মালদা, 1 সেপ্টেম্বর: থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রমরমিয়ে চলছিল নার্সিং হোম (District health Department Sealed a Nursing Home ) ৷ অথচ তার কোনও বৈধ নথিপত্র বা পরিকাঠামো কিছুই নেই ৷ এভাবে কয়েক বছর ধরে চিকিৎসার নামে প্রহসন চললেও, পুলিশ অথবা ব্লক প্রশাসনের কোনও নজরদারি ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত অভিযোগের ভিত্তিতে নার্সিং হোমে হানা দেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা ৷ তাঁরা নার্সিং হোমের নথিপত্র-সহ চিকিৎসার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন ৷ একাধিক গাফিলতি থাকায় বুধবার ওই নার্সিংহোমটি সিল করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা ৷ সেখানে চিকিৎসাধীন তিনজন প্রসূতিকে প্রথমে স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকে তাঁদের সুজাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷
স্থানীয়দের কথায়, কয়েক বছর আগে কালিয়াচক থানার অদূরে এই নার্সিংহোমটি তৈরি হয় ৷ সেখানে শুধুমাত্র প্রসূতিদের চিকিৎসা করা হত ৷ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসে ৷ তা খতিয়ে দেখতেই বুধবার কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের বিডিও ও কালিয়াচক থানার আইসির উপস্থিতিতে ওই নার্সিং হোমে হানা দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল ৷
নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্থানীয় সুলতানগঞ্জের দেওয়ানটোলা গ্রামের বধূ মাসুমা খাতুন ৷ যাকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয় ৷ মাসুমার মা হারেজা বিবি বলেন, “মেয়েকে ওই নার্সিং হোমে ভর্তি করেছিলাম ৷ ওঁর প্রসব হয়ে গিয়েছে ৷ বাচ্চা ও মা সুস্থই আছে ৷ মেয়ের রক্তচাপ একটু বেশি থাকলেও আজ ওর ছুটি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু এরই মধ্যে সেখানে পুলিশ হানা দেয় ৷ আমার মেয়েকেও পুলিশ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে ৷ নিজেই ওখানে মেয়েকে ভর্তি করেছিলাম ৷”
আরও পড়ুন: মেডিক্লেম থাকা সত্ত্বেও রোগী ছাড়তে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বারাসত বেসরকারি হাসপাতালে