ETV Bharat / city

মালদায় 3 নদীর জলস্তর বৃদ্ধি, জলমগ্ন একাধিক ওয়ার্ড

একটানা বৃষ্টির জেরে মালদার প্রধান তিন নদীর জলস্তপর ক্রমে বাড়ছে ৷ ফলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷

malda is under water
জলমগ্ন মালদা
author img

By

Published : Jul 7, 2020, 1:22 PM IST

মালদা, 7 জুলাই : একে কোরোনায় রক্ষে নেই, প্রবল বর্ষা দোসর ৷ উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ক্রমাগত বাড়ছে মহানন্দার জলস্তর ৷ ইতিমধ্যে পুরনো মালদা পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে নদীর জল ঢুকে পড়েছে ৷ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছেন বিপন্ন মানুষজন ৷ শতাধিক পরিবার জরুরি জিনিসপত্র সরিয়ে নদী বাঁধে এবং স্থানীয় স্কুলে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন ৷ তবে পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত 8, 9 ও 20 নম্বর ওয়ার্ডের অসংরক্ষিত এলাকায় মহানন্দার জল ঢুকেছে ৷ পৌরসভার পক্ষ থেকে জলমগ্ন বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ তাঁদের জন্য সরকারি ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ৷

একটানা বৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরবঙ্গের বহু জেলা ৷ এরমধ্যে মহানন্দার জলস্তর বাড়তে থাকায় মালদায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ পুরনো মালদা পৌরসভার হালদারপাড়া, স্কুলপাড়া, মির্জাপুর এলাকার নদী তীরবর্তী জায়গাগুলিতে ঢুকে পড়েছে ৷ ওই তিন ওয়ার্ডের অসংরক্ষিত এলাকাতে এখন প্রচুর বাড়ি তৈরি হয়েছে ৷ গতকাল থেকে নদীর জল সেইসব বাড়িগুলিতে ঢুকে পড়েছে ৷ এতে স্বাভাবিকভাবে সমস্যায় পড়েছে জলমগ্ন লোকজন ৷ এমনিতে কোরোনা আবহে সবার দিশেহারা অবস্থা ৷ কয়েকদিন ধরে বিষধর সাপ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ বিপদ বুঝে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পা বাড়িয়েছেন স্থানীয় মানুষজন ৷ হালদারপাড়ার বাসিন্দা মর্জিনা বিবি বলেন, “আগে এই সময় এলাকায় নদীর জল কখনও ঢোকেনি ৷ গত শুক্রবার থেকে এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছিল ৷ রবিবার রাত থেকে জলের গতি বাড়ে ৷ গতকাল সকালে ঘরে জল ঢুকে যায় ৷ এমনিতে কোরোনার জন্য আমরা সমস্যায় রয়েছি ৷ হাতে টাকাপয়সা কিছু নেই ৷ এর মধ্যে ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ল ৷ জিনিসপত্র নিয়ে স্কুলে উঠেছি ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি ৷” স্থানীয় বাসিন্দা ফিরদৌসি বেগম বলেন, “কোরোনার জন্য এখনও আমাদের কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়নি ৷ দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ৷ তার উপর এখন জলে ডুবে ঘরছাড়া হতে হল ৷ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পরিদর্শনে এসেছিলেন ৷ তিনি আমাদের স্কুলে থাকতে বলেছেন ৷ সেখানে ঘরের জিনিস নিয়ে থাকব ৷ কিন্তু খাব কী? আমাদের একটু খাবারের ব্যবস্থা করলে ভালো হত ৷”

তিন নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় জলমগ্ন মালদার একাধিক অঞ্চল

8 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যাম মণ্ডল বলেন, “একে কোরোনা ভাইরাসের কারণে এই মানুষগুলো সমস্যায় ছিলেন ৷ তার মধ্যে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ঘরে জল ঢুকে পড়েছে ৷ এলাকার প্রায় 100 পরিবার বিপন্ন ৷ আমি নিজে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি ৷ এই পরিস্থিতিতে কেউ বাঁধে, কেউ মাঠে অস্থায়ী আস্তানা তৈরি করেছে ৷ দুর্গতদের আপাতত স্থানীয় স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেখানে অনেককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থার করার চেষ্টা করছি ৷ ত্রাণের জন্য পৌর প্রশাসকের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে ৷ আশা করি, দ্রুত দুর্গতদের সরকারি ত্রাণ দেওয়া যাবে ৷” পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, “বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি সরকারি সহায়তার চেষ্টা চলছে ৷ আশা করা যায়, দু’একদিনের মধ্যে তাঁদের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাবে ৷” জেলা সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত মহানন্দার জলস্তর ছিল 20.65 মিটার ৷ বিপদসীমার থেকে 0.35 মিটার নিচে ৷ গঙ্গার জলস্তর ছিল 23 মিটার, বিপদসীমার 1.69 মিটার নিচে ৷ ফুলহরের জলস্তর বিপদসীমা থেকে 1.13 মিটার নিচে রয়েছে ৷

