ETV Bharat / city

পথ দুর্ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র ইংরেজবাজার, গাড়ি ভাঙচুর

পথ অবরোধের খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছোলে পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ ৷ এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় ৷ গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় ৷ এক পথচারি সেই ছবি তুলতে গিয়ে গণরোষের শিকার হয় ৷

Road accident
মালদায় পথ দুর্ঘটনা
author img

By

Published : Feb 7, 2020, 5:32 AM IST

Updated : Feb 7, 2020, 9:05 AM IST

মালদা, 7 ফেব্রুয়ারি : পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ইংরেজবাজারের দামোদরপুর এলাকা ৷ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত স্কুল পড়ুয়ারা গতকাল মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ৷ অবরোধে শামিল হল স্থানীয় লোকজনও ৷ ঘাতক গাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছোলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ পরবর্তীতে পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগ এলাকাবাসীর ৷

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ ৷ সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র ৷ সুদীপ্ত বাড়ই ও খোকা বাইন৷ তারা শান্তাদেব্যা হাইস্কুলের ছাত্র৷ দু’জনেই স্থানীয় দৌলতপুর কলোনির বাসিন্দা ৷ স্কুলে ঢোকার মুহূর্তে পিছন থেকে দ্রুতগতিতে তাদের সাইকেলে ধাক্কা মারে চাঁচল থেকে মালদাগামী একটি ম্যাক্সিক্যাব ৷ ক্যাবের রুট ভায়া কোতওয়ালি থাকলেও সেটি ভায়া মানিকচক হয়ে আসছিল ৷ সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে দু’জনেই৷ গুরুতর আহত হয় তারা ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন ও স্কুল শিক্ষকরা দু’জনকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যায়৷ ঘাতক গাড়িটিকে আটকে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ পরিস্থিতি বুঝে ম্যাক্সিক্যাবের চালক ও খালাসি গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ জনরোষ আছড়ে পড়ে গাড়ির উপর৷ চলে ব্যাপক ভাঙচুর৷ একই সঙ্গে ক্ষিপ্ত পড়ুয়ারা মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ৷ তাদের অভিযোগ, এর আগেও একই জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে পড়ুয়ারা ৷ দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কিছুদিন স্কুলের মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেডও৷ কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার তুলে নেওয়া হয় ৷

ইংরেজবাজারের দামোদরপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা

পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘণ্টাখানেক পর ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছোয় ৷ উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয় ৷ তবে গাড়ি ভাঙচুর কিংবা পুলিশি হেনস্তার কোনও ছবি কাউকে তুলতে দেওয়া হয়নি ৷ এক পথচারি সেই ছবি তুলতে গিয়ে গণরোষের শিকার হয় ৷ মারধর করা হয় এক সাংবাদিককেও ৷

গতকাল ছুটিতে ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ স্কুলের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মনোজ মণ্ডল বলেন, "আজ স্কুল শুরুর আগে ঘটনাটি ঘটে ৷ স্কুলের দুই ছাত্র সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসছিল ৷ সেই সময় একটি ম্যাক্সিক্যাব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কা মারে৷ কিছুদিন আগেও সেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই সেখান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার তুলে নেওয়া হয় ৷ এর আগেও একাধিকবার ওই একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ দুর্ঘটনার পর স্কুলের স্টাফ দিয়ে ওই দুই ছাত্রকে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে ৷ বর্তমানে তারা বিপন্মুক্ত বলে জানতে পেরেছি ৷ এই ঘটনার পর স্কুলের পড়ুয়া ও এলাকার লোকজন পথ অবরোধ করেছে ৷ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করার পরেও কেন সেখান থেকে তাদের তুলে নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশাসনের জবাব চায় তারা ৷ একই দাবি আমাদেরও৷”

Malda
দুর্ঘটনার পর রাজ্য সড়ক অবরূদ্ধ করে রাখে পড়ুয়ারা

এক পড়ুয়ার অভিভাবক দীনেশ সরকার বলেন, “পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েদের আমরা স্কুলে পাঠাই ৷ কিন্তু বারবার এমন দুর্ঘটনার পর ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছি না ৷ এদিনের ঘটনা নিয়ে চারবার দুর্ঘটনা ঘটল ৷ এর দায়িত্ব কি স্কুলের শিক্ষকদের নেই? স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷ এর আগে আমাদের আন্দোলনের জেরে দিন পাঁচেক ওই জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল৷ তারপর ফের একই ছবি ৷ আমাদের দাবি, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ৷”

