণে সেকথা তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে পারেননি । তার আগেই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে যায় । যাই হোক, এনিয়ে গতকাল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, অশোক সাহা, সুব্রত সর্দার, প্রসেনজিৎ দাস, আশিস কুণ্ডু-সহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করে আমি তলবি সভার চিঠি আর মহকুমাশাসককে পাঠাইনি । আমি চেয়ারম্যানকেও বলব, তিনি যেন এর মধ্যেই সব কাউন্সিলরকে একসঙ্গে ডেকে নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন ।'' ভোটের কারণে মানুষকে একত্রিত করার কথাও বলেন ৷

দুলালবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয় জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরের সঙ্গে । বর্তমানে তিনি কলকাতায় । তিনি ফোন না ধরায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে এ প্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, "এই সমস্যাটা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে । আমার মনে হয় দলের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে । তবে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে দলের জেলা সভানেত্রী কিছুই জানতেন না । মনে হয় তাঁকে দোষারোপ করার জন্য কোনও একটা চক্রান্ত কাজ করছে । একথা ঠিক, একটি সংবাদপত্রে আমার নামে মিথ্যা বিবৃতি ছাপা হয়েছে । আমি এমন মন্তব্য কোথাও করিনি । রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে কাজ করে যেতে বলেছে । আমি দলের ঊর্ধ্বে নই। একজন সৈনিক হিসেবে দলের নির্দেশ পালন আমার কর্তব্য ।"

Intro:মালদা, 14 সেপ্টেম্বর : দলের জেলা সভানেত্রীকে জানিয়েই ইংরেজবাজার পৌরসভার দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা? আজ সেই দাবি করেছেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অনাস্থা এনেছেন, তা আগে থেকেই জানতেন দলের জেলা সভানেত্রী। যদিও তাঁর এই দাবি নিয়ে কলকাতায় থাকা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ভাইস চেয়ারম্যানের এই দাবি খণ্ডন করেছেন চেয়ারম্যান। তাঁর বক্তব্য, জেলা সভানেত্রীকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এসব বলা হচ্ছে।


Body:উল্লেখ্য, গত 28 অগাস্ট ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন 15 জন তৃণমূলি কাউন্সিলর। সেদিনই সেই অনাস্থা প্রস্তাব সদর মহকুমাশাসকের কাছে পেশ করা হয়। তারপর পেরিয়ে গেছে 18 দিন। আইন অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাব পেশের 14 দিনের মধ্যে আস্থা প্রমাণের জন্য তলবি সভা ডাকতে পারতেন চেয়ারম্যান। পরের 7 দিন সেই সভা ডাকতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যান। নীহারবাবুকে সরাতে গতকাল সেই সভা ডাকার চিঠিও তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু সেই সময়ই ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন করেন রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বকশি। তিনি ভাইস চেয়ারম্যানকে তলবি সভা ডাকা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পর ভাইস চেয়ারম্যান তলবি সভার চিঠি আর মহকুমাশাসকের কাছে পাঠাননি। উপরন্তু অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী কয়েকজন কাউন্সিলর গতকাল আলোচনা করে এই ইস্যু থেকে পিছনে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে নীহারবাবু এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।
আজ এক একান্ত সাক্ষাৎকারে ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, "চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসার পর পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর অবজারভার গোলাম রব্বানি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। তাতে কিছুটা কাজ হয়েছিল। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান একটি সংবাদপত্রে এমন এক বিবৃতি দেন, যাতে ফের অশান্তি শুরু হয়ে যায়। চেয়ারম্যানের তলবি সভা ডাকার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় গতকাল আমি দু'পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শক্তি প্রদর্শনে দুই পক্ষই অনড় থাকায় রাগ করে আমি তলবি সভা ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম। তার চিঠিও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তখনই দলের সভাপতি সুব্রত বকশি আমাকে ফোন করেন। তিনি আমাকে বলেন, পৌরসভায় যা হচ্ছে তা অন্যায়। আমি তাঁকে জানাই, আমরা জেলা তৃণমূল সভানেত্রীকে জানিয়েই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কোনও কারণে সেকথা তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে পারেননি। তার আগেই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে যায়। যাই হোক, এনিয়ে গতকাল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, অশোক সাহা, সুব্রত সরদার, প্রসেনজিৎ দাস, আশিস কুন্ডু সহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করে আমি তলবি সভার চিঠি আর মহকুমাশাসককে পাঠাইনি। আমি চেয়ারম্যানকেও বলব, তিনি যেন এর মধ্যেই সব কাউন্সিলরকে একসঙ্গে ডেকে নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলেন। কারণ, ভোট এগিয়ে আসছে। মানুষকে দলের দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দু'একদিনের মধ্যেই এই অনাস্থাপর্বের ইতি ঘটবে।"


Conclusion:দুলালবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয় জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি কলকাতায়। তিনি ফোন না ধরায় এনিয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এপ্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, "এই সমস্যাটা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে। আমার মনে হয় দলের নির্দেশে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। তবে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে দলের জেলা সভানেত্রী কিছুই জানতেন না। মনে হয় তাঁকে দোষারোপ করার জন্য কোনও একটা চক্রান্ত কাজ করছে। একথা ঠিক, একটি সংবাদপত্রে আমার নামে মিথ্যা বিবৃতি ছাপা হয়েছে। আমি এমন মন্তব্য কোথাও করিনি। রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে কাজ করে যেতে বলেছে। আমি দলের ঊর্ধ্বে নই। একজন সৈনিক হিসাবে দলের নির্দেশ পালন আমার কর্তব্য।"
Last Updated : Sep 14, 2019, 5:47 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.