মালদা, 8 অগস্ট: স্বাস্থ্যের থেকেও বড় ধর্ম । কীর্তনের মাঠে কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না স্বাস্থ্য কেন্দ্র (Health Center) । ওই মাঠে স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে আজ প্রচুর মানুষ ইংরেজবাজার পৌরসভায় (English Bazar Municipality) বিক্ষোভ দেখান । তাঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য । এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে রয়েছেন এলাকার কাউন্সিলরও । তাঁরও দাবি, ওই মাঠ নয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্র করা হোক অন্য কোনও জায়গায় । গোটা বিষয়টিকে কটাক্ষ করে পৌরসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য, জীবনটাই না-থাকলে কীর্তন হবে কীভাবে ৷
কিছুদিন আগেই ইংরেজবাজার পৌরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লির একটি মাঠে এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হেলথ সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ । সেই মতো ওই মাঠে সেন্টারের ভবন নির্মাণের নকশাও তৈরি হয়ে যায় । কিন্তু সেখানে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলে দাবি তোলেন স্থানীয়দের একাংশ । তাঁদের দাবি, ওই মাঠে দীর্ঘদিন ধরে কীর্তনের আসর বসছে । তাঁরা সেখানে কিছুতেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে দেবেন না(Locals protest against construction of health center) ।
এ নিয়ে আজ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুতপা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পৌরসভায় বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ । পরে তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল কাউন্সিলর-সহ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে । সুতপা বলেন, "ওই মাঠে কীর্তনের সঙ্গে দুর্গাপুজোও হয় । তাই সেখানকার মানুষজন চাইছেন, ওই মাঠে না-হয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এলাকার অন্য কোনও জায়গায় তৈরি হোক । চেয়ারম্যান সেন্টারের জন্য নতুন জায়গা দেখতে বলেছেন । এ নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব । তবে ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কেন্দ্র হবেই ।"
স্থানীয় বাসিন্দা কাজল অধিকারীর বলেন, "ওই মাঠে 30-35 বছর ধরে কীর্তন হচ্ছে । ওখানে ভগবানের নাম নেওয়া হয় । সেখানে আমরা কিছুতেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে দেব না । এলাকার অন্য কোনও জায়গায় সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হোক ।" একই বক্তব্য স্থানীয় আরেক বাসিন্দা ধনেশ্বরী মণ্ডলেরও । তিনি বলেন, "আমাদের অবশ্যই হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ওই মাঠে নয়, অন্য কোথাও সেটা তৈরি করা হোক ।"
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল মেটানো নিয়ে বচসার জের, ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের অভিযোগ
এ নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর কটাক্ষ, "অনেকে স্বাস্থ্য চান না, কীর্তন চান । কিন্তু মানুষ যদি বেঁচেই না-থাকে, তবে কীর্তন হবে কীভাবে ? আগামিকাল বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।"