যদিও গতকাল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার পর ইংরেজবাজার থানার IC অমলেন্দু আশ্বাস জানান, "আজ থেকেই দুর্ঘটনার জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে৷ খুব তাড়াতাড়ি সেখানে রবারের স্পিড ব্রেকারও বসানো হবে৷" তাঁর এই আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়৷ যদিও যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও অনেকটা সময় লেগে যায়৷

মালদা, 7 ফেব্রুয়ারি : পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ইংরেজবাজারের দামোদরপুর এলাকা ৷ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত স্কুল পড়ুয়ারা গতকাল মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ৷ অবরোধে শামিল হল স্থানীয় লোকজনও ৷ ঘাতক গাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছোলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ পরবর্তীতে পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগ এলাকাবাসীর ৷

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ ৷ সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র ৷ সুদীপ্ত বাড়ই ও খোকা বাইন৷ তারা শান্তাদেব্যা হাইস্কুলের ছাত্র৷ দু’জনেই স্থানীয় দৌলতপুর কলোনির বাসিন্দা ৷ স্কুলে ঢোকার মুহূর্তে পিছন থেকে দ্রুতগতিতে তাদের সাইকেলে ধাক্কা মারে চাঁচল থেকে মালদাগামী একটি ম্যাক্সিক্যাব ৷ ক্যাবের রুট ভায়া কোতওয়ালি থাকলেও সেটি ভায়া মানিকচক হয়ে আসছিল ৷ সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে দু’জনেই৷ গুরুতর আহত হয় তারা ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন ও স্কুল শিক্ষকরা দু’জনকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যায়৷ ঘাতক গাড়িটিকে আটকে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ পরিস্থিতি বুঝে ম্যাক্সিক্যাবের চালক ও খালাসি গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ জনরোষ আছড়ে পড়ে গাড়ির উপর৷ চলে ব্যাপক ভাঙচুর৷ একই সঙ্গে ক্ষিপ্ত পড়ুয়ারা মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ৷ তাদের অভিযোগ, এর আগেও একই জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে পড়ুয়ারা ৷ দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কিছুদিন স্কুলের মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেডও৷ কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার তুলে নেওয়া হয় ৷

ইংরেজবাজারের দামোদরপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা

পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘণ্টাখানেক পর ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছোয় ৷ উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয় ৷ তবে গাড়ি ভাঙচুর কিংবা পুলিশি হেনস্তার কোনও ছবি কাউকে তুলতে দেওয়া হয়নি ৷ এক পথচারি সেই ছবি তুলতে গিয়ে গণরোষের শিকার হয় ৷ মারধর করা হয় এক সাংবাদিককেও ৷

গতকাল ছুটিতে ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ স্কুলের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মনোজ মণ্ডল বলেন, "আজ স্কুল শুরুর আগে ঘটনাটি ঘটে ৷ স্কুলের দুই ছাত্র সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসছিল ৷ সেই সময় একটি ম্যাক্সিক্যাব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কা মারে৷ কিছুদিন আগেও সেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই সেখান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার তুলে নেওয়া হয় ৷ এর আগেও একাধিকবার ওই একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ দুর্ঘটনার পর স্কুলের স্টাফ দিয়ে ওই দুই ছাত্রকে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে ৷ বর্তমানে তারা বিপন্মুক্ত বলে জানতে পেরেছি ৷ এই ঘটনার পর স্কুলের পড়ুয়া ও এলাকার লোকজন পথ অবরোধ করেছে ৷ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করার পরেও কেন সেখান থেকে তাদের তুলে নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশাসনের জবাব চায় তারা ৷ একই দাবি আমাদেরও৷”

Malda
দুর্ঘটনার পর রাজ্য সড়ক অবরূদ্ধ করে রাখে পড়ুয়ারা

এক পড়ুয়ার অভিভাবক দীনেশ সরকার বলেন, “পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েদের আমরা স্কুলে পাঠাই ৷ কিন্তু বারবার এমন দুর্ঘটনার পর ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছি না ৷ এদিনের ঘটনা নিয়ে চারবার দুর্ঘটনা ঘটল ৷ এর দায়িত্ব কি স্কুলের শিক্ষকদের নেই? স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷ এর আগে আমাদের আন্দোলনের জেরে দিন পাঁচেক ওই জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল৷ তারপর ফের একই ছবি ৷ আমাদের দাবি, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ৷”

যদিও গতকাল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার পর ইংরেজবাজার থানার IC অমলেন্দু আশ্বাস জানান, "আজ থেকেই দুর্ঘটনার জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে৷ খুব তাড়াতাড়ি সেখানে রবারের স্পিড ব্রেকারও বসানো হবে৷" তাঁর এই আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়৷ যদিও যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও অনেকটা সময় লেগে যায়৷

