হরিশ্চন্দ্রপুর (মালদা), 27 জুলাই: মদ-সহ বিভিন্ন নেশা ছিল স্বামীর ৷ ছিল নারী আসক্তিও ৷ বিয়ের পর থেকে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত ৷ তারই জেরে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে (Man Allegedly Murder Pregnant Wife for Protests His Addiction in Malda) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সিমলা গ্রামে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ শ্বশুরবাড়ি থেকেই ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় ৷ ঘটনার কথা জানাজানি হতেই, গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে অভিযুক্ত মোতালেব আলির উপর ৷ তবে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ৷ পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, ঘটনা জানাজানি হতেই, মৃত সুখী বিবির শ্বশুরবাড়ির লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে ৷ সুখী বিবির বাপের বাড়ির তরফে হরিশচন্দ্রপুর থানায় মোতালেব আলি ও তাঁর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরেরই বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা 19 বছরের সুখী বিবির সঙ্গে মাস ছয়েক আগে পাশের সিমলা গ্রামের 22 বছরের যুবক মোতালেব আলির বিয়ে হয় ৷ দুই পরিবারের দেখাশোনাকরে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ মোতালেব পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ৷ তবে, বিয়ের পর থেকে তিনি আর বাইরে কাজে যাননি ৷ বিয়েতে পাত্রপক্ষের দাবি অনুযায়ী, সুখীর পরিবার পণও দেয় বলে অভিযোগ ৷
কিন্তু, বিয়ের পর সুখী জানতে পারেন তাঁর স্বামী নেশা করেন এবং তাঁর নারী আসক্তি রয়েছে ৷ যা মানতে পারেননি সুখী ৷ ফলে তিনি প্রতিবাদ করতেন ৷ কিন্তু, প্রতিবাদ করলেই তাঁকে মোতালেব মারধর করতেন বলে অভিযোগ ৷ এমনকি শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরাও তাঁর পাশে দাঁড়াননি বলে অভিযোগ করেছেন সুখীর বাপের বাড়ির লোকজন ৷ এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হন সুখী ৷ কিন্তু, তার পরেও মোতালেব স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালানো ছাড়েনি ৷ সুখীর মা জানিয়েছেন, গতকাল রাতেও ফোন করে সুখী জানান যে, মোতালেব তাঁকে মেরেছে ৷ আর আজ সকালে সুখী বিবিকে তাঁর ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷
আরও পড়ুন: দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, আদালতের দ্বারস্থ বধূ
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ মূল অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে ৷ গ্রামে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