মালদা, 7 জুলাই : একে কোরোনায় রক্ষে নেই, প্রবল বর্ষা দোসর ৷ উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ক্রমাগত বাড়ছে মহানন্দার জলস্তর ৷ ইতিমধ্যে পুরনো মালদা পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডে নদীর জল ঢুকে পড়েছে ৷ বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছেন বিপন্ন মানুষজন ৷ শতাধিক পরিবার জরুরি জিনিসপত্র সরিয়ে নদী বাঁধে এবং স্থানীয় স্কুলে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন ৷ তবে পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত 8, 9 ও 20 নম্বর ওয়ার্ডের অসংরক্ষিত এলাকায় মহানন্দার জল ঢুকেছে ৷ পৌরসভার পক্ষ থেকে জলমগ্ন বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ তাঁদের জন্য সরকারি ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ৷

একটানা বৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরবঙ্গের বহু জেলা ৷ এরমধ্যে মহানন্দার জলস্তর বাড়তে থাকায় মালদায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ পুরনো মালদা পৌরসভার হালদারপাড়া, স্কুলপাড়া, মির্জাপুর এলাকার নদী তীরবর্তী জায়গাগুলিতে ঢুকে পড়েছে ৷ ওই তিন ওয়ার্ডের অসংরক্ষিত এলাকাতে এখন প্রচুর বাড়ি তৈরি হয়েছে ৷ গতকাল থেকে নদীর জল সেইসব বাড়িগুলিতে ঢুকে পড়েছে ৷ এতে স্বাভাবিকভাবে সমস্যায় পড়েছে জলমগ্ন লোকজন ৷ এমনিতে কোরোনা আবহে সবার দিশেহারা অবস্থা ৷ কয়েকদিন ধরে বিষধর সাপ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ বিপদ বুঝে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পা বাড়িয়েছেন স্থানীয় মানুষজন ৷ হালদারপাড়ার বাসিন্দা মর্জিনা বিবি বলেন, “আগে এই সময় এলাকায় নদীর জল কখনও ঢোকেনি ৷ গত শুক্রবার থেকে এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছিল ৷ রবিবার রাত থেকে জলের গতি বাড়ে ৷ গতকাল সকালে ঘরে জল ঢুকে যায় ৷ এমনিতে কোরোনার জন্য আমরা সমস্যায় রয়েছি ৷ হাতে টাকাপয়সা কিছু নেই ৷ এর মধ্যে ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ল ৷ জিনিসপত্র নিয়ে স্কুলে উঠেছি ৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সাহায্য পাইনি ৷” স্থানীয় বাসিন্দা ফিরদৌসি বেগম বলেন, “কোরোনার জন্য এখনও আমাদের কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়নি ৷ দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ৷ তার উপর এখন জলে ডুবে ঘরছাড়া হতে হল ৷ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পরিদর্শনে এসেছিলেন ৷ তিনি আমাদের স্কুলে থাকতে বলেছেন ৷ সেখানে ঘরের জিনিস নিয়ে থাকব ৷ কিন্তু খাব কী? আমাদের একটু খাবারের ব্যবস্থা করলে ভালো হত ৷”

তিন নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় জলমগ্ন মালদার একাধিক অঞ্চল

8 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যাম মণ্ডল বলেন, “একে কোরোনা ভাইরাসের কারণে এই মানুষগুলো সমস্যায় ছিলেন ৷ তার মধ্যে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ঘরে জল ঢুকে পড়েছে ৷ এলাকার প্রায় 100 পরিবার বিপন্ন ৷ আমি নিজে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি ৷ এই পরিস্থিতিতে কেউ বাঁধে, কেউ মাঠে অস্থায়ী আস্তানা তৈরি করেছে ৷ দুর্গতদের আপাতত স্থানীয় স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেখানে অনেককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থার করার চেষ্টা করছি ৷ ত্রাণের জন্য পৌর প্রশাসকের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে ৷ আশা করি, দ্রুত দুর্গতদের সরকারি ত্রাণ দেওয়া যাবে ৷” পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষ বলেন, “বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি সরকারি সহায়তার চেষ্টা চলছে ৷ আশা করা যায়, দু’একদিনের মধ্যে তাঁদের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাবে ৷” জেলা সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত মহানন্দার জলস্তর ছিল 20.65 মিটার ৷ বিপদসীমার থেকে 0.35 মিটার নিচে ৷ গঙ্গার জলস্তর ছিল 23 মিটার, বিপদসীমার 1.69 মিটার নিচে ৷ ফুলহরের জলস্তর বিপদসীমা থেকে 1.13 মিটার নিচে রয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.