Intro:মালদা, ০৬ ফেব্রুয়ারি : পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ইংরেজবাজারের দামোদরপুর এলাকা৷ ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত স্কুল পড়ুয়ারা মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে৷ অবরোধে শামিল হল স্থানীয় লোকজনও৷ ঘাতক গাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থনে পৌঁছোলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ পরবর্তীতে পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগ এলাকাবাসীর৷


Body:         ঘটনার সূত্রপাত আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ৷ সেই সময় সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র সুদীপ্ত বাড়ই ও খোকা বাইন৷ তারা শান্তাদেব্যা হাইস্কুলের ছাত্র৷ দু’জনেই স্থানীয় দৌলতপুর কলোনির বাসিন্দা৷ স্কুলে ঢোকার মুহূর্তে পিছন থেকে দ্রুতগতিতে তাদের সাইকেলে ধাক্কা মারে চাঁচল থেকে মালদাগামী একটি ম্যাক্সিক্যাব৷ ক্যাবের রুট ভায়া কোতওয়ালি থাকলেও সেটি ভায়া মানিকচক হয়ে আসছিল৷ সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে দু’জনেই৷ গুরুতর আহত হয় তারা৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন ও স্কুল শিক্ষকরা দু’জনকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যায়৷ ঘাতক গাড়িটিকে আটকে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ পরিস্থিতি বুঝে ম্যাক্সিক্যাবের চালক ও খালাসি গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ জনরোষ আছড়ে পড়ে গাড়ির উপর৷ চলে ব্যাপক ভাঙচুর৷ একই সঙ্গে ক্ষিপ্ত পড়ুয়ারা মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে৷ তাদের অভিযোগ, এর আগেও একই জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে পড়ুয়ারা৷ দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কিছুদিন স্কুলের মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল৷ লাগানো হয়েছিল ব্যারিয়ারও৷ কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার তুলে নেওয়া হয়৷ পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘণ্টাখানেক পর ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছোয়৷ সেই সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে৷ এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয়৷ তবে গাড়ি ভাঙচুর কিংবা পুলিশ হেনস্তার কোনও ছবি কাউকে তুলতে দেওয়া হয়নি৷ এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও৷ এক পথচারি সেই ছবি তুলতে গিয়ে গণরোষের শিকার হয়৷ মারধর করা হয় এক সাংবাদিককেও৷
         এদিন ছুটিতে ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক৷ স্কুলের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মনোজ মণ্ডল বলেন, “আজ স্কুল শুরুর আগে ঘটনাটি ঘটে৷ স্কুলের দুই ছাত্র সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসছিল৷ সেই সময় একটি ম্যাক্সিক্যাব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কা মারে৷ কিছুদিন আগেও সেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই সেখান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার তুলে নেওয়া হয়৷ এর আগেও একাধিকবার ওই একই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ দুর্ঘটনার পর স্কুলের স্টাফ দিয়ে ওই দুই ছাত্রকে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে৷ বর্তমানে তারা বিপন্মুক্ত বলে জানতে পেরেছি৷ এই ঘটনার পর স্কুলের পড়ুয়া ও এলাকার লোকজন পথ অবরোধ করেছে৷ সিভিক নিয়োগ করার পাশাপাশি কেন সেখান থেকে সিভিক তুলে নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশাসনের জবাব চায় তারা৷ একই দাবি আমাদেরও৷”
         এক পড়ুয়ার অভিভাবক দীনেশ সরকার বলেন, “পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েদের আমরা স্কুলে পাঠাই৷ কিন্তু বারবার এমন দুর্ঘটনার পর ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছি না৷ এদিনের ঘটনা নিয়ে চারবার দুর্ঘটনা ঘটল৷ এর দায়িত্ব কি স্কুলের শিক্ষকদের নেই? স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ এর আগে আমাদের আন্দোলনের জেরে দিন পাঁচেক ওই জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল৷ তারপর ফের একই ছবি৷ আমাদের দাবি, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে৷”


Conclusion:         যদিও এদিন পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার পর ইংরেজবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস জানান, আজ থেকেই দুর্ঘটনার জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে৷ খুব তাড়াতাড়ি সেখানে রবার স্পিড ব্রেকারও বসানো হবে৷ তাঁর এই আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়৷ যদিও যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও অনেকটা সময় লেগে যায়৷
Last Updated : Feb 7, 2020, 9:05 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.